দাউদ
সাধারণত চর্মপীড়ায় বাহ্যপ্রয়োগ বা মলম জাতীয় কিছু লাগালে তা ভেতর থেকে প্রকৃত আরোগ্যের বদলে চাপা পড়ে এবং সাধারণত অ্যাজমা রোগ দেখা দেয়। এছাড়াও চর্মরোগ চাপা পড়লে পুরাতন আকারের পাতলা পায়খানা এমনকি মস্তিষ্ক বিকৃতি পর্যন্ত হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা হলো সদৃশ ঔষধ সেবন দ্বারা ভেতর থেকে রোগটিকে নির্মূল করা।
হোমিওপ্যাথিক নীতি অনুসারে চর্মপীড়া সোরা দোষ থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই যে কোন প্রকার চর্ম রোগে হোমিওপ্যাথিতে সাদৃশ্য নীতি অনুসারে লক্ষণ সাদৃশ্যে হোমিওপ্যাথিক একক ঔষধ সূক্ষ্ম শক্তিতে ও সূক্ষ্মমাত্রায় সেবন করতে হয়। তাহলেই রোগটি ভেতর থেকে চিরতরে নির্মূল হয় ও আর কোনদিন ফিরে আসে না।
আমরা সাধারণত চর্মপীড়া বা দাউদ এ জাতীয় রোগকে স্থানীয় রোগ ভেবে সেখানে মলম বা বাহ্য প্রয়োগ করে থাকি। কিন্তু আসলে চর্মপীড়া কোন স্থানীয় রোগ নয়। মূলত রোগটি জীবনীশক্তি তে শুরু হয় এবং লক্ষণ আকারে তা চর্মের উপরে প্রকাশিত হয় মাত্র। তাই এক্ষেত্রে মলম লাগিয়ে চর্মের স্থানীয় চিকিৎসায় কোন ফল হয় না। ভেতর থেকে রোগটিকে চিকিৎসা করতে হয়। তাহলেই রোগটি ভেতর থেকে বিলুপ্ত হয় এবং চর্ম থেকে এমনিতেই তা অপসারিত হয়ে যায়।
তাই আপনার জন্য পরামর্শঃ দাদের জন্য একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছ থেকে হোমিও চিকিৎসা গ্রহণ করুন। হোমিওপ্যাথি রোগের চিকিৎসা করে না, সার্বিকভাবে রোগীর চিকিৎসা করে। তাই আপনি সামগ্রিকভাবে সুস্থ হবেন।
আমার হোমিওপ্যাথি ব্লগ থেকে ঘুরে আসুন।
ধন্যবাদ।