মেয়েদের সাথে কথা বলা, দেখা করা ইত্যাদি হারাম। কিন্ত চ্যাট করার সময় তো এগুলো হচ্ছে না। তাহলে চ্যাট করা কি জায়েজ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মেয়েদের সাথে চ্যাট করা জায়েজ আছে তবে তা শর্তসাপেক্ষে।

পার্থিব ব্যাপারে অনর্থক কথাবার্তা বলা, গল্পগুজব ও আলোচনা থেকে বিরত থাকা উচিৎ, তবে পারিবারিক কল্যাণার্থে বৈধ কোন বিষয়ে অল্পস্বল্প কথাবার্তা বলার মধ্যে কোন দোষ নেই।

ইসলামী শরীয়তে, কোন বেগানা নারীর সাথে কোন যুবকের নিষ্কাম বন্ধুত্ব অসম্ভব। পরন্ত সেই বন্ধুত্বের জোরে যেকোন গায়রে মাহরামকে না দেখে ভাইবার, ইমো বা ফেসবুকের ইনবক্সে কথা বলা, খোঁজ খবর নেয়া কিংবা এমনি কোনো একটা বিষয়ে আলাপ- আলোচনা বা কথাবার্তা বলা ও পত্রালাপ করা নিঃসন্দেহে হারাম।

কেননা বেগানা যুবক যুবতীর মাঝে নিষ্কাম বন্ধুত্ব অসম্ভব। কারো দ্বারা বিরলভাবে সম্ভব হলেও শরীয়তের তা হারাম। তাদের আপোষে পত্রালাপ ও রসালাপ বৈধ নয়। যেহেতু তাতে ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে। আর ফিতনা ও দাজ্জাল থেকে পাকা মুমিনকেও দূরে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। (রেফারেন্সঃ আহমাদঃ ৪/৪৩১, ৪৪১, আবূ দাঊদঃ ৪৩১৯)

কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছেঃ হে নবী পত্নিগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও, যদি তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর সুতরাং পর-পুরুষের সাথে কমল কন্ঠে এমন ভাবে কথা বলো না, কারণ এতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে, সে প্রলুব্ধ হয় এবং তোমরা ন্যায়সংগত কথা বলবে। (সূরা আহযাবঃ ৩২)

এখানে আল্লাহ তায়ালা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রীসহ সকল মুমিন নারীদেরকে কয়েকটি অবশ্য পালনীয় নির্দেশ প্রদান করছেনঃ আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ কোমল কন্ঠে কথা বল না! অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর স্ত্রীদেরকে সম্বোধন করে সকল মুমিন নারীদেরকে বলছেনঃ যদি পর্দার অন্তরাল থেকে পর পুরুষের সাথে কথা বলার প্রয়োজন দেখা দেয় তাহলে কোমল কন্ঠে কথা বলবে না, যদি বল তাহলে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। বরং ন্যায়সঙ্গতভাবে বলবে।

সুতরাং যেকোন গায়রে মাহরামকে না দেখে ভাইবার, ইমো বা ফেসবুকের ইনবক্সে কথা বলা, খোঁজ খবর নেয়া যেতে পারে তবে তা হতে হবে ন্যায়সঙ্গতভাবে। এমনি কোনো একটা বিষয়ে আলাপ- আলোচনা করা হারাম। এতে যাদের অন্তরে কৃপ্রবৃত্তির ব্যাধি রয়েছে তারা আসক্ত হয়ে যাবে। এবং হারাম কাজে লিপ্ত হবে।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ