...........................................................................
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বিআন্নাকা আংতাল্লাহু, লা ইলাহা ইল্লা আংতাল আহাদুস সামাদ, আল্লাজি লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ, ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।’
অর্থঃ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি এবং জানি যে, তুমিই আল্লাহ, তুমি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, তুমি এক, অনন্য, মুখাপেক্ষীহীন ও অন্যদের নির্ভরস্থল। যিনি জনকও নন, জাতও নন এবং যার কোনো সমকক্ষ নেই।’
তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘সে আল্লাহকে তাঁর ইসমে আজম বা সর্বাধিক বড় ও সম্মানিত নামের সঙ্গে ডাকল। যা (ইসমে আজম) দ্বারা যখন কেউ তাঁর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তিনি তাকে তা দান করেন এবং যা দ্বারা যখন কেউ তাঁকে ডাকে, তিনি তাঁর ডাকে সাড়া দেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, মিশকাত)
রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ওযু করে পবিত্র হয়ে দুই রাকাত সালাতুত তওবার নামাজ পড়ে ও তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েঃ ১০০ বার সুবাহানাল্লা ( আল্লাহ পবিত্র) ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ ( সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য) ১০০ বার আল্লাহু আকবার ( আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ) ১০০ বার ইয়া ওয়াহহাব ( আল্লাহ সবকিছু দানকারী) ১০০ বার আসতাগফিরুল্লাহ ( আমি আমার আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি) ১০০ বার দোয়া ইউনুছ তথা লা ইলাহি ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুন-তু মিনাজ জোয়ালেমিন ( আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই, আল্লাহ পবিত্র মহান , আমি তো সীমা লঙ্ঘনকারী ) ১০০ বার আল্লাহর মহান রসুল সঃ এর উপর ১০০ বার দরুদ পড়ে দোয়া করলে ইনশাআল্লাহ দোয়া কবুল হবে। আল্লাহ আপনার সমস্যা সমাধান করে দিবেন।
আল্লাহ সবসময় তার বান্দাদের দোয়া কবুল করেন। আমরা মনে করি যে আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করেন না, কিন্তু আসলে তিনি আমাদের দোয়া কবুল করেন। আল্লাহ বলেন:' তোমরা আমাকেই স্মরণ কর, আমিও তোমাদেরকে স্মরণ করব।'(২:১৫২) 'এবং যখন আমার বান্দারা আমার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করে, তখন তাদেরকে বলে দাও: নিশ্চয় আমি সন্নিকটবর্তী; কোনো আহ্বানকারী যখনই আমাকে আহবান করে তখনই আমি তার আহবানএ সাড়া দিয়ে থাকি'। (২:১৮৬) দোয়া মূলত তিনটি পরিস্থিতে থাকতে পারে। কেউ দোয়া করলে সে দোয়া তিনটা অবস্থার যে কোনো একটি তে থাকতে পারে। ১) দোয়া দুনিয়াতেই কবুল করা হতে পারে। ২) আখেরাতে পুরষ্কার স্বরুপ উহা সঞ্চয় করে রাখা হবে,অথবা ৩) দুয়ার অনুরুপ একটি বিপদ থেকে মুক্তি দেয়া হবে। দুয়া কবুল হওয়ার প্রকাশ্য কিছু কারণ- ১) দুয়ার পুর্বে কিছু নেক আমল করা। ২) প্রথমে আল্লাহর উপযুক্ত প্রশংসা করে দুয়া শুরু করা। ৩) যে বিষয়ে দুয়া করা হবে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আল্লাহর গুণাবলি চয়ন করে তার মাধ্যমে উসীলা করে দুয়া করা। ৪) অনুগ্রহ ও ভিক্ষার মাধ্যমে অনুনয় বিননয় প্রকাশ করে দুয়া চাওয়া। ৫) দুয়ার প্রথমে ও শেষে দুরুদ পাঠ করা। ৬) নিজের পাপের স্বীকারোক্তি করা ও আল্লাহর অনুগ্রহ স্বীকার করা। যে সমস্ত সময় সময় দুয়া কবুলের সম্ভাবনা রয়েছে: ১) রাতে ও দিনের মধ্যে ২) রাতের এক-তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকতে যখন আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন। ৩) আযানের পর। ৪) ওযুর পর। ৫) সিজদায়ে গিয়ে। ৬) অত্যাচারিত ব্যাক্তির দুয়া ঈ সন্তানের জন্য মাতআ পিতার দুয়া কবুল হয়। ৭) কোনো মুসলিম ভাইয়ের অনুপস্থিতে তার জন্যে দুয়া করলে তা কবুল হয়। ৮) জুম্মার দিনে এক নির্দিষ্ট সময়ে দুয়া কবুল হয়। ৯) আরাফাত দিবসে, লাইলাতুল কদরে, ইফতারের সময় ও সাহরির সময় দুয়া কবুল হয়। দুয়া করার সময় অবশ্যই পুর্ণ ঈমান নিয়ে দুয়া কর্যে হবে।এই আশা রাখতে হবে যে আল্লাহ নিশ্চয় আমার দুয়া কবুল করবেন। নিজেকে হারাম থেকে দূরে রাখবেন, এতে দুয়া কবুলের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ও বেশি বেশী করে তাওবা করবেন ও দুয়ার সময় কান্নাকাটি করবেন। হাত তুলে দুয়া করবেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,' আল্লাহর কাছে হাত তুলে দুয়া কর, কেননা আল্লাহ খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। আল্লহ বলেছেন, ' তোমাদের কাছে হয়ত কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয়, অথচ তোমাদের জিন্যে অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন তোমরা জান না। (২:২১৬) হয়ত আপনি আল্লাহর কাছে একটি বাইকের জন্য দুয়া করলেন। কিন্তু আপনি তা পেলেন না। আপনার মনে হবে যে আল্লাহ আপনার দুয়া কবুল করেননি। কিন্তু আল্লাহ আপনার ভাল চান। তিনি জানেন যে আপনি বাইক চালালে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ তা চান না আর সে কারণেই আল্লাহ আপনাকে বাইক দেন নি। অর্থাৎ আল্লাহ আপনার দুয়ায় সাড়া না দেয়ার মাধ্যমেই আপনার দুয়া কবুল করেছেন।!!! তাই হতাশ হবেন না। আল্লাহর কাছে সবসময় দুয়া করুন। নিশ্চয় কোন না কোন উপায়ে আপনার দুয়া কবুল হবেই!!!!