অযথা ছবি তোলা ইসলামে কঠোরভাবে নিষেধ রয়েছে। তবে কিছু প্রয়োজনীয় কাজে যেমনঃ পাসপোর্টের জন্য, নাগরিকত্বের জন্য, পড়ালেখার কাজে, এমনকি অপরাধী ধরতে ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছেন বিভিন্ন ইসলামিক চিন্তাবিত।
ইসলামিক চিন্তাবিতদের মতে সিনেমা এবং অশ্লীল ভিডিও দেখা হারাম। তবে কোনো ইসলামিক চ্যানেলে ইসলাম বিষয়ক আলোচনা, ওয়াজ দেখা যাবে। তবে তাকওয়ার জন্য যত কম দেখা যায় তত ভালো।
দারুল উলুম দেওবন্দের মহতামিম মুফতি আবদুল কাশিম নোমানি ফতোয়া দিয়েছেন যে ছবি তোলা আন-ইসলামিক। মুসলিমরা নাগরিকত্বের জন্য এবং পাসপোর্টের জন্য ছাড়া কোনো ছবি তুলতে পারবে না। তিনি বলেছিলেন, ইসলাম ভবিষ্যতে প্রজন্মের স্মৃতিসৌধ হিসাবে সংরক্ষণ করার জন্য বিবাহের ভিডিও-ট্যাপিং বা ছবি ক্লিক করার অনুমতি দেয় না। সৌদি আরব নামাজ এবং তিলাওয়াত ভিডিও করতে পারে, তবে ইসলাম এর স্বীকৃতি দেয় না। তাঁর এই ফতুয়ার সাথে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড মুফতি আবুল ইরফান কাদরি রাজ্জাকি এবং দেওবন্দের আলেমগণ সহমত হয়েছেন।
ছবি তোলা যে হারাম এইটা আমি কোথাও পাইনি।
একদা,
মহানবী (সঃ) এর ঘরে একটি কুকুরের ছবি থাকায় ফেরেস্তা প্রবেশ করেনি। এই ঘটনা থেকেই মূলত সবাই ব্যাখ্যা দেয় ছবি তোলা নিষেধ। অথচ ফেরেস্তাকে প্রশ্ন করা হলে বলেছিলেন যে ঘরে প্রাণির ছবি থাকে সে ঘরে তারা যায়না। ফেরেস্তা মূলত ঐ কুকুরের ছবি কে উপলক্ষ করে বলেন।
যাই হোক পরবর্তীতে ঐক্যমত্য হয় যে প্রয়োজনের জন্য ছবি তোলা যাবে। তবে অপ্রয়োজনে এবং প্রদর্শন এর জন্য তোলা যাবেনা। এটাও শুনেছি যে বাবা মায়ের ছবি সন্তান রাখতে পারবে। কিন্তু দেওয়ালে টানিয়ে নয়। ভাল কোথায় ঢেকে রাখবেন, মন চাইলে বের করে দেখবেন। কিন্তু সর্বদা প্রদর্শিত রাখা যাবেনা।
যায় হোক আমিও বেশি কিছু জানিনা। উপরের কথাগুলো ট্রাস্টেড শোনা মাত্র