শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পা ফোলা বা পায়ে পানি আসার নানাবিধ কারণ আছে। অনেক সময় তা হয়তো মামুলি বা জটিল কোনো সমস্যার লক্ষণ। পায়ে পানি আসার বিষয়ে তাই অন্যান্য লক্ষণ বিবেচনা করে তবেই সিদ্ধান্তে আসা উচিত।বয়স্ক ব্যক্তি, বিশেষ করে নারীদের, ওজনাধিক্য রোগীদের, মাসিক চলাকালে, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘ সময় যানবাহনে পা ঝুলিয়ে বসে থাকার কারণে বা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলে অনেকের পায়ে পানি নামতে পারে। এটি সাময়িক এবং পা উঁচু করে শুয়ে থাকলে তা এমনিতেই চলে যায়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।তবে পা ফোলার কারণটি গুরুতরও হতে পারে। কিডনি ও যকৃতের সমস্যায় শরীরে, বিশেষ করে পায়ে পানি আসে। এর সঙ্গে অরুচি, বমি ভাব, দুর্বলতা, পেটে ও মুখেও পানি আসা, প্রস্রাবের সমস্যা ইত্যাদি আছে কি না খেয়াল করুন। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের শরীরে পানি এলে কিডনি জটিলতার কথা মাথায় রাখা উচিত। অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতায় পায়ে পানি জমতে পারে। ক্লান্তি ও ঘুম ঘুম ভাব, মনোযোগের অভাব, অনিয়মিত মাসিক, শুষ্ক ত্বক ইত্যাদি সঙ্গে থাকলে থাইরয়েডের সমস্যা আছে কি না দেখুন। কেননা হরমোনের এই জটিলতায় পায়ে পানি আসা খুবই স্বাভাবিক। কিছু কিছু ওষুধও পায়ে পানি আসার জন্য দায়ী। যেমন: ব্যথানাশক, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি, উচ্চ রক্তচাপে ব্যবহূত অ্যামলোডিপিন, ডায়াবেটিসে ব্যবহূত পায়োগ্লিটাজোন, এমনকি ইনসুলিন ইত্যাদি। গর্ভকালীন অবস্থায় পা ফোলাটা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু এই সঙ্গে যদি উচ্চ রক্তচাপ ও প্রস্রাবে আমিষ যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তবে তা হতে পারে প্রি অ্যাকলাম্পসিয়ার মতো মারাত্মক সমস্যার লক্ষণ। সাধারণত ওপরের এসব পা ফোলার সঙ্গে ব্যথা থাকার কথা নয়। তবে হঠাৎ করে পায়ে তীব্র ব্যথা ও চামড়া লাল হয়ে পা ফুলে গেলে সাবধান হওয়া উচিত।পায়ে পানি আসলে করনীয়ঃ পায়ে পানি আসলে রোগীকে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে হবে। রোগীর ইতিহাস, শারীরিক পর্যবেক্ষণ ও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা যেমন CBC, Urine R/E, বুকের এক্স-রে, ইসিজি, হরমোন, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম, হার্টের ইকো-কার্ডিওগ্রাম ইত্যাদি করে পানি আসার কারণ নির্ণয় করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ