অবশ্যই । আপনি বিদ্যুতায়িত হবেন ।কারেন্টের লাইন দিয়ে অত্যন্ত উচ্চ ভোল্টেজে বিদ্যুত্‍ পরিবহন করে ।মানুষসহ অন্যান্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী একটিমাত্র বিদ্যুত্‍ পরিবাহী তার স্পর্ষ করলেই দূর্ঘটনা ঘঠবে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

প্রথমে জানি

  কারেন্টের ধর্মঃ

কারেন্ট হলো মূলত ইলেকট্রনের প্রবাহ। এটি ধাতব তারের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। যে তার কারেন্টের উৎসের সাথে যুক্ত থাকে তাকে ধনাত্মক লাইন আর যে তার দিয়ে উৎসে ফিরে যায় তাকে ঋনাত্নক লাইন বা আর্থিং বলে।

কারেন্ট শক কি?

প্রাণিদেহে যে সকল পেশীকলা আছে তাদের ধর্ম হলো কারেন্ট শক পেলে সংকুচিত হওয়া। এই ধর্ম কাজে লাগিয়ে দেহ পেশীকলা থেকে কাজ আদায় করে নেয় ফলে দেহ সচল থাকে। কিন্তু দেহ যে পরিমাণ কারেন্ট উৎপন্ন করে তার বেশি কারেন্ট দেহে প্রবেশ করলেই দেহ অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়ে পরে ফলে পেশীর অতিসংবেদনশীলতার দরূন প্রাণী কারেন্টের তার থেকে ছিটকে যায় বা দেহে ঝাকুনি হয় এই ঘটনাকে বলে কারেন্ট শক।

কারেন্ট শকে প্রাণী মরে কেন?

প্রাণীদের হৃদপিন্ডে যে পেশীকলা থাকে তা সর্বদা কাজ করে কখনো বিশ্রাম করে না। এর কারণ হলো কারেন্ট শক। হৃদপিন্ডের পেসমেকার কারেন্ট তৈরি করে এবং পারকিন্জে তন্তুুর সাহায্য সারা হৃদপিন্ডে প্রবাহিত করে ফলে হৃদপিন্ড একসাথে কাজ করে। পেসমেকার শুধু কারেন্ট উৎপন্নই করে না সুইচ হিসেবে কাজ করে কারেন্টের প্রবাহ অন-অফ করে ফলে হৃদপিন্ড ছন্দময় ভাবে কাজ করতে পারে। যদি বাইরে থেকে বিদ্যুৎ দেহে প্রবেশের পর বর্তনী পূর্ণ করে তবে হৃদপিন্ডে কারেন্টের অনবরত প্রবাহ চলে এবং হৃদপিন্ডের অন-অফ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় ফলে হৃদপিন্ডের কাজ শুরু হয় কিন্তু শেষ হয়না। একারণে প্রণীর মৃত্যু ঘটে।

পাখি কারেন্ট শক খায়না কেন?

কারেন্ট শক খাওয়ার পূর্বশর্ত হলো ধনাত্মক ও ঋনাত্নক লাইন একসাথে স্পর্শ করা বা বর্তনী পূর্ণ করা। কিন্তু পাখি কখনো একসাথে দুই তারে বসে না। এরা হয় শুধু ধনাত্মক নয় শুধু ঋনাত্নক তারে বসে ফলে বর্তনী পূর্ণ হয়না ফলে পাখি মরে না।

পাখির গায়ে পালক থাকে এবং পায়ের চামরার উপরে যে আবরণ খাকে তা বিদ্যুৎ অপরিবাহী এই কারনেও পাখিরা কারেন্ট শক খায়না। তবে পাখির পালক তুলে ফেললে পাখিরা কারেন্ট শক খাবে। এটা একদম সত্য। পাখিরা যদি দুই তারে বসে তবে অবস্যই কারেন্ট শক খাবে।

কিছু বিশেষ তথ্যঃ

মানব দেহের ভেতর দিয়ে ১০ মিলি এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হলে মৃত্যু অবধারিত।

মানব দেহে প্রাকৃতিক ভাবে ২ মেগা ওহম রেজিট্যান্স আছে ফলে ১০ মিলিএম্পিয়ার এর নিচে কারেন্ট প্রবেশ করলে কারেন্ট শক করে না। 

একজন ৭০কেজি ভরের মানুষের দেহে ৭৫

মিলিএ্যাম্পিয়ার ডিসি কারেন্ট এবং এসির

ক্ষেত্রে ১৫ মিলিএ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত

হলে বৈদ্যুতিক শক অনুভুত হয়। বৈদ্যুতিক শক অনুভুতির

মাত্রা নির্ভর করে ভোল্টেজের পরিমাণ,

স্থায়ীত্ব, কারেন্ট প্রবাহের পথ ইত্যাদির উপর।

উচ্চ ভোল্টেজে (৫০০-১০০০ ভোল্টে) মানুষের

দেহের কোষ পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।

বৈদ্যুতিক শক মানুষের স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে

পারে। যেমনঃ স্নায়ু বিকলাংগ হয়ে যেতে পারে।

কম ভোল্টেজে (১১০-২২০ ভোল্ট , ৬০হার্জ এসি)

মাত্র ৬০ ডিসি কারেন্টকারেন্ট প্রবাহিত হলে

মানুষের হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া (Ventricular fibrillation)

বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই।

ডিসি কারেন্টের ক্ষেত্রে এর মান ৩০০-৫০০

মিলিএ্যাম্পিয়ার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

না শক্ত করে ধরতে পারলে শক লাগবে না জদিনা আর্থিং এর সংস্পর্শে থাকেন। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ