পূর্ববর্তী করণীয়ঃ রক্তদাতার ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক থাকতে হবে। একদম খালি পেটে বা ভরা পেটে রক্ত দেয়া ঠিক নয়। দু-তিন ঘণ্টা আগে খেয়ে নিতে হবে। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত। রক্ত দেয়ার তিন ঘণ্টা পর ধূমপান করা যেতে পারে। অ্যালকোহল-জাতীয় পানীয় পান করে থাকলে তার জন্য রক্ত দেয়া উচিত নয়। সাধারণত ১১০ পাউন্ড বা ৫০ কেজির নিচে যাদের ওজন, তাদের রক্ত দেয়া উচিত নয়। রক্ত দেয়ার আগের রাতে রক্তদাতাকে ভালো করে ঘুমিয়ে নিতে হবে। রক্তদানের পর ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে হবে এবং পরবর্তী ৪ ঘণ্টা পর প্রচুর পানীয় (তরল খাবার বা ফলের জুস) গ্রহণ করতে হবে।

পরবর্তী করণীয়ঃ রক্তদাতা দূবর্লতা, মাথা ঘোরা, সূঁচ প্রবেশের স্থানে ক্ষত লালচে দাগ এবং ব্যাথা অনুভব করতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে সূঁচ প্রবেশের নিকটবর্তী স্থানে রক্তজমাট দেখা যায় যা এমনিতে কিছুদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।

রক্তদানের যোগ্যতাঃ বয়স – ১৮-৫৭ বছর। ওজন - ১০০ পাউন্ড বা ৪৭ কেজির উর্ধ্বে। তবে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ( অনুচক্রিকা , রক্তরস ) ওজন ৫৫ কেজি বা তার উর্ধ্বে। রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ৭৫% বা তার উর্ধ্বে থাকলে। সম্প্রতি ( ৬-মাস ) কোন দূঘর্টনা বা বড় ধরনের অপারেশন না হলে। রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে। কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। চার মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি। মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না। 

রক্তদানের সুবিধাঃ প্রতি ৪ মাস অন্তর রক্ত দিলে দেহে নতুন রক্তকোষ সৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকগুন বেড়ে যায়, নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ