খাদ্য অল্প হলেও ভাগ করে খাওয়ার ফাযীলাত এবং দু’জনের খাবার তিনজনের বা অনুরূপ কমলোকের খাবার বেশী জনের জন্য যথেষ্ট হওয়ার বর্ণনা-
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: طَعَامُ الاثْنَيْنِ كَافِي الثَّلاثَةِ، وَطَعَامُ الثَّلاَثَةِ كَافِي الأَرْبَعَةِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ দু’জনের খাবার তিনজনের জন্য যথেষ্ট এবং তিনজনের খাবার চারজনের জন্য যথেষ্ট। (বুখারী পর্ব ৭০ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ৫৩৯২; মুসলিম ৩৬/৩৩, হাঃ ২০৫৮)
অসহায় গরিবের মুখে খাবার তুলে দেয়া একটি মহাসওয়াবের কাজ। আল্লাহ তায়ালা ক্ষুধার্ত অভাবীকে খাদ্য পরিবেশনের ফজিলত প্রসঙ্গে বলেন, ‘তারা আহার্যের প্রতি আসক্তি সত্ত্বেও (আল্লাহর ভালোবাসায়) অভাবী, এতিম ও বন্দিকে আহার্য দান করে। (এবং তারা দানকালে বলে) শুধু আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তোমাদের আহার্য দান করি। বিনিময়ে তোমাদের থেকে কোনো প্রতিদান বা কৃতজ্ঞতা চাই না। বরং আমরা আমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে এক ভীতিপ্রদ কঠিন ও বিপদসংকুল দিবসের আংশকা করছি।’ (সূরা ইনসান : ৮-১০)।
এর পরের আয়াতে আল্লাহ তাদের যে প্রতিদান দেবেন সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘পরিণামে আল্লাহ তাদের সেই দিবসের অনিষ্ট থেকে তাদের রক্ষা করবেন এবং প্রফুল্লতা ও আনন্দ দান করবেন। তারা যে ধৈর্যধারণ করেছে তার বিনিময়ে তিনি তাদের উদ্যান ও রেশমি বস্ত্র পুরস্কার দেবেন।’ (ইনসান : ১১-১২)।