শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

ঔষধ পরিবর্তন করুন, সেকলো, অথবা

লোসেকটিল খেতে পারেন।

* অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না।

* বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খান।

* মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা অনেক সময় এসব সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। তাই মানসিক চাপ নেবেন না।

* তৈলাক্ত খাবার বাদ দিতে চেষ্টা করুন। খেতে হলে খাবার আগে বা পরে পানি খাবেন না। অন্তত ৩০ মিনিট পরে এক গ্লাস পানি পান করুন।

* মাংস, ডিম, বিরিয়ানি, মোগলাই, চায়নিজ খাবার যা-ই খান না কেন, তা দুপুরের মেন্যুতে অন্তর্ভুক্ত করুন। রাতের খাবারটি যেন হালকা হয়। শাকসবজি, ছোট মাছ এসব দিয়ে রাতের মেন্যু সাজান।

* সাইনাসের সমস্যা না থাকলে ঠাণ্ডা পানি পান করুন। আবার খুব বেশি ঠাণ্ডা যেন না হয়। তবে গরম পানি পান না করাই মঙ্গলজনক।

* ভাত খাওয়ার আগে এক বা দুই গ্লাস পানি পান করুন। তারপর ভাত খান। খাওয়ার পরপরই অনেক বেশি পানি পান করার প্রবণতা বাদ দিন। ভাত খাওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পর পানি পান করুন।

* প্রতিদিন খাবারের মেন্যুতে অন্তত একটি হলেও যেন ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার থাকে, তা নিশ্চিত করুন। সেটা ল্যাক্সিটেভ হিসেবে কাজ করবে। দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্য। এতে গ্যাস তৈরি হবে না। যেমন- শাকসবজি, কলা, ঢেঁড়স ইত্যাদি।

* সরাসরি গ্লুকোজ অর্থাৎ চিনি যথাসম্ভব কম খান। যদি খেতেই হয় চেষ্টা করুন গুড় দিয়ে চিনির অভাবটা পূরণ করতে।

* বাইরের জুস বাদ দিন।

* অনেকে রাতে খাওয়ার পর আইসক্রিম খেতে পছন্দ করেন। এটাও বাদ দিন।

* দিনে কিংবা রাতে খাওয়ার পরপরই অনেকে শুয়ে পড়তে পছন্দ করেন। এটা না করে কিছুক্ষণ আস্তে আস্তে হাঁটাচলা করতে পারেন অথবা বসে থাকতে পারেন সোজা হয়ে। অন্তত ৩০ মিনিট পর ঘুমাতে যান।

প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময়

লং : দুটি লং মুখে নিয়ে চিবোতে থাকুন, যেন রসটা পেটে যায়।

জিরা : এক চা চামচ জিরা ভেজে নিন। এবার এমনভাবে গুঁড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। ওই গুঁড়াটি এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন।

গুড় : গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে, সঙ্গে সঙ্গে এক টুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে নয়।

মাঠা : মাঠা এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে। তবে এর সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া দিতে হবে।

পুদিনা পাতা : প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম হবে না।

বোরহানি : ভারী খাবারের পর এক গ্লাস বোরহানি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে।

তুলসীপাতা : গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে ৫-৬টি তুলসীপাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি কমে যাবে। এ ছাড়া তুলসীপাতা প্রতিদিন বেটে পানিতে মিশিয়ে খেলে এসিডিটি হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।

আদা : খাওয়ার আধাঘণ্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ