1)
বিব্রতকর হলেও সত্যি, কথা বলার সময় অনেকের মুখ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়। এই সমস্যা যাদের রয়েছে তারাও হয়তো নিয়মিত দাঁত পরিস্কার করেন। তারপরও মুখ থেকে গন্ধটা দূর হয় না। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে দাঁতগুলো ঝকঝকে পরিস্কার হলেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। কারণ আমরা যে খাবারগুলো খাই, দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা সেই খাদ্যকণা খেয়ে মুখের ভেতরের জীবাণু বেঁচে থাকে। জীবাণুগুলো যখন এসব খাদ্যকণা খেতে থাকে, তখন খাদ্যকণা ভেঙে দুর্গন্ধযুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। এই গ্যাস কথা বলার সময় দুর্গন্ধ হয়ে বেরিয়ে আসে। মুখের বিরক্তিকর দুর্গন্ধ দূর করতে: প্রতিদিন সকালে নাস্তার পরে ও রাতে শোয়ার আগে সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করুন, শুধু দাঁত নয় জিহ্বাও পরিস্কার করুন, প্রতিবার খাবারের পর ভালোভাবে কুলকুচি করতে হবে, ঘন ঘন প্রচুর পরিমাণে পানি বা অন্য কোনো তরল পানীয় পান করুন, লালা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে, লালা তৈরি করতে লবঙ্গ বা আদা খেতে পারেন
ধূমপান থেকে দূরে থাকুন, মুখের গন্ধ দূর করতে চা অত্যন্ত কার্যকর, এক কাপ চায়ে কিছু পুদিনার পাতা বা লবণ দিয়ে কুলকুচি করে নিন। মুখের দুর্গন্ধ নিমেষেই দূর হয়ে যাবে। লেবু শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, দূর করে মুখের দুর্গন্ধ। খাবারে নিয়মিত লেবু খেলে মুখের দুর্গন্ধের সঙ্গে দূর হবে শরীরের বাড়তি মেদও। সুস্থতার জন্য নিয়মিত মুখ ও দাঁতের চেকআপ করতে হবে।
এছাড়া নিয়মিত ধুমপান, সেবন, দাঁত ও মাড়ির ইনফেকশন, ফুসফুস-লিভারের অসুখ, সাইনোসাইটিস, ডায়াবেটিস ও জ্বর হলে মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে।
2)দুর্গন্ধ দূরীকরণে করণীয় কাজ –
১। মুখে ঘা, ক্ষয়রোগ, মাড়ি রোগ হলে দ্রুত উপযুক্ত চিকিৎসা নেয়া অতিব দরকারি। এজন্য আপনার নিকটবর্তী ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
২। নিয়মিত দাঁত, মাড়ি, জিহবা পরিষ্কার করুন।
৩। নিয়মিত মাউথ অয়াশ দিয়ে গড়গড়া করুন।
৪। সকালে এবং রাতে শোবার আগে দাঁত ব্রাশ করুন। সেই সাথে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা ময়লা বের করতে ফ্রস ব্যবহার করুন।
৫। মুখে লালা বাড়াতে মাঝে মাঝে চুইংগাম চিবাতে পারেন।
৬। বর্তমানে বাজারে প্রোবায়োটিকস পাওয়া যায় সেগুলি খেলেও উপকার পাবেন আশা করা যায়।
৭। বড় কোন রোগের কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়ে থাকলে রোগ নিরাময়ের জন্য চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।