শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ক্রেডিট কার্ড, যা চাইলেই পাওয়া যায় না। তার জন্য কতগুলো শর্ত পূরন করা জরুরী।

দেখা যাক কি কি শর্ত রয়েছেঃ

 চাকুরীজিবী হলে- স্যালারী সার্টিফিকেট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট(৬ মাসের/তিন মাসের), কমপক্ষে ৬ মাসের স্যালারী ব্যাংকে জমা হতে হবে, একই কোম্পানীতে কমপক্ষে ৬ মাস চাকরি করতে হবে, বেতন সর্বনিম্ন ৩০ হাজার হতে হবে, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, টিন সার্টিফিকেট, যে কোন একজন কলিগ বা আত্মীয়ের রেফারেন্স ইত্যাদি।

 

ব্যাবসায়ী হলে- এক বছেরের ব্যাংক ট্রাঞ্জাংকশন, স্টেটমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স, টিন সার্টিফিকেট, ন্যাশনাল আইডি কার্ড, কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার লেনদেন ইত্যাদি দেখানোর দরকার হয়।

 

পেশাজীবী ডাক্তার ইঞ্জিনীয়ার কিংবা উকিল হলে এসবের পাশাপাশি লাইসেন্স বা নিবন্ধনের কপি দাখিল করতে হয়।

 

এছাড়াও সবার ক্ষেত্রেই যা লাগে, দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নমিনীর ছবি, বাসার সমসাময়িক বিদ্যুৎ বিলের কপি কিংবা পানি বা গ্যাস বিলের কপি।

 

সব কিছু ঠিক ঠাক হলে, আপনার কাছে একজন ব্যাংক প্রতিনীধি আসবেন এবং একটি আবেদন ফর্ম পূরন করবেন। এর পর আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট তিনিই তুলে নিতে পারবেন, যদি আপনি একটা অথোরাইজেশন পেপারে সাইন করেন। এছাড়াও সিআইবি রিপোর্ট লাগে যা ব্যংক তুলে নিবে।

 

যেভাবে ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড পাবেন

এবার ব্যাংকের কাজ। আপনার প্রোফাইল দেখে তারা আপনার জন্য ক্রেডিট লিমিট নির্ধারন করবে। তারপর আপনাকে ভেরিফাই করার জন্য থার্ডপার্টি নিয়োগ করবে। তারা আপনার বাসা এবং আপনার অফিস বা কার্যালয় ভেরিফাই করে আপনাকে সমর্থন দিলে তবেই একটা ক্রেডিট কার্ড পাবার জন্য আপনি মনোনীত হবেন।

 

কার্ড প্রদানের জন্য আপনাকে তারা প্রথমে ফোন করতে পারে কিংবা এসএমএস এর মাধ্যমেও জানাতে পারে। কার্ড পাঠানো হয় একটি কুরিয়ারে এবং কার্ড পিন সহ অন্যান্য তথ্য পাঠানো হয় আলাদা কুরিয়ার এ। যাতে এক ব্যাক্তির হাতে সব কিছু না পড়ে।

 

কার্ড একটিভ করার জন্য আপনার কাষ্টমার কেয়ার সেন্টা ফোন করলেই হয়। ব্যাংকে যেতে হয় না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ