শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
F.Rahman

Call

খুব যায়। দিব্যি যায়।

আজকালকার বন্দুকে যেসব গুলি ব্যবহার করা হয়‌ সেগুলো নিজেই ফোটে। প্রয়োজন কেবল একটু কাইনেটিক ফোর্স।

বন্দুকের বুলেট এর পেছনের অংশটি গুলির জ্বালানি বা‌‌ প্রপেলেন্ট, সাধারণত বোরন আর এলুমিনিয়ামের মিশ্রণ। নিজের অক্সিডাইজার (সাধারণত পটাশিয়াম নাইট্রেট বা সোডিয়াম নাইট্রেট) তার নিজের সাথে থাকে বলে এটি ঠিক মহাকাশযানের জ্বালানির মতোই কাজ করে।

এর পেছনে, গুলির পশ্চাদ্দেশে থাকে প্রাইমার।

এই প্রাইমারটি আধুনিক গুলির এক জটিল অংশ। এর একদিকে থাকে ক্যাপ বা ঢাকনা, অন্যদিকে একটি নেহাই বা এনভিল। দু'য়ের মাঝে থাকে ছোট্ট একটা কাপ ভর্তি বিস্ফোরক, সাধারণত ডাইনল (ডায়াজোডাইনাইট্রোফেনল)। পুরো গুলিটি সাধারণত পেতলের তৈরি হলেও প্রাইমারটি সাধারণত তৈরি হয় নিকেল দিয়ে।

প্রাইমারটি হতে পারে
 রিম ফায়ার…

সেন্টার ফায়ার

অথবা বৈদ্যুতিক…

একেক বন্দুকে একেক রকম।

প্রাইমারের ঢাকনার ওপর আঘাত করলে কাপ ভর্তি বিস্ফোরক ধাক্কা খায় ভেতরের নেহাইটির সাথে। ডাইনল একটি ঘাত সংবেদী বা ইমপ্যাক্ট সেনসিটিভ মিশ্রন, আঘাত পেলেই বিস্ফোরিত হয়। সেই বিস্ফোরনে সৃষ্ট জ্বলন্ত গ্যাস‌ আগুনের ফুটো বা ফ্ল্যাশ হোল দিয়ে পৌঁছয় জ্বালানী কক্ষে।

প্রাইমারের পশ্চাদ্দেশে পদাঘাত করার কাজটি করে ফায়ারিং পিন…

অথবা স্ট্রাইকার…

একেক বন্দুকে একেক রকম। কাইনেটিক ফোর্সটি এদের থেকেই আসে।

এসব আধুনিক বন্দুক আর গুলি যদি থাকে হাতে মহাকাশে গুলি করা কোনো ব্যাপারই নয়। সমস্যা একটাই – মহাশুন্যে আপনার বন্দুকটা যদি রোদে থাকে তবে সেটি ১০০° সেলসিয়াস গরমে নিজেই ফুটে যেতে পারে। আর ছায়ায় থাকলে –১৭৩° সেলসিয়াস ঠান্ডায় বন্দুকের ধাতব কাঠামো মড়মড়ে হয়ে গুলি করামাত্র টুকরো টুকরো হয়ে যেতে পারে।
-সংগৃহীত

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
FoyEz00

Call

যদি মহাকাশে বন্দুক দিয়ে গুলি চালানো হয়, তাহলে কি কি ঘটতে পারে।

 

Fact1:-

আমরা জানি মহাকাশে বায়ু মাধ্যম থাকে না।আর শব্দ কোনো জড় মাধ্যমের সাহায্য ছাড়া এক জায়গা থেকে অন্য জাইগায় যেতে পারে না। এজন্যই মহাকাশে যদি গুলি চালানো হয়, তাহলে কোনো শব্দ শুনতে পাওয়া যাবে না।

Fact2:-

মহাকাশে যেহেতু কোনো রকম বায়ু থাকে না, তাই অক্সিজেন থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না।ফলে বন্দুকের মধ্যে যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকে, তাহলে বন্দুকটি থেকে গুলো বের হবে না। কারণ অক্সিজেন না থাকালে আগুন জ্বলবে না, আর আগুন না জ্বললে গুলির ভিতরে থাকা বারুদের দহন হবে না। আর বারুদের দহন না হলে গুলিটি কাজ করবেই না।

Fact3:-

যদি আলাদা ভাবে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে বন্দুক থেকে গুলি বের করা যায়, তাহলে অন্য বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। নিউটনের তৃতীয় গতিসুত্র অনুযায়ী, বন্দুকের গুলিটি যে গতিবেগ নিয়ে বন্দুক থেকে ছুটে বের হবে, আপনিও একই পরিমান গতিবেগ নিয়ে গুলির বিপরীত অভিমুখে ছুটে যাবেন। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন কি অবস্থা হতে পারে! তবে এই পরিস্থিতি তৈরি হবে, যদি আপনি মহাকাশে ভাসমান অবস্থাই গুলিটি নিক্ষেপ করেন, রকেট বা মহাকাশ স্টেশনের ভিতর থেকে গুলি ছুড়লে এতটা তীব্র প্রভাব আসবে না।

Fact4:-

গুলি তো আপনি ছুঁড়ে দিলেন, কিন্তু কাকে উদ্দেশ্য করে গুলিটি ছুঁড়লেন? যদি গুলিটি কোথাও বাঁধা না পায়, তাহলে গুলিটি পুরো মহাকাশ গোল করে ঘুরে এসে আপনার কাছেই আসবে, যদি আপনি একই জায়গায় থেকে থাকেন তাহলে গুলির আঘাতে আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ