প্রদত্ত ঋণের বিপরীতে বেশি গ্রহণ করাই হলো সুদ। আরেকটু খুলে বললে চুক্তিবদ্ধ দু'পক্ষের যে কোন এক পক্ষ কর্তৃক পারস্পরিক লেনদেনে শরিয়াহ্ সম্মত বিনিময় ব্যতীত শর্ত মোতাবেক যে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ করা হয় তাই সুদ হিসেবে গণ্য। এ কাজটাই প্রচলিত সুদী ব্যাংকগুলো দু দিক থেকে করে থাকে। ১. মানুষ থেকে ঋণ নিয়ে তাদেরকে সুদ দেয়। ২. মানুষকে ঋণ দিয়ে তাদের থেকে সুদ নেয়। এ সুদকে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে সুস্পষ্টভাবে হারাম ও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে প্রশ্ন করার কোনো সুযোগ নেই। আমার বুদ্ধিতে ধরুক চাই না ধরুক তা হারাম। আর সুদের টাকা অবশ্যই মানুষের হকের টাকা। সুদের টাকা ব্যাংক কোথা থেকে দেয় ? অন্যকে ঋণ দিয়ে তার থেকে অন্যায়ভাবে সুদের নামে টাকা গ্রহণ করে আপনাকে দিচ্ছে। এ টাকা তো মূলত ঐ ঋণগ্রহীতার টাকা। যেটা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার থেকে অন্যায়ভাবে নিয়েছে। এ টাকা আপনার বা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নয়। সুতরাং এ টাকার সাথে অন্যের হক বা অধিকার জড়িত। এ টাকার বিধান হলো, সম্ভব হলে এ টাকা তার প্রকৃত মালিককে পৌঁছে দিত হবে। আর একান্ত সম্ভব না হলে পুণ্য লাভের আশা ব্যতিরেকে উপযুক্ত দরিদ্র ব্যক্তকে দান করে দিতে হবে। কোনো ক্রমেই তা নিজ প্রয়োজনে ব্যবহার করা যাবে না। সুতরাং আপনার ভাই বোন যদি উপযুক্ত হন তাহলে তাদের এ টাকা প্রদান করা যাবে। উপযুক্ত না হলে প্রদান করা যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ