দয়া করে একটু জানাবেন।
আসলে মসজিদে লাল বাতি জ্বালানো হয় খুতবার সময়। আর খুতবার সময় নামাজ পড়া ঠিক নয়, লাল বাতি জ্বালানো হোক বা না হোক। মুসল্লীদের জন্য খুতবা শ্রবণ করা ওয়াজিব। তাই খুতবা চলাকালে নিরর্থক কর্মে লিপ্ত হওয়া শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জুমার দিন খুতবা প্রদানের সময় যদি তুমি তোমার সাথীকে বলো, ‘চুপ করো’ তখন তুমি অনর্থক কথাই বললে।’ (বোখারি শরীফ-১/১২৮) এ হাদিস দ্বারা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়, খুতবার সময় নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শ্রবণ করা ওয়জিব এবং কথাবার্তা বলা হারাম। অনুরূপ খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ হবে না। এ প্রসঙ্গে অন্য এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘যখন ইমাম খুতবার জন্য বের হবেন তখন না নামাজ পড়বে, না কথা বলবে।’ (মেরকাত-৩/৪৩২) তাই মুসল্লীদের উচিত, খুতবার সময় সর্ব প্রকার কথাবার্তা থেকে বিরত থেকে অত্যন্ত মনোযোগী হয়ে খুতবা শ্রবণ করা এবং যে সকল কাজ নামাজে নিষিদ্ধ তা থেকে বিরত থাকা অতীব জরুরি। এ প্রসঙ্গে ফিকাহ শাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য গ্রন্থ ‘ফাতাওয়ায়ে শামী’ গ্রন্থে একটি মূলনীতি উল্লেখ হয়েছে তা হলো- যে সকল কর্ম নামাজের মধ্যে হারাম তা খুতবার মধ্যেও হারাম। যেমন- কথাবার্তা বলা, পানাহার করা ইত্যাদি। (ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৫)
মেহেদী হাসান যা বললেন জুম্মার নামাযে খুৎবা পড়ার সময় লাল বাতি জ্বালানো হয় এবং এর জন্য তিনি হাদিসও দিলেন। কিন্তু এছাড়াও প্রত্যেক ওয়াক্তে ফরয নামাযের ২-৩ মিনিট আগে এটা জ্বালানো হয়। কারণ, এসময়ে সুন্নতের নিয়ত করে নামাযে দাড়ালে এই কম সময়ে সুন্নত পড়তে পড়তে ইমাম ফরয নামাযে দাড়িয়ে যাবে এবং ফরয নামাযের কয়েক রাকাত মিস হয়ে যেতে পারে।