Call

কোরআনে বলা হয়েছে, "তোমরা রুকুকারীদের সাথে রুকু কর।" এতে জামাতের সাথে নামায আদায়ের কথা বলা হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জামাতে সালাতের গুরুত্বঃ ১) রাসুলুল্লাহ(স:) বলেছেন, ঘরে কিংবা বাজারে একাকী সালাতের চেয়ে মসজিদে জামা’আতে সালাত আদায়ে ২৫ বা ২৭ গুন সওয়াব বেশী।তিনি বলেন, ২ জনের সালাত একাকীর চেয়ে উত্তম।জামাত যত বড় হয় নেকী তত বেশী হয়। মিশকাত-৭০২,১০৫২, আবু দাউদ,নাসাই, মিশকাত- ১০৬৬ ২) তিনি বলেন, ‘যার হাতে আমার জীবন তা কসম করে বলছি,আমার মন চায় আযান হওয়ার পরেও যারা জামা’য়াতে আসেনা,ইমামতির দায়িত্ব কাউকে দিয়ে আমি নিজে গিয়ে তাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দিয়ে আসি’। বুখারী,মুসলিম,মিশকাত- ১০৫৩ ৩) রাসুলুল্লাহ(স:) বলেন, আল্লাহ ও ফেরেস্তাগন ১ম কাতারের লোকদের উপর বিশেষ রহমত নাযেল করেন। তিনি ৩বার কথাটি বলেন। তারপর তিনি বলেন, দ্বিতীয় কাতারের উপরও। তারপর এসেছে, সামনের কাতারের উপরও।তিনি বলেন, যদি লোকেরা জানতো যে, আযান, প্রথম কাতার ও আউয়াল ওয়াক্তে সালাত আদায়ে কি নেকী রয়েছে,তাহলে তারা পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করতো।এশা ও ফজরে ওয়াক্তে নেকীর পরিমান জানলে, তারা হামাগুড়ি দিয়ে হ’লেও ওই দুই সালাতে জামাতে আসতো।তিনি বলেন, যে ব্যাক্তি এশার সালাত জামা’য়াতে পড়লো, সে যেন অর্ধরাত্রি সালাতে অতিবাহিত করলো। যে ব্যাক্তি ফজরের সালাত জামা’য়াতে পড়লো, সে যেন সমস্ত রাত্রি সালাতে অতিবাহিত করলো’। মুনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার সালাতের মত কঠিন আর কোন সালাত নাই।যে ব্যাক্তি আল্লাহর জন্য ৪০দিন ‘তকবীরে উলা’সহ জামায়াতে নামায আদায় করলো, তার জন্য ২টি মুক্তি লেখা হয়।১টি হোল জাহান্নাম থেকে মুক্তি, আরেকটা হল নিফাক থেকে মুক্তি।ইবনে মাজাহ বলেন, ‘তকবীরে উলা’ পা ওয়া সুন্নাতে মুওয়াক্কাদা। সালাফে সালেহীন ইমামের সাথে প্রথম তকবীর না পেলে ৩দিন দুখ প্রকাশ করতেন। জামা’য়াত না পেলে ৭দিন দু:খ প্রকাশ করতেন। আহমদ,দারেমী,তাবারানী,মিশকাত-১১০১, সহীউল জামে- ১৮৩৯ ৪) রাসুলুল্লাহ(স:) বলেন, ‘কোন গ্রামে যদি ৩ জন মুসলিম থাকে, যদি তারা জামা’য়াতে নামায আদায় না করে, তাহলে তাদের উপর শয়তান বিজয়ী হবে। আর বিচ্ছিন্ন বকরীকেই নেকড়ে ধলে খেয়ে ফেলে’। আবু দাউদ,আহমদ,নাসায়ী, মিশকাত-১০৬৭ ৫) ‘যখন কোন মুসল্লী সুন্দর ভাবে ওযু করে স্রেফ সালাতের জন্য বের হয়, তখন তার প্রতিটা পদক্ষেপে ১টি করে নেকী হয়।১টি করে মর্যাদার স্তর উন্নীত হয় ও ১টি করে গুনাহ ঝরে পড়ে।যতক্ষন সালাতে থাকে, ততক্ষন ফেরেস্তারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে ও বলে যে, ‘হে, আল্লাহ! তুমি তার জন্য শান্তি বর্ষন কর’ ও অনুগ্রহ কর।যতক্ষন সে কথা না বলে, ততক্ষন ফেরেস্তারা বলতে থাকে, ‘ হে আল্লাহ ! তুমি তাকে ক্ষমা কর’। মুত্তাফাক আলাইহে,মিশকাত-৭০২,মুসলিম,মিশকাত-১০৭২ ৬) যখন জামাতের একামত হবে, তখন ঐ ফরয ব্যতীত আর কোন সালাত নেই।ফজরের জামাতের ইকামতের পর সুন্নাত পড়া জায়েয না, যা প্রচলিত আছে। আবু দাউদ,তিরমিযী,ইবনে মাজাহ,মিশকাত-১০৪৪ ৭) যে অবস্থায় জামাত পাওয়া যাবে, সেই অবস্থায় শরীক হবে ও ইমামের অনুসরন করবে। তিরমিযী-৫৯১,আবু দাউদ-৫০৬,মিশকাত-১১৪২,সহীউল জামে-২৬১ ৮) জামাতের পরে আসা মুসল্লীগন একামত দিয়ে পুনরায় জামায়াত শুরু করবেন। একজন হলে জামাত তৈরী করার জন্য, পূর্বে সালাত আদায়কারী ব্যাক্তি তার সাথে যোগ দিতে পারেন। আবু দাউদ-৫৭৪, তিরমিযী, মিশকাত-১১৪৬

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ