Mahedymp

Call

এটা আপনার সুন্দর করে কথা বলার প্রবল ইচ্ছা শক্তি। আপনি সবসময় চান সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে।যার কারনে আপনার বর্তমান সুন্দর কথার চেয়ে কেউ যদি আরেকটু সুন্দর করে কথা বলে তবে আপনার মন সেটাকে আপনার ব্যবহারিক ভাষার জন্য আনুমতি দেয়। এবং আপনি তার কাছে কৃতজ্ঞতা বসত তার প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mydulkhan

Call

এর কারন হচ্ছে আপনার মধ্যে ভয় ও লজ্জার দুটাই কাজ করে, সেজন্য বলতে পারেন না। আপনার মনোবল বাড়ান তাহলে ঠিক হয়ে যাবে। নিজেকে কখনও ছোট ভাববেন না তাহলে কথা বলতে সমস্যা হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয়,মানুষের প্রকাশ করার প্রবনতা সবচে’ বেশি। নিজেকে প্রকাশ করতে কে না চায়।সবাই চায় নিজেকে সবচেয়ে সুন্দর করে উপস্থাপন করতে। বাহ্যিকসৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম উপাদান হচ্ছেসুন্দর করে কথা বলা, ভাব প্রকাশে সৌন্দর্য্য।  এই কাজ খুব কঠিন কিছু নয়। সুন্দর কথা বলার জন্য নিজের চেষ্টা আর সামান্য কিছু গাইডলাইন ই যথেষ্ট।অনেকেই আছেন খুব সুন্দর মনের মানুষ, দেখতেও অনেক সুন্দর কিন্তু তিনি ভাল কথা বললেও যিনি শুনছেন তাঁর রাগ উঠে যায়। নিজেকে নিজে তিনি বোঝাতে পারেন না যে কী করবেন! তাই তাঁর সব কিছুতেই অস্থির লাগে। মন ভাল হলেও তিনি ভাল মানুষ হিসেবে পরিচিতি পান না। কিংবা সমাজে তার নানা ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়। বন্ধু মহলে কেউ তাকে জায়গা দেন না।শুধুমাত্রকিভাবে সুন্দর করে কথা বলতে হয়সেটা না জানার জন্যে।সুন্দর করে কথা বলা সত্যিই একটা আর্ট।স্মার্টনেসএর প্রথম শর্ত। অনেকেই অনেক ভাবে ট্রাই করে সুন্দর কথা বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু সেইয চেষ্টাকে সবাই হাসির খোরাক বানিয়ে ফেলেছেন। তিনিসুন্দর কথা বলতে চেষ্টা করায়ও সমাজে বাঁকা চোখের শিকার। আসুন দেখি খুব স্বাভাবিক কিছু নীয়মে সুন্দর কথা বলার চর্চা করি।নিজেকে নিয়ে কিছু এনালাইসিসকরুন।আপনি কেমন কথা বলছেন? কিভাবে শুরু করছেন? কাকে কী বলছেন ইত্যাদি। এর সাথে আপনার শারীরিক স্ট্রাকচার কতটা বোল্ড নাকি নরমাল নাকি আরো খারাপ? কন্ঠটা কি বেশি উৎকট নাকি নরমাল নাকি খুবই মিষ্টি? আপনার নলেজ কেমন? এসব এনালাইসিস একটা কাগজে লিখে রাখলেই ভাল। চর্চা করার সময় কাজে আসবে। তবে আপনার স্মৃতিশক্তি ভাল হলে মনে রাখতে পারেন। সুন্দর করে কথা বলার ক্ষেত্রে এই বিষয় মাথায় রাখা জরুরী।আপনার যা সামর্থ্য আছে তাতেই শুরু করুন।এনালাইসিসকরার পর দেখা গেছে আপনার খুবই খারাপ অবস্থা! কিন্তু তাতে কি? আপনি কি শুরু করবেননা? অবশ্যই করবেন। মনে রাখবেন সুন্দর করে কথা বলা পুরটাই চর্চার উপর নির্ভরশীল।চর্চা শুরুর পর নিচের বিষয়গুলিতে জোর দিন। মনে রাখবেন এর কোনটাই মিস করা যাবে না।আগে শুনুনঃ কোন একটা আলোচনায় যোগ দিলে আগে শুনুন কে কী বলছে। এটা সব সময় সম্ভব নয়, কারন আপনি যদি সঞ্চালক হন তবে আপনাকেই আগে কিছু বলতে হবে। সেক্ষেত্রে মুল টপিক টি বলে সবার সবিনয় দৃষ্টি আকর্ষন করে শুনতে থাকুন। কিছু লিখে রাখুন। যা লিখবেন তাতে রেফারেন্স সহ লিখবেন- যেমন কে বলেছেন, কিজন্যে বলেছেন ইত্যাদি। কেকিভাবে কথা বলছেন সেটাও খেয়াল করুন। যিনি সুন্দর করে কথা বলছেন তাকে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তিনি হয়ত আপনার থেকে অনেক জানেন, তাতে কি। আপনিও একসময় জানবেন। ফলো করুন আর মনে মনেভাবুন কিভাবে নিজেকে সেভাবেউপস্থাপন করবেন।সুস্পষ্ট মতামত প্রয়োগঃযথাসময়ে একটি স্পষ্ট মত প্রয়োগ করুন। এমন ভাবে বলবেন না যেন কেউ আপনার কথায়বিব্রত হয়। অন্যের কথার মাঝে কথা বলবেন না। যদি বলতেহয় তবে ভদ্রভাবে বলুন-মাফ করবেন অথবা এক্সকিউজ মী। তারপরে বলুন যে উনার কথাটায় আপনি কি যুক্ত করতে চাচ্ছেন।আত্মবিশ্বাসের সাথে বলুনঃযা বলবেন আত্মবিশ্বাস নিয়েইবলুন। দ্বিধা নিয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ যদি প্রশ্ন করেযে কেন আপনি এত আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছেন, সাথে সাথে সুন্দর ব্যাখ্যা দিন। এবং তাকে এই জন্য একটা ধন্যবাদ জানান।পরিবেশ পরিস্থিতির দিকে খেয়াল করে বলুনঃএকটা আলোচনায় অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট পরিবেশ পরিস্থিতি থাকে না। চেঞ্জ হয়। কখনো হাসির সময় আসে কখনোখুব সিরিয়াস সময় আসে। অনেক সময় গম্ভীর একটা সিচুয়েশন দেখা যায়। সব সিচুয়েশনে সব কথা মানাবে না। নির্দিষ্ট সময়ে সময়োপযোগী কমেন্ট করুন।টপিকের দিকে খেয়াল রাখুনঃঅনেকেই আছেন কথা বলা শুরু করেছেন, মাঝে একটা উদাহরন দিতে গেলেন, উদাহরনের মাঝে সুন্দর একটা গল্প কৌতুক শুরু করে দিলেন। আর আসল টপিকভুলে গেলেন। গল্প শেষে নির্লজ্জের মতো হাসি দিয়ে বললেন- আমি কোথায় যেন ছিলাম? এসব মানুষের কথায় উপস্থিত সকলের কঠিন বিরক্তিহয়। রাগ হয়। পরের বার আর শুনতে চান না কেউই। সবাই নিশ্চয় তাদের মুল্যবান সময় সেই ব্যাক্তির গল্প শুনতে নষ্ট করবেন না?তাই টপিকের দিকে মনোযোগ দিন। যদি এমন হয় তবে লিখে রাখুন। কাগজে লিখে তবেই গল্প উদাহরন যা দেবার দিন। এতে আপনার মনে থাকবে আপনি সত্যিই কোথায় ছিলেন। অফ টপিক সব সময় বলা যায় না। সিচুয়েশন দেখে বলুন।কথার মাঝে দাঁড়ি কমা সেমিকোলনের সময় নিনঃকথা শুধু রেলগাড়ির মত বলে যাবেন না। আবার ষ্টেশনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার মত বিশ্রামও নিবেন না। দাঁড়ি কমা কিংবা বিরাম এর সময় নিন। যাতে বুঝতে সুবিধা হয়।চলিত ভাষায় বলুনঃযে ভাষা সবাই বুঝে সে ভাষায় বলুন। আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করুন। ইংরেজী কথায় কথায় না বলাই ভাল। যাঁরা ইংরেজী বলে পন্ডিত সাজতে চান তারা হাসির খোরাক হন। কোন উদ্ধৃতি ইংরেজীতেই যদি হয় সেটা বলা যেতে পারে। তবে ইন্টারন্যাশনাল কনভার্সেশনে তো পুরাটাই ইংরেজীতে বলবেন। সেখানে ভুলেও নিজের ভাষায় বলবেন না। এতে লোকাল লোকজন খুশি হলেও আন্তর্জাতিক সদস্যরা খুব মনে কষ্ট পান। তাই এদিকেখেয়াল রাখবেন। লোকাল ভাষায় কেউ কিছু জানতে চাইলেও ইংরেজীতেই উত্তর দিন। ভাষা যদি চেঞ্জ করতেই হয় তবে অনুমতি নিয়ে নিবেন।উচ্চারন শুদ্ধ করুনঃসঠিক উচ্চারন আবশ্যিক। এর জন্য প্রয়োজন অনুশীলন। সঠিক বাংলা উচ্চারনে কথা বলে আপনি তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। আপনার কথা সবাই শুনতেই চাইবে শুধু শুনতেই চাইবে। এর জন্য কিছু কোর্স করাও যেতে পারে।অংগভংগীর ব্যাবহারঃকথা বলার সময় সংশ্লিষ্ট অংগভংগীগুরুত্বের সাথে দেখা হয়। অনেকেই এক হাত নাড়িয়ে কথা বলেন। অনেকেই দু’হাত নাড়িয়ে কথা বলেন। আবার অনেকে হাত নানাড়িয়েই কথা বলেন। সত্যি বলতে কী আমাদের কোন কারিকুলামে কথা বলার উপর কোন পাঠ নেই। এটা ব্যর্থ শিক্ষা নীতি। কিন্তু আপনি কিছু অনুশীলনের মাধ্যমে এর যথেষ্ট প্রয়োগ করতে পারেন। যখন যা বলবেন তা বুঝাতে যেভাবে অংগ সঞ্চালন দরকার সেটাই করা উচিত। বড় কিছু বুঝাতে দু’হাতে বড় ইঙ্গিত করাই সঠিক। সুন্দর করে কথা বলার ক্ষেত্রে এটাও আবশ্যিক।কিছু সোর্স অনুসরন করুনঃটিভি, রেডিও, মুভি ইত্যাদি থেকে ভাল কিছু পেলে নোট রাখুন। কাজে দেবে। অনুশীলন করুন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ