মাইগ্রেন ব্যাথার লক্ষণঃ
ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষণ্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষণ।
মাইগ্রেনের ব্যথার পেছনে অন্যান্য কারণ যেমনঃ
১।মহিলাদের হরমোনাল পরিবর্তন। পিল (জন্মবিরতিকরণ বড়ি) খেলে মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে।
২। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা।
৩। উজ্জ্বল আলো, উচ্চশব্দ।
৪। না ঘুমানো বা অতিরিক্ত ঘুমানো।
৫। বেশি ভারী কাজ করা।
৬। আবহাওয়ার পরিবর্তন।
মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হলে করণীয়ঃ
১. নিরিবিলি পরিবেশ খুঁজে নিন।
২. আলো ও শব্দ থেকে দূরে থাকুন।
৩. ব্যথার স্থান ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এসপিরিন/প্যারাসিটামল+ বমি নিরোধক জাতীয় ওষুধ খেতে হতে পারেন।
মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে করণীয়ঃ
১. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে খাবার গ্রহণ করুন।
২. শোবার ঘর পরিষ্কার ও ঝামেলামুক্ত রাখুন।
৩. নির্দিষ্ট সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণ করুন।
৪. কোনো খাবার মাইগ্রেনের কারণ হলে তা পরিহার করুন।
৫. জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খেতে থাকলে তা বন্ধ রাখুন।
৬. পরিবেশগত কারণে যদি ধোঁয়া, ধুলাবালি, প্রচণ্ড গরম বা শীতের বাতাসের মাঝে বের হতে হয় তবে মাস্ক বা রুমাল ব্যবহার করুন।
তবে আরও একটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে এ ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমনঃ
বিট লবণ
মাইগ্রেন ব্যথা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হলো বিট লবণ। বিট লবণ মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না।
যা যা লাগবে
অর্ধেকটা লেবুর রস
বিট লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন
# প্রথমে অর্ধেকটা লেবুর রস করে নিন।
# এর সাথে এক টেবিল চামচ উচ্চ পরিবেশিত ঘনত্ব সম্পন্ন বিট লবণ মিশিয়ে নিন।
# সাধারণত অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে বিট লবণ মেশানো হয়ে থাকে।
তবে আপনি চাইলে এক গ্লাস লেবুর রসের সাথে বিট লবণ মিশিয়ে নিতে পারেন।
# মাইগ্রেনের ব্যথার সময় এই পানীয়টি খেতে পারেন।
বিঃদ্রঃ ( যাদের উচ্চ রক্তাচাপের সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত লবণ খাবেন না, এবং তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন এই উপায়টি অনুসরণ করার আগে।) ধন্যবাদ