তারাবির নামাজ প্রক্রিত কতো রাকাত? এবুং তারাবির নামাজের নিয়ম....
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

অবশ্যই ২০ রাকাত।।।।।।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
AbdulHalim

Call

তারাবির নামাজ বিশ রাকাত।আমার যখন থেকে নামাজ

সম্পর্কিত জ্ঞান হয়েছে তখন থেকেই দেখছি তারাবি ২০

রাকাত পড়া হয়।কিন্তু আমাদের দেশে গত ৩-৪ বছর একটা

কথা বেশি শুনা যাচ্ছে তা হলো তারাবি ৮ রাকাত না ২০ রাকাত।

আমার দৃষ্টিতে বলি,তারাবির নামাজ হলো সুন্নত।পড়লে সওয়াব

পাবেন,বেশি পড়লে বেশি সওয়াব।যেহেতু তারাবি নিয়ে

ইদানিং কালে প্রশ্ন উঠেছে তাই আমার যুক্তি হলো বেশি

পড়লে তো সমস্যা নেই,সুন্নত নামাজ সওয়াব হবে।তাই

বিতর্কের উর্ধ্বে থেকে বিশ রাকাত পড়লেই হলো।

তারাবির নামাজ বিশ রাকাত এ প্রসঙ্গে  নিচের কলামটি

পড়ে নিনঃ

তারাবীহ নামাজ কয় রাকাত ?


তারাবীহ নামাজ ২০ রাকআত। যারা বলে ৮ রাকাআত তাদের বক্তব্য সঠিক নয় । মুলত ধর্মপ্রান সাধারন মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষে আহলে হাদীস বা লামাজহাবী সম্প্রদায় ৮ রাকাআত তারাবীহ এই মতামতের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে ।


* সংশয় নিরসনের জন্য ৮ রাকআত বা এসংক্রান্ত বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্নিত হাদীস ও তার সঠিক মর্ম নিম্নে তুলে ধরা হল।


প্রথম হাদীসঃ-


আবু সালামা ইবনে আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি আম্মাজান আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন , রমজানে রাসুল (সাঃ) এর নামাজ কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন , রাসুল (সাঃ) রমজানে ও অন্যান্য মাসে বিতির সহ এগার রাকআতের বশী পড়তেন না।


(বুখরী শরীফ হাঃ নং ১১৪৭)


দ্বিতীয় হাদীসঃ-


ইয়াহইয়া ইবনে আবু সালামা (রঃ) বলেন আমি রাসুল (সঃ) এর রাত্রী কালীন নামাজ সম্পর্কে আয়েশা (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম । উত্তরে তিনি বললেন, রাসুল(সঃ) রাত্রে তের রাকআত নামাজ আদায় করতেন । প্রথমে আট রাকাত পড়তেন , এর পর বিতির পড়তেন, তার পর দুই রাকত নামাজ বসে আদায় করতেন ।


( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৪)


এজাতীয় হাদীস দ্বারা লা মাজহাবী সম্প্রদায়- তারাবীহ ৮ রাকাত এর উপর দলীল পেশ করে থাকে।


উপরোক্ত হাদীস সমূহের উত্তরঃ-


প্রথম উত্তর: আয়েশা (রাঃ) থেকে উপরোক্ত হাদীস দুটি যেমনি ভাবে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে ঠিক তেমনি মুসলিম শরীফেই আয়েশা (রাঃ) থেকে দশ রাকাতের হাদীস ও বর্ণিত আছে। যেমন:


হাদীসঃ-


কাসেম ইবনে মুহাম্মদ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন , আমি আয়েশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, রাসুল (সাঃ) রাত্রিতে দশ রাকাত নামাজ, এক রাকাত বিতির ,ও ফজরের দুই রাকাত সুন্নত সহ মোট ১৩ রাকাত পড়তেন।


( মুসলিম শরীফ- হাঃ নং ১৭২৭)


এমন কি আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হদীস গুলোর প্রতি লক্ষ করলে বোঝা যায় রাসুল (সাঃ) রাত্রীকালীন নামাজ- কোন রাত্রীতে ১১ রাকাত ,কখনো ১৩ রাকাত কখনো ৯ রাকাত, আবার কখনো ৭ রাকাত ও, আদায় করতেন । সুতরাং আয়েশা (রাঃ) এর হাদীস দ্বারা কোন সংখ্যা নির্দিষ্ট করা সম্পুর্ন অযৌক্তিক।


দ্বিতীয় উত্তরঃ-


প্রকৃত পক্ষে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস গুলো তাহাজ্জুদ সম্পর্কিত , তারাবীহ সম্পর্কিত নয় । একারনেই হাদীস গ্রন্থাকারগন এজাতীয় হাদীসকে তাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন , তারাবীর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি।


তৃতীয় উত্তরঃ-


আহলে হাদীসগন তারাবী ৮ রাকাত হওয়ার স্বপক্ষে যে হাদীসগুলো পেশ করে থাকেন, সে অনুযায়ী তারা নিজেরাই আমল করেন না। কেননা হাদীসে রমজান ও অন্যান্য মাসের কথাও উল্লেখ রয়েছে , অথচ তারা তাদের হাদীস অনুযায়ী অন্যান্য মাসে তারাবীহ পড়ে না।


বিশ রাকাত তারাবীর দলীল সমুহ:


১ নং হাদীসঃ-


সায়ের ইবনে ইয়াজিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন সাহাবা গন উমর (রাঃ) এর খেলাফত কালে রমজান মাসে বিশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন ।


(বাইহাকী শরীফ-খঃ ২/৪৯৬ হাঃ নং ৪৬১৭)


২ নং হাদীসঃ-


ইয়াজিদ ইবনে রুমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ- হযরত উমর (রাঃ) এর যুগে সাহাবারা বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবীহ পড়তেন । (মুয়াত্তা মালেক খঃ ১পৃঃ ১১৫)


৩ নং হাদীসঃ-


আতা ইবনে আবী রাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি সাহাবাদেরকে বিতির সহ তেইশ রাকাত তারাবী পড়তে দেখেছি ( মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা – ৫/২২৪)


(উল্লেখিত সবগুলো হাদীস সহীহ)


এছাড়াও অসংখ্য হাদীস দ্বারা একথা সুস্পষ্ট রুপে প্রমানিত হয় যে, তারাবীহ নামাজ ২০ রাকাত যার উপর খোলাফয়ে রাশেদীন ,সমস্ত সাহাবা , তাবেই, তাবে তাবেই, সালফে সালেহীন গন, ঐক্যমতে আমল করেছেন। এবং চার মাজহাবের ইমাম গনও এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছেন ।


সুতরাং যারা ৮ রাকাত তারাবীর কথা বলেন ,তারা মুলত সরলমনা মুসলমানদের অন্তরে বিভ্রান্তির বিষ ঢেলে ইসলামকে বিতর্কিত করতে চান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
NayemSR

Call

রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) রাতের ছালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আত ছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতের বেশী রাতের ছালাত (তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ; নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:; তিরমিযী ১-৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ ১/৯৬-৯৭ পৃঃ; মুওয়াত্ত্বা মালেক ১/৭৪ পৃঃ)। ওমর (রাঃ) উবাই বিন কা’ব ও তামীম দারী (রাঃ)- কে রামাযান মাসে লোকদের নিয়ে ১১ রাকা‘আত (তারাবীহ্র) ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন (মুওয়াত্ত্বা ১/৭১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৩০২, হাদীছ ছহীহ; ঐ বঙ্গানুবাদ হা/১২২৮ রামাযান মাসে রাত্রি জাগরণ অনুচ্ছেদ)। এবার ২০ বা ২৩ রাকা'আত তারাবীহ ছালাতের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে আলোচনা করবো। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, মুওয়াত্ত্বায় বর্ণিত ইয়াযীদ বিন রূমান কর্তৃক যে বর্ণনাটি এসেছে যে, ‘লোকেরা ওমরের যামানায় ২৩ রাক‘আত তারাবীহ পড়ত’ একথাটি যঈফ। কেননা ইয়াযীদ বিন রূমান ওমর (রাঃ)- এর যামানা পাননি (দ্র: আলবানী, মিশকাত হা/১৩০২ টীকা-২)। অতএব ইজমায়ে ছাহাবা কর্তৃক ওমর, ওছমান ও আলীর যামানা থেকে ২০ রাক‘আত তারাবীহ সাব্যস্ত বলে যে কথা বাজারে চালু রয়েছে, তার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। একথাটি পরবর্তীকালে সৃষ্ট। হাদীছের বর্ণনাকারী ইমাম মালেক নিজে ১১ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন, যা রাসূল (ছাঃ) হ’তে প্রমাণিত (হাশিয়া মুওয়াত্ত্বা পৃঃ৭১; দ্র: তুহফাতুল আহওয়াযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৩-এর ব্যাখ্যা ৩/৫২৬-৩২)। বিশ রাক‘আত তারাবীহ-এর প্রমাণে বর্ণিত হাদীছটি জাল। (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৪৪৫, ২/১৯১ পৃঃ)। ভারত বিখ্যাত হানাফী মনীষী আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহ:) বলেন, বিশ রাক‘আত সম্পর্কে যত হাদীছ এসেছে, তার সবগুলিই যঈফ (আরফুশ শাযী, তারাবীহ অধ্যায়, পৃঃ ৩০৯)। হেদায়া-র ভাষ্যকার ইবনুল হুমাম হানাফী বলেন, ২০ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/২০৫ পৃঃ)। আল্লামা যায়লাঈ হানাফী বলেন, বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত ছহীহ হাদীছের বিরোধী (নাছবুর রা’য়াহ ২/১৫৩ পৃ:)। আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী হানাফী বলেন, রাসূল (ছাঃ) থেকে বিশ রাক‘আত তারাবীহ প্রমাণিত নয়, যা বাজারে প্রচলিত আছে। এছাড়া ইবনু আবী শায়বাহ বর্ণিত বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছের বিরোধী (ফাৎহু সির্রিল মান্নান লিতা’য়ীদি মাযহাবিন নু‘মান, পৃঃ ৩২৭)। দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ক্বাসিম নানুতুবী বলেন, বিতরসহ ১১ রাক‘আত তারাবীহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত, যা বিশ রাক‘আতের চাইতে যোরদার (ফুয়ূযে ক্বাসিমিয়াহ, পৃঃ১৮)। হানাফী ফিক্বহ কানযুদ দাক্বায়েক্ব- এর টীকাকার আহসান নানুতুবী বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বিশ রাক‘আত তারাবীহ পড়েননি; বরং আট রাক‘আত পড়েছেন (হাশিয়া কানযুদ দাক্বায়েক্ব, পৃঃ৩৬:) এবার আপনিই ঠিক করুন, রাসূলুল্লাহর (ছাঃ) ছহীহ সুন্নাহ দ্বারা সুপ্রমানিত ১১ বা ১৩ রাকা'আত তারাবীহ পড়বেন, নাকি দূর্বল সনদে প্রমাণিত ২০ বা ২৩ রাকা'আত তারাবীহ ছালাত আদায় করবেন? (মহান আল্লাহ সঠিকভাবে তার দ্বীন বুঝার তাওফিক দিন। আমীন!)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নবীর যুগে বেশিরভাগ সময় ৮ রাকায়াত পড়া হতো।তবে সেই ৮ রাকায়াতে ১রাত পার হয়ে যেত।হাদীসে ৮-৩৬ রাকায়াত পর্যন্ত তারাবীহ পড়ার কথা আছে।খোলাফায়ে রাশেদীনদের যুগে নিয়মিত ২০ রাকায়াত পড়া হতো।সেই ধারায় আস্তে আস্তে চলে আসসে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ