সমালোচনা মুসলমানের আদর্শ নয়, সমজোতা মুসলমানের মূল আদর্শ। কিন্তু আজকাল মুসলমান মুসমানের সমালোচনা নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে। সমজোতায় কাউকে খুব বেশি দেখা যায় না। এই সমস্যা বিশেষ করে বাংলাদেশ ও আমাদের পাশ্ববর্তী দেশগুলিতে বেশি দেখা যায়। এর জন্য সমজোতার কোনো পথ বা সমালোচনা কমানোর কোনো উপায় আছে কী?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, আজকাল মুসলমানদের পরস্পরের মধ্যে মিল নেই। একজন আরেকজনের সমালোচনায় লিপ্ত। একজন অন্যজনকে দেখতে পারে না, হিংসা করে, প্রতিপক্ষ মনে করে। অথচ জাহিলিয়াতের যুগে মানুষ পরস্পর শত্রু ছিল। ইসলাম এসে তাদেরকে বন্ধু বানিয়ে দিল ,ভাই-ভাই বানিয়ে দিল। ইসলাম এসেছেই ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করার জন্য। সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কিন্তু তাদের উত্তরসূরি হয়ে আমরা কী-ই না করছি! এই অমিল এবং সমালোচনার মানসিকতার কারণ কী? কী করলে সমালোচনা ছেড়ে পরস্পরে সমজোতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করা যাবে? বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম সায়্যিদ মাওলানা আবুল হাসান আলি নদবি রাহিমাহুল্লাহর ভাষ্যমতে এরজন্য দুইটি বিষয় দরকার: ১. ইখলাস এবং ২. আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক। আমরা যদি ইখলাসের সঙ্গে শুধু আল্লাহকে খুশি করার জন্যই কাজ করি এবং আল্লাহর সঙ্গে হৃদয়ের সম্পর্ক রাখি, তাহলেই সম্ভব পরস্পর মিল-মহব্বত সহকারে কাজ করা। তখনই সম্ভব সমালোচনা এবং হিংসা ত্যাগ করা। আজকাল সবাই অনুসরণীয় হতে চায়, সবাই নিজেকে বড় মনে করে। কিন্তু নিজেকে অনুসরণীয় না মনে করে যদি নিজে অন্যের অনুসরণ করে অন্যের অধীনে কাজ করে, তাহলেই নিজের মধ্যে ইখলাস সৃষ্টি করা সম্ভব। তখন সমালোচনা বাদ দিয়ে পরস্পর সমজোতা ও মিল-মহব্বতের সঙ্গে কাজ করা সহজ হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ