শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
TarikAziz

Call

মনোযোগ (concentration): আপনি যদি দ্রুত পড়া মুখস্থ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে যা করতে হবে তা হলো মনোযোগ স্থাপন। মনোযোগ ছাড়া আপনি কখনোই পড়া মনে রাখতে পারবেন না। তাই পড়তে বসার প্রথম শর্ত হলো আপনার মনোযোগ পড়ার প্রতি কেন্দ্রীভূত করা।


দ্রুততা (speed): মনে রাখবেন “your brain is faster than your tongue” তাই পড়তে বসার সময় আপনার দৃষ্টি পড়ার বইতে নিবদ্ধ রাখুন। আরেকটা পদ্ধতিতে আপনি পড়া দ্রুত আত্মস্থ করতে পারেন সেটা হল সামান্য উচ্চস্বরে পড়া। তবে এটি সবার ক্ষেত্রে এক কাজ করবে এমনটা নয়। কেউ শব্দ করে পড়া মুখস্থ করতে পারে আবার কেউবা কোন প্রকার শব্দ ছাড়াই পড়তে পারে।


বুঝে পড়া (understanding): যখন আমরা কোন গল্পের বই পড়ি, প্রতিটা লাইন খুব বুঝে বুঝে পড়ি এমনকি এক লাইন বুঝতে না পারলে বার বার সেই লাইনটা পড়ে বোঝার চেষ্টা করি। একইভাবে পাঠ্যবইটিও বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করুন। দ্রুত পড়া মুখস্থ করতে বুঝে পড়ার বিকল্প নেই।


আপনি যতোটা পারেন পড়তে বসে নোট রেখে পড়ুন। যখনই কোথাও আটকে যাবেন তখনই সেই পড়ার সম্পর্কে একটি নোট রাখুন দেখবেন পড়তে গেলে আর আটকাবেনা। পড়াটিও মনে গেঁথে যাবে।


(copy)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমি একজন শিক্ষক হিসাবে বলছি যে,পড়ার আগে বিসমিল্লা বলে দোয়া পড়ে নিতে হবে ।রাব্বি জিদনি ইলমা পড়বে মোট 11 বার ।তারপর যায় পড়বে সেটা ভালোভাবে বুঝে বুঝে রিডিং পড়ে নিতে হবে ।তারপর একলাইন একলাইন করে মুখস্থ করে করে খাতায় লিখবে ।এভাবে পুরোটা শেষ করতে হবে ।এটা যদি অভ্যাস করতে পারে তাহলে পড়া শিখতে কখনও কষ্ট করতে হবে না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইদানিং ছাত্রছাত্রীরা প্রায়ই একটি সমস্যাতে

ভুগে থাকেন। আর সেটা হলো কোনোভাবেই পড়া

মনে রাখতে না পারা। সাধারণত অতিরিক্ত লেখাপড়ার চাপে

তাদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। দেখা যায় যে অনেক

পরিশ্রম করে পড়া মুখস্ত করে পরীক্ষা দিতে

গেলেন, কিন্তু পরীক্ষা হলে গিয়ে সব বেমালুম

ভুলে বসেছেন। কেন পড়াটি তাদের বেশিক্ষণ মনে

থাকে না? আর এই সমস্যাটি থেকে বাঁচার উপায়টাই বা কী?

আসুন জেনে নিই সহজ কয়েকটি উপায়ে স্মৃতিশক্তি

কীভাবে বাড়ানো যায়, কীভাবে পড়া অনেকক্ষণ

মনে রাখা যায়।

১. মনোযোগ তৈরি করা :

মানুষের সমস্ত ক্রিয়াই নিয়ন্ত্রণ করে মন। আর মনটিকেই

প্রথমত বুঝিয়ে নিতে হবে যে এখন আমি এই কাজটি করব

এবং এই কাজটি আমাকে মনে রাখতে হবে। তাই পড়ার

বিষয়ে আগে মনোযোগ বসিয়ে নিতে হবে। যে

পড়াটি পড়বেন সেই পড়াটিতে মনোযোগ স্থাপন

করতে হবে।

২. মেডিটেশন করে নিন :

পড়াশোনায় মনোযোগ পুরোপুরি বসাতে চাইলে

ব্রেন থেকে যাবতীয় যত চিন্তা তা মুক্ত করতে হবে।

অর্থাৎ ব্রেনটিকে রিফ্রেশ করতে হবে। এর জন্য

মেডিটেশন সবচেয়ে উপযোগী। মেডিটেশন

ব্রেনকে সতেজ ও চিন্তামুক্ত করে তোলে এবং এর

কাজ করার ক্ষমতাকে হাজার গুল বাড়িয়ে দেয়। এর জন্য

স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তুলতে মেডিটেশন করে নিতে

পারেন।

৩. জটিল টপিকগুলো বারবার পড়ুন :

মনে রাখার জন্য ছোটবেলা থেকেই বারবার পড়ার

অভ্যাস গড়ে তুলতে বলেন বাবা মায়েরা। একটি বিষয়ে

অনেক জটিল টপিক থাকতে পারে। এই জটিল টপিকগুলো

একবার পড়ে মনে রাখা সম্ভব না। তাই এই ধরনের জটিল

টপিকগুলো বারবার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।

প্রয়োজনে অবসর সময়ে তা আওড়াতে পারেন।

এতে বিষয়টি মনে থাকবে বেশি।

৪. বাস্তবের সাথে মিলিয়ে পড়ুন :

কোনো কিছু মনে রাখার জন্য তা যদি বাস্তব কোনো

বিষয়ের সাথে মিলিয়ে পড়া যায় তাহলে তা অনেক বেশি

মনে থাকে। এজন্য যতটা সম্ভব বাস্তব কোনো

বিষয়কে উদাহরণ হিসেবে ধওে পড়াটি মুখস্ত করুন।

৫. পড়াটি কাউকে বোঝান :

স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে বা পড়াটি মনে রাখতে সবচেয়ে

উপযোগী মাধ্যম হল যে পড়াটি আপনি পড়েছেন তা

অন্যকে যদি বুঝিয়ে বলা। এমন অবস্থাতে আপনি যদি

কাউকে কোনো জটিল বিষয় বুঝিয়ে বলেন যেমনটা

টিচাররা স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি

আপনার ব্রেনে এমনভাবে গেঁথে যাবে যা কখনই

আপনি ভুলবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

কোনো সংকেত বা স্মৃতি সহায়ক চিহ্নের সহায়তা গ্রহণ করা । এতে বিষয়বস্তু তাড়াতাড়ি স্মরণ করা যায়।পাঠ্যবই পড়তে হয় পূর্ণভাবে। সাহায্যকারী বই পড়তে হয় আংশিকভাবে।পাঠ্য বিষয়ের প্রয়োজনীয় চিহ্ন দিয়ে রাখা ভালো ।প্রয়োজনে প্যারাগ্রাফের সারবস্তু অল্পকথায় সাজিয়ে পাশে নোট করে রাখা ভালো। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লা তা করতেন। তবে তিনি আরো একটু বেশি করতেন তা হলো ।-ওই প্যারাতে যা থাকা উচিত ছিল অথচ নেই তাও প্যারার পাশে নোট করে রাখতেন।পাঠের বিষয়বস্তুর মধ্যে মনকে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলে ।-এর গায়ে যা লেগে থাকবে তাই পাঠের সার। গোটা পাঠটাকে জোর করে মনের ওপর চাপানোর প্রয়োজন নেই।শীতল জলে স্নানে পুস্তক পাঠে ক্ষমতা বাড়ে অবশ্য গ্রীষ্মকালে।প্রচুর পরিমাণে সবজি খেতে হবে তাতে যেমন কোষ্ঠ পরিষ্কার হবে তেমিন ভিটামিন ও খনিজ লবণের চাহিদা পূরণ হবে।মস্তিষ্কের কাজ করে যেই ক্লান্তি আসবে ।-অমনি (৩০ থেকে ৫০ মি. পর পর) তাকে দৈহিক শ্রমের দ্বারা প্রচুর অক্সিজেন গ্রহণ করে ।- ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হবে। তাতে চিন্তাশক্তি ও শারীরিক শক্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে।শুধু বই খুলে বারবার পড়লেই তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে না । মাঝেমধ্যে বই বন্ধ করে পাঠ্য অংশ মনে মনে আওড়াতে হবে ।তবেই শিগগিরই মুখস্থ হবে এবং অনেকদিন মনে থাকবে।নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সংকল্প করতে হবে যে এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট অংশ আয়ত্ত করব।সম্ভব হলে মুখস্থ করা বিষয়টা কাউকে শোনাতে হবে।পড়ার পরিবেশ যদি নির্জন ও নিরিবিলি না হয় সে ক্ষেত্রে সরব পাঠ অধিকতর সুযোগ বয়ে আনে। আবার অনেকের ক্ষেত্রে নীরব পাঠই ভালো।বিশ্রামের সময় পড়ার বিষয়টি নিয়ে কিছুক্ষণ ভাব। এ সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা তৈরি করে নাও। দেখার বিষয়টি তোমার মনে গেঁথে গেছে।নিয়মিত পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তাতে অর্জিত স্মৃতি তথা হুকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ফলে স্মৃতিভা-ার ব্যাপক ও সমৃদ্ধ হয়।পড়াটাকে মজার ব্যাপার করে তুলতে হবে।প্রথমেই প্রতিটি লাইন খুটিয়ে খুটিয়ে পড়ার চেয়ে প্রথমত পুরো অধ্যায়টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চোখ বুুলিয়ে নেয়াই উত্তম দ্বিতীয়ত, প্রতিটি অংশ নিখুঁতভাবে বোঝার চেষ্টা  কোনো সংকে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Yakub Ali

Call

 মুখস্থ করার উপায়।

জোরে পড়ুন : জোরালো কণ্ঠে পড়ুন। জোরে পড়লে মাথায় তথ্য দ্রুত ঢুকে যায়। যেমন একটি গান যখন শোনেন, তখন তা দ্রুত মনে পড়ে। যা পড়ছেন তা কানে প্রবেশ করলে দ্রুত মুখস্থ হবে।

লক্ষ্য স্থির করুন : পড়তে বসলে নিজের লক্ষ্য স্থির করুন। বইয়ের কত পাতা পর্যন্ত কত সময়ের মধ্যে শেষ করবেন তা ঠিক করে নিন। নয়তো মনোযোগ হারাবেন এবং সময়ের অপচয় হবে।

নিজেই যখন শিক্ষক : নিজেই নিজের শিক্ষক হয়ে উঠুন। কি পড়লেন, কি মুখস্থ করলেন ইত্যাদি বুঝতে নিজেই শিক্ষকতা পালন করুন। নিজেই পরীক্ষা দিন এবং তা যাচাই করুন।

নোট করুন : যাই শিখবেন তাই লিখে ফেলুন। এগুলো নোট করুন। লেখা হলে তা দ্রুত মাথায় ঢুকে যাবে এবং সহজে ভুলবেন না।

ইন্টারনেটের ব্যবহার : আধুনিক যুগে পড়াশোনার বড় সুবিধা দেয় ইন্টারনেট। বিভিন্ন টপিক সম্পর্কে ধারণা নিন। যে বিষয়ে পড়ছেন তার সংশ্লিষ্ট অনেক কিছুই হয়তো বইয়ে নেই। এগুলো ইন্টারনেটে দেখে নিন। এতে ধারণা পরিষ্কার হবে।

বিরতি দিন : একটানা অনেকক্ষণ পড়লে অস্থিরতা চলে আসবে। এর জন্যে নিয়মিত অল্প সময়ের জন্যে বিরতি নিন।

চিউইং গাম : এটি চিবোতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, চিউইং গাম চিবোতে চিবোতে পড়লে তা মাথায় দ্রুত প্রবেশ করে। এ সময় মস্তিষ্কের কার্যক্রম দ্রুত হয় এবং গামের ফ্লেভার বেশ উপকারী হয়ে ওঠে।

হাঁটুন : বেশ কিছুক্ষণ পড়ার পর ১৫-২০ মিনিট হেঁটে আসুন। এতে দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম পাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বিষযটি পড়তে হবে মন দিয়ে এবং ভাবনাট স্থায়ী করতে হবে কৌশল দিয়ে। কৌশল মানে পদ্ধতি, কৌশলী মানে যে কৌশল করে, প্র যোগ করলে হবে প্রকৌশলী। আপনাকে প্রকৌশলী হতে হবে লেখাপড়ার বিষয়ে ; নির্মাণ করতে হবে বারবার ; এর আগে বুঝে নিতে হবে আমি যে লেখাটি পড়তেছি তা কীভাবে নির্মিত হলো। একবার ভালো করে বুঝতে পারলে যায় কী তারে ভোলা ! তাই তো পরীক্ষার পরেও চিকিৎসক চিকিৎসা করতে পারেন ; ইঞ্জিনিয়ার নির্মাণ করতে পারেন আজীবন ॥ ... .....

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ