প্লিজ তারাতারি জানান
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

হাদীস এবং ফিকাহ-ফাতওয়ার কিতাবসমূহ থেকে বুঝা যায় যে, কারো যদি রমযান মাসে দিনে রোযা থাকা অবস্থায় স্বপ্নদোষ তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না। রাসূল সাঃ বলেন, عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثَلَاثٌ لَا يُفْطِرْنَ الصَّائِمَ: الْقَيْءُ. وَالْحِجَامَةُ. وَالِاحْتِلَامُ অর্থ, হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন। রাসুল সাঃ বলেছেন, তিনটা জিনিস এমন আছে যার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না। এক, বমি । দুই, সিঙ্গা দেওয়া। তিন, স্বপ্নদোষ। (মসনদুল বায্যারঃ ২/২১১ হাদীস নং ৫২৮৭, ছহীহ ইবনে খুজাইমাঃ ১/২৫৪, নসবুর রায়াহঃ ২/৪৪৭) আল্লামা বুরহান উদ্দীন মরগনানী রহঃ বলেন,  قال : فإن نام فاحتلم لم يفطر  অর্থ, যদি ঘুমায় অতপর স্বপ্নদোষ হয়ে গেলে রোযা ভাঙ্গ হবে না। (হেদায়াঃ ১/১২০) মাজমাউন্নাহরে আছে, لو اكل او شرب او جامع ناسيا لم يفطر وكذا لو نام فاحتلم অর্থ, কোন ব্যক্তি ভুলে যদি কোন কিছু খায়, পান করে অথবা স্ত্রী সহবাস করে তাহলে তার রোজা ভঙ্গ হবেনা, তেমনি যদি ঘুমের মাঝে সপ্নদোষ হয় তাহলেও রোজা ভাঙ্গবেনা। (মাজমাউন্নাহরঃ ১/ ৩৬০) উল্লিখিত আলোচনা থেকে জানা যায় যে, কারো যদি রোযার দিনে রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হয় তাহলে তার রোযা নষ্ট হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Iloveallah

Call

রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে রোযা তো হবেই, রোযা হালকা বা মাকরুহও হবে না। কারণ এটা নিজ ইচ্ছায় হয় না। তবে এই কারণে গোছল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও অনেকক্ষণ এরকম অবস্থা থাকলে রোযা মাকরুহ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ