বোর্ডের প্রশ্নগুলো পড়ে গেলেই যদি এ+ পাওয়া যেত,তাহলে সবাই শুধু বোর্ডের প্রশ্নই পড়তো।আগে মূল বইগুলো ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।তারপর মূল বইগুলোর যে অধ্যায়গুলো পড়া শেষ হবে,সেই অধ্যায় সংশ্লিষ্ট বোর্ডের প্রশ্নগুলোর সমাধান অনুশীলন করতে হবে।বোর্ডের প্রশ্নের সাথে দেশের সেরা শীর্ষস্থানীয় স্কুলের প্রশ্নগুলোও অনুশীলন করতে হবে,কেননা এসএসসিতে মাঝে মাঝে সেখান থেকেও প্রশ্ন আসে।এই কাজগুলো শেষ করতে পারলে আশা করা যায় আপনি এসএসসিতে এ+ পাবেন।
এ প্লাস পাবার জন্য শুধু কোথাওর প্রশ্ন পড়লে হয় না। প্রথমত আপনার পড়াশুনা, প্রস্তুতি খুব ভালো হতে হবে। এজন্য বোর্ড বই সুন্দরভাবে পড়া প্রয়োজন। এরপরে নাহলে আসে কোথাকার প্রশ্ন পড়বেন। মূলত বিগত বছরের প্রশ্নগুলোকে যদি সমাধান করা হয়, পরীক্ষার মত করে তাতে পরীক্ষার প্রস্তুতি কিছুটা ভালো হয়। কারণ সাধারণত এই প্রশ্নগুলো প্রায়ই রিপিট হয় এবং একই ধাঁচের হয়। এছাড়া বোর্ড প্রশ্ন কেমন ধরনের সে ধারণাও পাওয়া যায়। এজন্য পূর্ণ প্রস্তুতি শেষে বিগত বছরের বোর্ডের প্রশ্ন সমাধান করে দেখতে পারেন। সাপ্লিমেন্টে শীর্ষস্থানীয় স্কুলগুলোর প্রশ্ন দেওয়া থাকে কারণ সেই প্রশ্নগুলোও ভালো শিক্ষকেরা করে থাকেন। সব স্কুলে মোটামুটি বোর্ডের প্রশ্ন থেকেই সম্পাদনা করে একটু আলাদাভাবে প্রশ্ন করা হয়। তবে সেই প্রশ্নগুলো যদি সমাধান করেন তাহলে বলা যায় একই প্রশ্নের কয়েক ধাঁচের স্বাদ পাবেন যা নিজ থেকে নতুন নতুন প্রশ্নের সমাধানে সাহায্য করবে। সবকিছু ছাড়িয়ে সব ধরনের প্রশ্নের সমাধান করলে আপনার প্রাকটিস হবে যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তাই আপনি বিগত বছরগুলোর বোর্ডের প্রশ্ন এবং শীর্ষস্থানীয় স্কুলগুলোর প্রশ্ন উভয়েই সমাধান করবেন এবং প্রাকটিস করবেন। সবার আগে বইয়ের প্রস্তুতি শেষ হলে বাকি সময়টা এগুলো প্রাকটিস করে কাটাতে পারেন। তাহলে আশা করা যায় প্রস্তুতিতে কোনো প্রকার ঘাটতি থাকবে না এবং এ প্লাস পাবেন।