দাজ্জাল আদম আ. এর সন্তানদের মধ্য থেকে একজন সন্তান। দাজ্জাল একজন মানুষ। মহান আল্লাহ তাকে এমন সব ক্ষমতা দান করেছেন, যা অন্য কোনো মানুষকে দান করেন নি। আল্লাহ তাআলা তাকে মুমিনদের ইমানের পরীক্ষার জন্য সবিশেষ শক্তি ও ক্ষমতা দান করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাকে জোরপূর্বক মুমিনদের ইমান কেড়ে নেয়ার ক্ষমতা দেন নি, বরং তাকে দান করেছেন অমানবিক শক্তি ও ক্ষমতা। সে তার সেসকল শক্তিকে ব্যবহার করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে, চিত্ত প্রলুব্ধ করবে এবং সাধারণ ইমানবিশিষ্ট মুমিনদেরকে গোলকধাঁধা এবং সংশয়ে ফেলে কুফরে লিপ্ত করবে। ফলে মানুষ জ্ঞাতসারে কিবা অজ্ঞাতসারে প্রবৃত্তির তাড়নায় কিবা সংশয়গ্রস্ত হয়ে তার বিছানো জালে পা দিয়ে ফেঁসে যাবে। তার ফিতনা ইবলিসের ফিতনা সদৃশ। আর আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন—
“আমার (প্রকৃত) বান্দাদের ওপর তোমার কোনো কর্তৃত্ব-ক্ষমতা নেই। (তাদের) তত্ত্বাবধান-রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তোমার প্রতিপালকই যথেষ্ট।” (সুরা বানি ইসরাইল: ৬৫)
নবিজি সা. আমাদেরকে দাজ্জালের আকৃতি-প্রকৃতি, তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য-গুণাবলি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। তিনি আমাদেরকে দাজ্জালের অনুসরণ করা থেকে বারণ করেছেন। কারণ যারা তার অনুসারী হবে, তারা গলা থেকে ইসলামের রশিকে খুলে ফেলবে এবং উম্মাতে মুহাম্মাদির তালিকা থেকে নিজেদের নাম মুছে ফেলবে। তাই আমরা যখন দাজ্জালকে চিনবো এবং তার সম্পর্কে সবিস্তারে জানবো, তখন প্রত্যাশা রয়েছে যে, মহান আল্লাহ আমাদেরকে তার অনিষ্ট থেকে হেফাজত করবেন।