একজন পুরুষের ঘুমের মাঝে বীর্যপাত হওয়াকে স্বপ্নদোষ বলা হয়।১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার প্রাথমিক বছরগুলোতে স্বপ্নদোষ খুব সাধারণ। স্বাভাবিকভাবে বীর্যপাতের পরে পুরুষাঙ্গ শিথিল হয়ে যায়। তবে স্বপ্নদোষের ক্ষেত্রে, বীর্যপাতের পরও পুরুষাঙ্গ শক্ত থাকে।
যদিও স্বপ্নদোষ প্রতিরোধ করতে কিংবা বন্ধ করতে বেশকিছু চিকিৎসা রয়েছে, তবে অনেকেই সেই চিকিৎসার মধ্যে যান না।

এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তাই চিন্তিত বা ভেঙ্গে পরার কিছু নেই। তবে যাদের এটি অতিরিক্ত মাত্রায় হয়,যেমনঃ এক রাতেই একাধিকবার স্বপ্নদোষ হওয়া,প্রতিদিন রাতে হওয়া ইত্যাদি। অতিরিক্ত মাত্রায় স্বপ্নদোষ হওয়ার ফলে শরীর দুর্বল হয়,কাজে মন বসে না, মেজাজ  খিট খিটে হয়ে যায়, সরণ শক্তি কমে যায় এছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং কেউ কেউ যৌনদুর্বলতায় ভোগেন। 

অতিরিক্ত মাত্রায় স্বপ্নদোষ হওয়ার অনেক কারণ আছে, 

যেমনঃ ১।অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করা।

            ২।ধাতুদূর্বলতা।

            ৩।কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।

যারা অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের সমস্যায় ভোগেন তারা নিম্নে উল্লিখিত উপায়গুলো অবলম্বন করে দেখবেন,আশা করা যায় আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন।তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক।

#রাতের খাবার কম করে খাবেন এবং রাতে পানি কম খাবেন। দিনের বেলায় পানি বেশি খাবেন কিন্তু ঘুমাতে যাবার আগে পানি কম খাবেন,কারণ রাতে পানি বেশি খেলে প্রসাবের চাপ বাড়বে এবং স্বপ্নদোষ হবার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

#পর্নগ্রাফি দেখা থেকে বিরত থাকবেন।

#যাদের অতিরিক্ত স্বপ্নদোষের সমস্যা আছে তারা রাতে গরম দুধ খাবেন না।

#যাদের অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয় তাদের লিঙ্গ শিথিল এবং খুব বেশি স্পর্শকাতর হয়, তাই ঘুমানর সময় খেয়াল রাখবেন যেন আপনার লিঙ্গ বিছানায়,কোলবালিশে বা অন্য কোথাও চাপ না লাগে।তাই ঘুমানোর স্টাইল বা ধরন পরিবর্তন করবেন।

#রাতে যেকোনো প্রকার দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকবেন।

#ওষুধের দ্বারা যারা উপকার পাননি তারা প্রাকৃিতিক উপায় অবলম্বন করতে পারেন, যেমনঃ তুলসি গাছের বীজ গুড়ো করে প্রতিদিন সকালে দুধ বা মধু অথবা একটি পান এর সাথে সেবন করতে পারেন।তাছাড়া তুলসি গাছের শেকড় পান এর সাথে সেবন করতে পারেন।১০-১৫ দিনে আপনি পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। 

যারা ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে ভালো ফলাফল পাননি, আশা করা যায় তারা উপরোক্ত নিয়মাবলী মেনে চললে ভালো ফলাফল পাবেন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে