যেহেতু দিবেন বলে টাকা নিয়েছেন, তাই দিতেই হবে। না দিলে অন্যকে ফাকি, অন্যের কথার বরখেলাপ, অন্যের সম্পদ ধোকা দিয়া হস্তগত করা ইত্যাদ পাপে পাপিস্ট হবেন। যতই তা হারামের বিষয় হোক। অন্য দিকে হারাম পন্য বা সেবা বিক্রি করার পাপে পাপিস্ট হবেন। আর একই পাপে জড়াবেন দিলে। কাজেই দিন বা নাই দিন পাপিস্ট হবেন। তবে দিলে, ওয়াদাগত, অন্যের সম্পদ গত কিছু কম পাপের জড়াবেন। কাজেই এটিই ভাল হবে।
তবে পূর্ন ধর্মের পথে থাকতে, পাপ বা হারাম কাজ না করতে আপনি তার টাকাটা ফেরত দিন। না খেলেন অন্যের টাকা। না হারামের জিনিস দিলেন কাউকে।
আবার কিছু মানুষ হয়ত এটা বলতে পারে যে, হারামের টাকা তুলে মসজিদ বা গরীবকে দেওয়া ভাল। আমি এটিকে সামর্থন করিনা, যিনি করবেন তিনি পরোক্ষভাবে এটা স্বীকৃতি দিলেন যে, হারাম হালাল দুটোই ইনকাম করা যাবে, হালালটি নিজে খান, হারামটি ভাল কাজে ব্যয় করুন। এটা কখনো ভাল কাজ হতে পারেনা। এর ফলে মানুষ তার আবশ্যক প্রয়োজন টুকু হালাল ইনকাম করে বাকী সব হারামে করবে। যেহেতু কাউকে দান করা ভাল কাজ। মানুষ সম্মান দেয়, নেতা বলে মানেন।কাজেই দানকারী বিশাল সম্মান অর্জন করেন। কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে এ সম্মান থেকে বিশাল প্রাপ্তিও ঘটে। কাজেই হারামের টাকা দান করলে অর্জিত সম্মানও হারামের হবে।
ধরুন আপনার এলাকায় আপনি দান সাহায্যের জন্য বিখ্যাত। এখন আপনি ভোটে দাড়ালেন। তখন এই সম্মান, মানুষ আপনাকে যেতাবে। আপনার হাতে বিশাল সুযোগ। কিন্তু ভাবুন তা সব হারাম কারন সবকিছুর মূল সেই দান গুলো হারামের ছিল।
তাই এ কাজ করা উচিত নয়।
তবে সম্পদের পরিমান যদি এতই বিশাল হয় যে, তা বৃহর গরীব জনগোষ্ঠীর ভাগ্য ফেরাতে পারে তবে তা নিজের পরিচয় গোপন করে সরকারী উদ্দোগের মাধ্যমে কোন গরীব উন্নয়ন মূলক কাজে লাগানো যেতে পারে। এতে আপনার হারাম সম্মান হবেনা, সরকারী বৈধ্যতা থাকবে যা সর্বজন স্বীকৃত, গরীব উন্নয়নও হবে।
এটিই যথার্থ বলে মনে করি।(উল্লেক্ষ্য যে উপরে পাপিস্ট হবেন শব্দ উল্লেখ করেছি। এই বিষয়টা আল্লাহর মর্জিতে হতে পারে, নাও হতে পারে)