শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১। স্ফটিক কঠিন পদার্থের একটি বিশেষ রূপ। যে সকল কঠিন পদার্থের কণাগুলো কোনো নির্দিষ্ট নিয়মে সজ্জিত থাকে, তাদেরকে দানাদার পদার্থ বলা হয় (crystalline) এই জাতীয় পদার্থের অণুগুলো একটি সুনির্দিষ্ট ত্রিমাত্রিক রূপ লাভ করে। এই জাতীয় পদার্থকে সাধারণভাবে স্ফটিক বা কেলাসাকার পদার্থ বলা হয়। পদার্থের বিশেষ ধরনের  আণুবীক্ষণিক বিন্যাসকে বলা হয় স্ফটিক গঠনবিন্যাস (Crystal structure)

ছোটো ছোটো স্ফটিককণাগুলো একত্রিত হয়ে কখনো কখনো একই আকারের বড় স্ফটিক তৈরি করে। স্ফটিক বিভিন্ন রঙের হতে পারে। বিষয়টি নির্ভর করে এর উপাদানের উপর।

স্ফটিকে পানি আছে কি নাই, তার উপর নির্ভর করে স্ফটিককে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগ দুটি হলো
১. অনার্দ্র স্ফটিক : এই জাতীয় স্ফটিকের মূল উপাদানের সাথে কোনো পানির অণু থাকে না। যেমন লবণ (NaCl)

২. সোদক স্ফটিক : এই জাতীয় স্ফটিক তৈরির ক্ষেত্রে স্ফটিকের মূল উপাদানের সাথে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক পানির অণু থাকে। এই পানিকে কেলাস-পানি বলা হয়। মূলত ওই পাণির অণু না থাকলে স্ফটিক তৈরিই হবে না। এমন কি দেখা যায়, এই জাতীয় কোন স্ফটিক থেকে পানির অণু সরিয়ে নিলে, স্ফটিকরূপ নষ্ট হয়ে যায়। যেমনতুঁতে বা নীল ভিট্রিয়ল (CuSo4, 5H2O), ফিটকিরি (K2SO4, Al2(SO4), 24H2O), জিপসাম (Ca2SO4, 2H2O) ইত্যাদি।

 

২।শাকসবজি নীল রঙ করতে ব্যবহৃত অজৈব যৌগটি হল সোদক কিউপ্রিক সালফেট বা তুঁতে (CuSO4, 5H2O)  http://onushilon.org


 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ