মাত্রাতিরিক্ত
চুল পড়লে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।
ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।
ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।
১,,চুল পরিষ্কার রাখা,,,,,,, চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করার বাজে অভ্যাস। চুল পড়া রোধে নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। নিয়মিত চুল না ধুলে মাথার ত্বকে ময়লা জমে খুশকির জন্ম হয়, যা কিনা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। আর খেয়াল রাখুন চুল ধোয়ার জন্য আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পু যেন অবশ্যই হালকা হয়। ২,,,পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা,,,,,,, আমাদের চুলের গঠনের অন্যতম উপাদান হল কেরাটিন, যা কিনা অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন এ উপাদান। মনে রাখবেন ভেতর থেকে পুষ্টি না সরবরাহ করতে পারলে বাইরের কোন কিছুই আপনাকে চুল পড়া থেকে রক্ষা করতে পারবেনা।
১. সপ্তাহে নূন্যতম দু’দিন মেহদি পাতা এবং তার সঙ্গে ৪/৫টি লাল রক্ত জবা বেঁটে নিন। এবার এটি মাথায় মাখার আগে চুলে সামান্য করে তেল লাগিয়ে নিন, না হলে চুল লাল হয়ে যেতে পারে। এবার মাথার গোড়া থেকে শুরু করে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। যেদিন এটি করবেন সেদিন মাথায় স্যাম্পু না করাই ভালো। আর পরের দিন অবশ্যই স্যাম্পু করুন। এ পদ্ধতি অনুসরণে আপনার চুল পড়া যেমন রোধ হবে, তেমনি চুল কালো হবে।
২. নারকেল তেলের সঙ্গে এক থেকে দু টেবিল চামচ (চুলের পরিমান অনুয়ায়ী) কাষ্টার্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে ভালো ভাবে ম্যাসেজ করলে চুল পড়া কমে।
৩. মাথায় যদি সামান্য টাক পড়ে যেতে লাগে, তাহলে একটি মাঝারি সাইজের পেয়াজ অর্ধেক করে কেটে টাক পড়ে যাওয়া জায়গায় ভালোভাবে ঘসতে হবে।
৪. কালমেঘ পাতা বেঁটে রস করে সপ্তাহে দু’দিন মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে, মাথার চুল কাল হয় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৫. যাদের মাথা গরম হয়ে যাবার সমস্যা আছে তাদের জন্য বড় চিন্তার বিষয় হচ্ছে মাথা গরম হলে চুল পড়ে। এক্ষেত্রে এলোভেরা পাতার ভিতরের নির্যাস বের করে ভালোভাবে ফেটে মাথার তালুতে লাগালে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং চুল পড়া কমে যায়।
৬. আমলকীর চূর্ণ বা গুড়া নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে মাথায় মালিশ করুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
৭. প্রতিদিন ২০-২৫গ্রাম পাকা আমলকি খেলে চুল পড়া এবং চুল পাকা সমস্যা প্রশমিত হয়।
৮. বেদানার পাতা, খোসা এবং দানা একসাথে বেঁটে তাতে সরিষার তেল দিয়ে হালকা আঁচে গরম করুন। গরম তেল ঠান্ডা করে ছেঁকে বোতলে রেখে দিন। প্রতিদিন দু’ থেকে তিন বার এ তেল মাথায় ম্যাসেজ করলে টাক সমস্যার সমাধান হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
৯. সজীব ধনে পাতা বেঁটে তার রস বের করে চুলের গোড়ায় মালিশ করলে চুল ঝলমলে, নরম, কালো হয়। আর সাথে সাথে চুল পড়া বন্ধ হয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
১০. স্বর্ণ লতা বেঁটে রস করে নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করে ১০-১৫ মিনিট রেখে স্যাম্পু করলে চুল পড়া কমে এবং চুল ঘন হয়। কিন্তু যাদের এলার্জির সমস্যা আছে, তারা এটি সতর্কতার সাথে ব্যবহার করবেন।
চুল পড়া যদিও প্রাকৃতিক, তবুও আপনি,, মাথায় ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে পারেন, ক্যাস্টর অয়েল (নিকটস্থ বাজারে খোঁজ করুন পেতে পারেন) খুব ঘন হওয়ায় নারিকেল তেলের সাথে মিশিয়ে একদিন পরপর লাগাবেন । আর ঔষুধ হিসেবে ই-ক্যাপ ৪০০ এমজি প্রতিদিন রাত্রে ১ টা করে খাওয়ার পর খাবেন । পেটে গ্যাস থাকার কারণেও চুল পড়ে যায়, তাই প্রচুর পানি পান করবেন, ভাজা-পোড়া খাওয়া একদম বাদ দিবেন । আর কোনো মাসে ২ বার ন্যাঁড়া করতে পারেন । চুল পড়া রোধ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে ।