Call

হস্তমৈথুন ছাড়া সুখ পাওয়ার উপায় শুধু একটাই তা শুধু বিবাহিত জীবনে এটাই নিয়ন্ত্রিত রীতি।

যৌন ক্ষুধা নিবারণের জন্য পৃথিবীতে সাধারণতঃ কয়েকটি রীতি রয়েছে; তন্মধ্যে বিবাহ ছাড়া বাকি সব হারাম।

কেবলমাত্র বিবাহ-বন্ধনের মাঝে সীমিত ও রীতিমত যৌনাচার ও কামবাসনা চরিতার্থ করা যায়। এতে ব্যভিচার করা যায় না। এই নীতিই সমস্ত ঐশীধর্মের নীতি এবং ইসলামের আদর্শ।

ইসলাম বিবাহকে বৈধ করেছে এবং ব্যভিচারকে অবৈধ ও হারাম ঘোষণা করেছে। নারী-পুরুষের এই মিলনকে যদি নিয়ন্ত্রিত না করা হত, তাহলে পৃথিবীতে সুশৃঙ্খল সমাজ ও সংসার গড়ে উঠত না। স্থায়ী হত না প্রেম ও সম্প্রীতি। সেই দাম্পত্য গড়ে উঠত না, যাতে থাকে একের অন্যের জন্য শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, স্নেহ, স্বার্থত্যাগ ও উৎসর্গ।

হস্তমৈথুন যে কারনে পাপঃ

কৃত্রিম-মৈথুন বা হস্তমৈথুন যিনার মত অত বড় মহাপাপ না হলেও যা স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুন ক্ষতি ও হানিকর এবং তা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন,

অর্থাৎ,“যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে সংযত রাখে। তবে নিজেদের পত্নি অথবা অধিকারভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে অন্যথা করলে তারা নিন্দনীয় হবে না। আর যারা এদের ছাড়া অন্যকে কামনা করে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” (সূরা মু’মিনূনঃ ৫-৭)।

সুন্নাহ থেকে দলীল, আল্লাহ্‌র নবী (সাঃ) বলেন, “হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে কেউ স্ত্রী সঙ্গম ও বিবাহ খরচে সমর্থ, সে যেন বিবাহ করে! কারণ টা অধিক দৃষ্টি-সংযতকারী এবং অধিক যৌনাঙ্গ রক্ষাকারী, যেহেতু তা এর জন্য (খাসী করার মত) কাম দমন কারীর সমান।”  (বুখারী, মুসলিম)।

সুতরাং কৃত্রিম মৈথুন এক প্রকার সীমালংঘন; যা মহাপাপ। তাছাড়া আল্লাহর রসূল (সাঃ) যখন সামর্থ্যবান যুবকদেরকে বিবাহ করতে বললেন, তখনই অসামর্থ্যবান যুবককে রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন। যাতে যৌন-তাড়নায় যুবকদল কোনরূপ বেয়াড়া না হয়ে যায়। পক্ষান্তরে এতে হয়তো ক্ষণিকের যৌনস্বাদ আছে কিন্তু এর পশ্চাতে আছে মহালাঞ্ছনা, মহাপরিতাপ।

শরীয়ত যেমন সর্বপ্রকার ব্যভিচারকে হারাম ঘোষণা করেছে তেমনি ব্যভিচারের কাছ ঘেঁসতে, অবৈধ যৌনাচারের নিকটবর্তী হতে নিষেধ এবং এর সমস্ত ছিদ্র-পথ বন্ধ করতে আদেশ করেছে। কারণ, যে পথ হারামে নিয়ে যায় সে পথে চলাও হারাম।

আর সুচিন্তিত মত এই যে, যেহেতু এই কাজে বহুমুখী ক্ষতি ও অনিষ্টের আশঙ্কা রয়েছে, যা চিকিৎসাবিদগণ উল্লেখ করে থাকেন; এতে এমন ক্ষতি রয়েছে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে বড় বিপদ বিপজ্জনক; এ কাজ যৌনশক্তিকে দুর্বল করে ফেলে, চিন্তাশক্তি ও দূরদর্শিতার ক্ষতি সাধন করে এবং কখনো বা এর অভ্যাসী ব্যক্তিকে প্রকৃত দাম্পত্যসুখ থেকে বঞ্চিত করে। কারণ যে কেউ এ ধরনের অভ্যাসে নিজ কাম-লালসাকে চরিতার্থ করে থাকে, সে হয়তো বা বিবাহের প্রতি ভ্রূক্ষেপই করবে না।  (ইবনে উষাইমীন)। ©


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হস্তমৈথূন ছাড়া সুখ পেতে চাইলে আপনি যৌন খেলনা কিনুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ