‘আবদুল্লাহ ইবনুূু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , যে ব্যাক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় তারাবীহর সালাত (নামায/নামাজ) দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। হাদীসের রাবী ইবনুূু শিহাব (রহঃ) বলেন , রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করেন এবং তারাবীহর ব্যাপারটি এ ভাবেই চালু ছিল। এমনকি আবূ বাকর (রাঃ) -এর খিলাফতকালে ও ‘উমর (রাঃ) -এর খিলাফতের প্রথম ভাগে এরূপই ছিল। ইবনুূু শিহাব (রহঃ)‘উরওয়া ইবনুূু যুবায়র (রহঃ) সূত্রে ‘আব্দুর রাহমান ইবনুূু ‘আবদ আল -ক্বারী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন , তিনি বলেন , আমি রমযানের এক রাতে ‘উমর ইবনুূুল খাত্তাব (রাঃ) -এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে গিয়ে দেখতে পাই যে , লোকেরা বিক্ষিপ্ত জামায়াতে বিভক্ত। কেউ একাকী সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছে আবার কোন ব্যাক্তি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছে এবং তার ইকতেদা করে একদল লোক সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছে। ‘উমর (রাঃ) বললেন , আমি মনে করি যে , এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের )পিছনে একত্রিত করে দিই , তবে তা উত্তম হবে। এরপর তিনি উবাই ইবনুূু কা‘ব (রাঃ) -এর পিছনে সকলকে একত্রিত করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [‘উমর (রাঃ) ] সঙ্গে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করছিল। ‘উমর (রাঃ) বললেন , কত না সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুষিয়েছেন , কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করত।
তারাবীহর ফযীলত : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‘যে ব্যক্তি রামাযানের রাত্রিতে ঈমানের সাথে ও ছওয়াবের আশায় রাত্রির ছালাত আদায় করে, তার বিগত সকল গোনাহ মাফ করা হয়’।[6]