কিরাতে ভুল হওয়ার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কিরাতের ভুলটা যদি এমন হয় যার কারণে মারাত্মক অর্থগত বিকৃতি সৃষ্টি হয় তাহলে তো নামায নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি ছুটে যাওয়া বা আয়াতের ধারাক্রমে বিঘ্নতা সৃষ্টি হ ওয়ার মত ভুল হয় এবং সূরা ফাতেহা পড়ার পর তিন আয়াত পরিমাণ কিরাত পাঠ করে এ জাতীয় ভুল করে তাহলে নামায হয়ে যাবে। তবে সূরা ফাতেহার যদি কোনো আয়াত ছুটে যায় তাহলে সেজদা সাহু করতে হবে। নতুবা নামায পুনরায় পড়তে হবে।
কুরআনের অক্ষর, বাক্য, আয়াতগুলো বিশুদ্ধ উচ্চারণ হতে হবে। তিলাওয়াত ভুল হলে গোনাহগার হতে হবে।তবে..নামাজে অশুদ্ধ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে (এটি নামাজ ভঙ্গ হওয়ার কারণ সমুহের মধ্যে একটি)।
তার ধরণ কি?ধরণ হলো- নামাজের ভেতর কিরাতে যদি এমন পরিবর্তন হয়, যার ফলে কোরআনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ পাল্টে যায়, তাহলে নামাজ ভেঙে যাবে, আবার তা আদায় করা ওয়াজিব হবে।
আর কোনো আয়াত মিসিং হয়ে গেলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তবে এর কারণে তিন বার সুবহানাল্লাহ বলা যায় পরিমাণ সময় চুপ থাকলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়। (তাহতাবী ২৫৮; আপ কে মাসায়েল ৪/৫৭)
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মাসআলা-ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়া ওয়াজিব। যদি আপনি ফরয নামাযের ১ম রাকাত বা ২য় রাকাত বা উভয় রাকাতেই সূরা ফাতেহা ভুল করে না পড়েন, তাহলে আপনাকে সিজদায়ে সাহু আদায় করতে হবে। আবার ফরয নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতেহা পড়া সুন্নাত। আপনি যদি যে কোনো ফরয নামাযের ৩য়/৪র্থ রাকাতে সূরা ফাতেহা ভুল করে না পড়েন, তবে সিজদায়ে সাহু দিতে হবে না।