কারেন্ট শক খাওয়ার পূর্বশর্ত হলো ধনাত্মক ও ঋনাত্নক লাইন একসাথে স্পর্শ করা বা বর্তনী পূর্ণ করা। কিন্তু পাখি কখনো একসাথে দুই তারে বসে না। এরা হয় শুধু ধনাত্মক নয় শুধু ঋনাত্নক তারে বসে ফলে বর্তনী পূর্ণ হয়না ফলে পাখি মরে না।
পাখির গায়ে পালক থাকে এবং পায়ের চামরার উপরে যে আবরণ খাকে তা বিদ্যুৎ অপরিবাহী এই কারনেও পাখিরা কারেন্ট শক খায়না। তবে পাখির পালক তুলে ফেললে পাখিরা কারেন্ট শক খাবে। এটা একদম সত্য। পাখিরা যদি দুই তারে বসে তবে অবস্যই কারেন্ট শক খাবে।
যখন আমাদের দেহের ভেতর দিয়ে বিদ্যুত প্রবাহিত হয় তখনি আমরা বৈদ্যুইতিক শক অনুভব করি । মানুষ যদি মাটি বা কোনো পরি বাহি পদার্থ যা মাটির সংযুক্ত আছে না ষ্পর্শ করে একটি বৈদ্যুইতিক তার ধরে তাহলে মানুষকেও বিদ্যুত শক করবে না । ঠিক তেমনি ঘটে পাখির ক্ষেত্রেও । পাখির দেহে বিদ্যুত প্রবেশ করে কিন্তু যাওয়ার পথ না থাকায় তাদের শক করে না । পাখির পা ও পরিবাহী । কেন না দুটি পাখি (মা ও বাচ্চা) যদি দুইটি তারে বসে থাকে তখন তাদের বিদ্যুত শক করে না । কিন্তু মা যখন তার বাচ্চা টিকে খাওআইতে ধরে তখনি তারা বৈদ্যুইতিক শকে মারা যায় । কেননা তাদের মাধ্যমে দুই তারের মধ্যে সংযোগ হয় । তাই পাখির পা ও বিদ্যুত পরিবাহী ।
পাখি বৈদ্যুতিক লাইনের তারের উপর বসলে শক করে না ।
কারণ হল , পাখি একটি তারের উপর বসে । যার জন্য বর্তনী সম্পুর্ন হয় না, তাই পখির মধ্য দিয়ে কোন বিদ্যুৎ পরিবাহিত হয় না । যার কারনেই বৈদ্যুতিক লাইনের তারের উপর বসলে শক করে না।
মানুষ বা অন্য কোনও প্রাণি যদি ফেজ তার স্পর্শ করে তাহলে সে এক ধরনের ঝাঁকুনি অনুভব করবে।
যদি ওই প্রাণী বা মানুষের শরীরের কোনও অংশ মাটি বা আর্থ কেবলের সাথে যুক্ত থাকে তাহলে তার শরীর তখন
পরিবাহকের ভূমিকা পালন করবে।অর্থাৎ বর্তনী সম্পুর্ন হবে ।
শরীরের ভেতরে তখন বৈদ্যুতিক ক্রিয়া শুরু হবে/শক লাগবে ভীষণ মাত্রায়।
কোনো পাখি যখন বিদ্যুতের তারে বসে, তখন সে একটি তারের সাথেই সংযুক্ত থাকে। তাই তার ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে
মাটিতে চলে যেতে পারে না। আর পাখিরা সাধারণত একটি তারেই বসে। যার ফলে অন্যতারের সাথে কোন
সংযোগ ঘটে না। ফলে পাখির শক লাগে না।
পাখি কারেন্ট শক খায়না কেন?
কারেন্ট শক খাওয়ার পূর্বশর্ত হলো ধনাত্মক ও ঋনাত্নক লাইন একসাথে স্পর্শ করা বা বর্তনী পূর্ণ করা। কিন্তু পাখি কখনো একসাথে দুই তারে বসে না। এরা হয় শুধু ধনাত্মক নয় শুধু ঋনাত্নক তারে বসে ফলে বর্তনী পূর্ণ হয়না ফলে পাখি মরে না।
পাখির গায়ে পালক থাকে এবং পায়ের চামরার উপরে যে আবরণ খাকে তা বিদ্যুৎ অপরিবাহী এই কারনেও পাখিরা কারেন্ট শক খায়না। তবে পাখির পালক তুলে ফেললে পাখিরা কারেন্ট শক খাবে। এটা একদম সত্য। পাখিরা যদি দুই তারে বসে তবে অবস্যই কারেন্ট শক খাবে।
আরেক্টু বিস্তারিত দেখুন
বর্তনী (circuit connection) সম্পূর্ণ করতে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জের সংযোগের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিদ্যুৎবাহী (conductor) তারে পাখি বসলে বর্তনী সম্পূর্ণ হয় না বলে পাখি বিদ্যুতায়িত (electric shock) হয়ে মারা যায় না। কিন্তু পাখিটি যদি অন্য কোন তার স্পর্শ করে কিংবা ভূ-সংযুক্ত কোনো পরিবাহীর সংস্পর্শে আসে, তাহলে বর্তনী পূর্ণ হবে এবং এর ভিতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার ফলে পাখিটি মারা যাবে। বাদুড় বা অন্য কোন পাখিকে বৈদ্যুতিক তারে মৃত অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়, সে ক্ষেত্রেও এই ঘটনাই ঘটে।
কিছু বিশেষ তথ্যঃ
মানব দেহের ভেতর দিয়ে ১০ মিলি এম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত হলে মৃত্যু অবধারিত।
মানব দেহে প্রাকৃতিক ভাবে ২ মেগা ওহম রেজিট্যান্স আছে ফলে ১০ মিলিএম্পিয়ার এর নিচে কারেন্ট প্রবেশ করলে কারেন্ট শক করে না।
একজন ৭০কেজি ভরের মানুষের দেহে ৭৫
মিলিএ্যাম্পিয়ার ডিসি কারেন্ট এবং এসির
ক্ষেত্রে ১৫ মিলিএ্যাম্পিয়ার কারেন্ট প্রবাহিত
হলে বৈদ্যুতিক শক অনুভুত হয়। বৈদ্যুতিক শক অনুভুতির
মাত্রা নির্ভর করে ভোল্টেজের পরিমাণ,
স্থায়ীত্ব, কারেন্ট প্রবাহের পথ ইত্যাদির উপর।
উচ্চ ভোল্টেজে (৫০০-১০০০ ভোল্টে) মানুষের
দেহের কোষ পুড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
বৈদ্যুতিক শক মানুষের স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলতে
পারে। যেমনঃ স্নায়ু বিকলাংগ হয়ে যেতে পারে।
কম ভোল্টেজে (১১০-২২০ ভোল্ট , ৬০হার্জ এসি)
মাত্র ৬০ ডিসি কারেন্টকারেন্ট প্রবাহিত হলে
মানুষের হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া (Ventricular fibrillation)
বন্ধ হয়ে যেতে পারে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই।
ডিসি কারেন্টের ক্ষেত্রে এর মান ৩০০-৫০০
মিলিএ্যাম্পিয়া
উত্তর নেয়া হয়েছে মোঃ রাকিব ভাই থেকে।