আমাদের রাসূল(সঃ)সালাতে নিয়ত বেধেঁ হাত কোথায় রাখতেন? বুকে নাকি নাভির উপর সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণ চাই!


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আসোলে নিয়তের পর হাত নবী করিম(সঃ) কোন যায়গায় বেধেছিলেন তার বিভিন্ন মতভেদ আছে,তবে রাসুল (সঃ) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যায়গায় যেমন নাভির উপরে বা নিচে কিংবা বুকের কাছেও হাত বেধেছিলেন তার সুস্পষ্ট প্রমান হাদিসে রয়েছে!আসোলে অংগ ভংগী দিয়ে নামাজ পড়া হয় কিন্তু তা কায়েম করতে হয় অন্তর দিয়েই|হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)নামাজ পড়েছেন বিভিন্ন ভাবে,যখন নামাজ উনি দির্ঘ করে আদায় করেছেন তখন হাত রাখতেন কখনো উপরে আবার কোন রাকাতে নিচে! আসোলে আপনি যেভাবে হাত বাধলে নামাজে পুর্ণ মনোযোগ দিতে পারবেন সেইভাবে হাত বাধবেন!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই আপনি অব্যশই বুকের উপর হাত বাধবেন নাভির নিচে হাত বাধার হাদিস আছে আবু দাউদে756 নং এই হাদিস যঈফ আবার বুকের উপর হাত বাধার সহীহ হাদীস আছে সহীহ বুখারীর 740 নং হাদীসে   তাছাড়া আপনি একটি বই পরতে পারেন এটাই আপনি সহীহ নামাজ পরার নিয়ম পাবেন এবং আরও পাবেন কোন হাদিস গুলো নামাজের মধ্যে যঈফ আপনি google এ গিয়ে search  দিন   (জালের কবলে রাসূল সাঃ এর সলাত by মুযাফফর বিন মহসিন pdf book ) আশা করি আপনি এই বইটি পরলে বুঝতে পারবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নামাযে হাত বাঁধার সুন্নাহর উপর সাহাবা-তাবেয়ীন কীভাবে আমল করেছেন-এ বিষয়ে ইমাম তিরমিযী রাহ. (২৭৯ হি.) বলেন- ﻭﺍﻟﻌﻤﻞ ﻋﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻋﻨﺪ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﺍﻟﺘﺎﺑﻌﻴﻦ ﻭﻣﻦ ﺑﻌﺪﻫﻢ ، ﻳﺮﻭﻥ ﺃﻥ ﻳﻀﻊ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻤﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﻤﺎﻟﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﻭﺭﺃﻯ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺃﻥ ﻳﻀﻌﻬﻤﺎ ﻓﻮﻕ ﺍﻟﺴﺮﺓ ، ﻭﺭﺃﻯ ﺑﻌﻀﻬﻢ ﺃﻥ ﻳﻀﻌﻬﻤﺎ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ ، ﻭﻛﻞ ﺫﻟﻚ ﻭﺍﺳﻊ ﻋﻨﺪﻫﻢ . অর্থাৎ আহলে ইলম সাহাবা-তাবেয়ীন ও তাঁদের পরবর্তী মনীষীগণ এই হাদীসের উপর (ডান হাত দ্বারা বাম হাত ধরা) আমল করেছেন। তাঁদের সিদ্ধান্ত এই ছিল যে, নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতে হবে। তাঁদের কেউ নাভীর উপর হাত রাখার কথা বলতেন, আর কেউ নাভীর নিচে রাখাকে (অগ্রগণ্য) মনে করতেন। (তবে) দুটো নিয়মই তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল।-জামে তিরমিযী ১/৩৪ বস্ত্তত এটা হচ্ছে হাত বাঁধার হাদীসসমূহের ব্যাখ্যা ও প্রায়োগিক পদ্ধতি। সাহাবা-তাবেয়ীনের যমানা থেকে এ দুটি নিয়মই চলে আসছে। পরবর্তীতে জুমহূর ফকীহ ও মুজতাহিদ ইমামগণ এ দুই নিয়ম গ্রহণ করেছেন। এভাবে উম্মাহর তাওয়ারুছ ও ব্যাপক চর্চার মাধ্যমে নামাযে হাত বাঁধার যে নিয়ম প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছেছে তা উল্লেখিত হাদীসসমূহেরই ব্যবহারিক রূপ। এ কারণে পরবর্তী যুগে বিচ্ছিন্ন কোনো নিয়ম আবিষ্কার করে তাকে হাদীস শরীফের উপর আরোপ করা হাদীসের তাহরীফ ও অপব্যাখ্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। নাভীর নিচে হাত বাঁধা উপরোক্ত দুই নিয়মের মাঝে নাভীর নিচে হাত বাঁধার নিয়মটি রেওয়ায়েতের বিচারে অগ্রগণ্য। ইমাম ইসহাক ইবনে রাহুয়াহ রাহ. (২৩৮ হি.) বলেছেন, ‘নাভীর নিচে হাত বাঁধা রেওয়ায়েতের বিচারে অধিক শক্তিশালী এবং ভক্তি ও বিনয়ের অধিক নিকটবর্তী।’ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ ﺃﻗﻮﻯ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ ﺃﻗﻮﻯ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﻭﺃﻗﺮﺏ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺘﻮﺍﺿﻊ তাবেয়ী আবু মিজলায লাহিক ইবনে হুমাইদ রাহ. (মৃত্যু : ১০০ হি.-এর পর) নামাযে কোথায় হাত বাঁধবে-এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠের উপর নাভীর নিচে রাখবে।’-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৬৩ এই রেওয়ায়েতের সনদ সহীহ। সনদসহ রেওয়ায়েতটির পূর্ণ আরবী পাঠ এই - ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﻫﺎﺭﻭﻥ ﻗﺎﻝ : ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺍﻟﺤﺠﺎﺝ ﺑﻦ ﺣﺴﺎﻥ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺃﺑﺎ ﻣﺠﻠﺰ ـ ﺃﻭ ﺳﺄﻟﺘﻪ ـ ﻗﺎﻝ : ﻗﻠﺖ ﻛﻴﻒ ﺃﺻﻨﻊ؟ ﻗﺎﻝ : ﻳﻀﻊ ﺑﺎﻃﻦ ﻛﻒ ﻳﻤﻨﻴﻪ ﻋﻠﻰ ﻇﺎﻫﺮ ﻛﻒ ﺷﻤﺎﻟﻪ ﻭﻳﺠﻌﻠﻬﺎ ﺃﺳﻔﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﺮﺓ . বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ.ও (মৃত্যু : ৯৬ হি.) এই ফতোয়া দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নিচে রাখবে।’-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৬০ এই রেওয়ায়েতের সনদ হাসান। সনদসহ রেওয়ায়েতটির পূর্ণ আরবী পাঠ এই- ﺣﺪﺛﻨﺎ ﻭﻛﻴﻊ ، ﻋﻦ ﺭﺑﻴﻊ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻌﺸﺮ ، ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﻗﺎﻝ : ﻳﻀﻊ ﻳﻤﻴﻨﻪ ﻋﻠﻰ ﺷﻤﺎﻟﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ . ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশশাইবানী রাহ. (১৮৯ হি.) বর্ণনা করেছেন যে, ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. নাভীর নিচে হাত বাঁধতেন। এরপর তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিয়মই অনুসরণ করি এবং এটিই (ইমাম) আবু হানীফার সিদ্ধান্ত।’-কিতাবুল আছার, হাদীস : ১২১ সনদসহ রেওয়ায়েতটির আরবী পাঠ এই- ﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ : ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺍﻟﺮﺑﻴﻊ ﺑﻦ ﺻﺒﻴﺢ ، ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻣﻌﺸﺮ ، ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ : ﺃﻧﻪ ﻛﺎﻥ ﻳﻀﻊ ﻳﺪﻩ ﺍﻟﻴﻤﻨﻰ ﻋﻠﻰ ﻳﺪﻩ ﺍﻟﻴﺴﺮﻯ ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ . ﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ : ﻭﺑﻪ ﻧﺄﺧﺬ ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﺭﺣﻤﻪ ﺍﻟﻠﻪ . ‏( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻗﺎﻋﺪﺍ ﻭﺍﻟﺘﻌﻤﺪ ﻋﻠﻰ ﺷﻲﺀ ﺃﻭ ﻳﺼﻠﻲ ﺇﻟﻰ ﺳﺘﺮﺓ ‏) প্রসঙ্গত আগেই বলা হয়েছে যে, সাহাবা-তাবেয়ীনের আমল হচ্ছে হাত বাঁধা সংক্রান্ত মারফূ হাদীসসমূহের ব্যবহারিক রূপ। এ কারণে মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান রাহ. ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ-এর সূত্রে হাত বাঁধার মরফূ হাদীস বর্ণনা করার পর এই নিয়ম দ্বারা ব্যাখ্যা করেছেন। রেওয়ায়েতটি এই- ﺃﺧﺒﺮﻧﺎ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ، ﻋﻦ ﺣﻤﺎﺩ ﻋﻦ ﺇﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺎﻥ ﻳﻌﺘﻤﺪ ﺑﺈﺣﺪﻯ ﻳﺪﻳﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻷﺧﺮﻯ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﻳﺘﻮﺍﺿﻊ ﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ . ﻗﺎﻝ ﻣﺤﻤﺪ : ﻭﻳﻀﻊ ﺑﻄﻦ ﻛﻔﻪ ﺍﻷﻳﻤﻦ ﻋﻠﻰ ﺭﺳﻐﻪ ﺍﻷﻳﺴﺮ ، ﺗﺤﺖ ﺍﻟﺴﺮﺓ ، ﻓﻴﻜﻮﻥ ﺍﻟﺮﺳﻎ ﻓﻲ ﻭﺳﻂ ﺍﻟﻜﻒ ، ‏( ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺛﺎﺭ ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻗﺎﻋﺪﺍ ﻭﺍﻟﺘﻌﻤﺪ ﻋﻠﻰ ﺷﻲﺀ ﺃﻭ ﻳﺼﻠﻲ ﺇﻟﻰ ﺳﺘﺮﺓ ‏) ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযে এক হাতের উপর অন্য হাত বাঁধতেন। এভাবে তিনি আল্লাহর সামনে বিনীত হতেন।’ (ইমাম) মুহাম্মাদ বলেন, ‘ডান হাতের তালু বাম হাতের কব্জির উপর রাখবে, নাভীর নিচে; সুতরাং কব্জি থাকবে হাতের তালুর মাঝে।’-কিতাবুল আছার, হাদীস : ১২০ খাইরুল কুরূন ও পরবর্তী যুগের হাদীস ও ফিকহের বিখ্যাত ইমামগণও নাভীর নিচে হাত বাঁধার নিয়ম গ্রহণ করেছেন। ইমাম ইবনে কুদামা হাম্বলী রাহ. (৬২০ হি.) বলেন, নামাযে কোথায় হাত বাঁধা হবে এ বিষয়ে বিভিন্ন বর্ণনা আছে। (ইমাম) আহমদ রাহ. থেকে বর্ণিত, দুই হাত নাভীর নিচে রাখবে। এটি (হযরত) আলী রা., আবু হুরায়রা রা., আবু মিজলায রাহ., ইবরাহীম নাখায়ী রাহ., (সুফিয়ান) ছাওরী রাহ., ইসহাক (ইবনে রাহুয়াহ) রাহ. থেকে বর্ণিত।-আলমুগনী ২/১৪১ উল্লেখ্য, ইবনে কুদামা হাম্বলী রাহ. ‘আলমুগনী’তে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ. থেকে মোট তিনটি রেওয়ায়েত উল্লেখ করেছেন। তবে মূল মতন অর্থাৎ ‘মুখতাসারুল খিরাকী’তে শুধু নাভীর নিচে হাত বাঁধার কথাই বলা হয়েছে। আরবী পাঠ- ﻭﻳﺠﻌﻞ ﻫﻢﺍ ﻭﻳﺠﻌﻠﻬﻤﺎ ﺗﺤﺖ ﺳﺮﺗﻪ ‘মুখতাসারে’র ভূমিকায় লেখক ইমাম আবুল কাসিম উমার ইবনুল হুসাইন আলখিরাকী (৩৩৪ হি.) বলেছেন, ‘আমি ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-এর মাযহাব অনুসারে (শরীয়তের মাসাইল) এই কিতাবে সংকলন করেছি।’ ﺍﺧﺘﺼﺮﺕ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻟﻴﻘﺮﺏ ﻋﻠﻰ ﻣﺘﻌﻠﻤﻪ ﻋﻠﻰ ﻣﺬﻫﺐ ﺃﺑﻲ ﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﺣﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺣﻨﺒﻞ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ . -আলমুগনী ১/৭-৮ শায়খ আবুল হুসাইন ইয়াহইয়া ইবনে আবুল খায়ের রাহ. (মৃত্যু ৫৫৮ হি.) বলেন, (ইমাম) আবু ইসহাক (আলমারওয়াযী) রাহ. বলেছেন, ‘এক হাত অন্য হাতের উপর নাভীর নিচে রাখবে।’-আলবায়ান ফী মাযাহিবিল ইমামিশ শাফেয়ী ২/১৭৫

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ