ইসলামে তাকে বিবাহ করা যাবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে জোরপূর্বক যিনা
যাকে ধর্ষণ বলা হয়ে থাকে তা ব্যভিচার
থেকেও ভয়াবহ অপরাধ গণ্য। কারণ,
ধর্ষণে যিনা সংঘটিততো আছেই,
উপরন্তু ধর্ষক জালেম সাব্যস্তও হয়।
অপরদিকে ধর্ষিতা হয় মাজলুম বা নির্যাতিতা।
আর ইসলামের অবস্থান বরাবরই
মাজলুমের পক্ষে। তাই ধর্ষিতার
কোনো শাস্তি ইসলামে নেই। এক্ষেত্রে তাকে বিবাহ করতেও কোন বাঁধা নেই।
হজরত উমর (রাঃ) এর যুগে সরকারি
মালিকানাধীন এক গোলাম গণিমতের
পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসির সঙ্গে
জবরদস্তি করে ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে।
এতে তার কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হজরত
উমর (রাঃ) ওই গোলামকে কশাঘাত করেন
এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে
কোনো শাস্তি প্রদান করেননি। (সহিহ
বোখারি: ৬৯৪৯)।
কিন্তু আপনিও তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করছেন যা মোটেও ঠিক হয়নি। এক্ষেত্রে তাওবা করুন। আর তাকে বিবাহ করুন।
কোন নারী বা কোন পুরুষ যিনাকারী হিসাবে পরিচিত হলে যদি সেই কাজ থেকে তাওবা না করে তবে তাকে বিয়ে করা জায়েয নাই। [আয়সারুত-তাফাসির, সা‘দী]।