#পুরুষদের মাহরাম ১৫ জন : * মায়ের মত ৫ জন – ১) মা, ২) খালা, ৩) ফুফু, ৪) শাশুড়ি, ৫) দুধ-মা * বোনের মত ৫ জন – ১) বোন, ২) দাদি, ৩) নানি, ৪) নাতনি, ৫) দুধ-বোন * মেয়ের মত ৫ জন – ১) মেয়ে, ২) ভাই-এর মেয়ে, ৩) বোনের মেয়ে, ৪) ছেলের বউ ৫) দুধ মেয়ে
# মহিলাদের মাহরাম ১৫ জন : * বাবার মত ৫ জন – ১) বাবা, ২) চাচা, ৩) মামা, ৪) শশুর, ৫) দুধ- বাপ * ভাই-এর মত ৫ জন – ১) ভাই, ২) দাদা, ৩) নানা, ৪) নাতি, ৫) দুধ-ভাই * ছেলের মত ৫ জন – ১) ছেলে, ২) ভাই-এর ছেলে, ৩) বোনের ছেলে, ৪) মেয়ের জামাই ৫) দুধ ছেলে
কপি: বিস্ময়
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য
যিনি দুনিয়া ও আখেরাতের একমাত্র মালিক। দুরুদ ও সালাম
আখেরী নবীদের শ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-সহ সকল
পয়গম্বর,আহলে বাইত, সাহাবায়ে কেরামসহ ইসলামের সকল
অনুসারীদের উপড়। হেদায়েত তাদের নসীব
হইয়েছে যারা ইসলামে প্রবেশ করেছেন এবং কুরআন ওসুন্নাহর
সঠিক জ্ঞান অর্জন করেছেন, আর সেই অনুযায়ী আমলও করেছেন।
আমার এই লেখাটি বিশেষ
ভাবে নারীদেরকে উদ্দেশ্যে করে লিখা। কারণ নবী করীম (সঃ)
এরহাদীস অনুযায়ী উম্মতে মুহাম্মদীর বেশীর ভাগ
জাহান্নামী হবে নারী। আর এই জাহান্নামে যাওয়ার
যে দুইটি কারণ সবচেয়ে বেশী তা নিম্নে বর্নণা করা হলো।
তবে সমতা রক্ষার জন্য পুরুষদেরকেও একেবারে বাদ দেওয়া হয়
নাই এই আলোচনায়,আল্লাহর দেওয়া মহান নেয়ামত হইল ইসলাম।
সমস্থ মানব জাতীর দুনিয়া এবং পরকালের শান্তিপুর্ণ
ব্যাবস্থা এক মাত্র এই ইসলামেই আছে। প্রত্যেক মানুষ যেন
সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে, সবাই যেন সবার
ন্যায্য অধিকার পাইতে পারে সেই ব্যবস্থাই ইসলাম করেছে।
যেদিক দিয়াই বিচার করা হউক না কেন ইসলামের বিকল্প আর
কিছুই নাই। তাই পৃথিবীর অনেক অ-মুসলীম মনীষিও স্বীকার
করতে বাধ্য হয়েছে যে, ইসলামই এক মাত্র মানব
জাতীকে শান্তি দিতে পারে।
পর্দাঃ পর্দা করা ফরজ। আর পর্দা কথা আসলেই
প্রথমে আসে চক্ষুর কথা। চক্ষু মানুষেরএকটি প্রধান ইন্দ্রিয়।
চক্ষু দ্বারা মানুষের দর্শন কার্য সমাধা হয়। আর সংসারের
অধিকাংশ পাপের মুলেই এই চক্ষু। কার চক্ষুই প্রথমে দর্শন
করেবস্তু সম্মন্ধে জ্ঞান আনয়ন করে এবং মনে বাসনার
সৃষ্টি করে আর বাসনা হতেই ভোগের উৎপত্তি হয়। আর ভোগ
শরিয়ত সম্মত না হলেই পাপ হয়। মানুষের মনে যত ভাল
কিংবা খারাপ বাসনার জন্ম হয় সবই এই চক্ষুর সৃষ্টি।
চক্ষুকে সংযত ও শাসন করে রাখতে না পারলে সে বহু পাপের খোজ
করে দেয়। কারণ চক্ষুই বাসনার গুপ্তচর। চক্ষুর এই অসংযত
আচরণে সংসারে বহু মানুষ পাপের দরিয়ায় ডুবেমরছে। তাই
আল্লাহ মানুষকে সর্তক করে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ
তাআলা ইরশাদ করেছেন, “মুমিনপুরুষদেরকে বলুন,তারা যেন
তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে,
এতে তাদের জন্য পবিত্রতা আছে, নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ
তা অবহিত আছেন। (সুরা-আন নুর-৩০)। এই আয়াতে মুমিন
পুরুষদেরকে বলা হয়েছে তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে। এই
আয়াত দ্বারা প্রমাণ হয় যে,পুরুষ নারীদের প্রতিকু-
দৃষ্টি দেওয়া হারাম,যেহেতু দৃষ্টি জিনার সংবাদ বাহক তাই
এখানে প্রথমে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করার হুকুম প্রধান করা হয়েছে।
ইমাম আবু হানীফা (রঃ) বলেছেন,কোন স্ত্রী লোক অন্য পুরুষের
প্রতি এবং কোন পুরুষ অন্য মেয়ে লোকের প্রতি পুর্ন
দৃষ্টি দেওয়া জায়েয নেই। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
নিশ্চয়কর্ন, চক্ষু এবং সমস্ত সন্তকরন কেয়ামতে জিজ্ঞাসিত
হবে তার কৃতকর্মের ব্যাপারে।
নবী (সঃ) বলিয়াছেন, যখন কোন বেগানা মহিলার উপর হঠাৎ
দৃষ্টি পরিয়া যায় তখন সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরাইয়া নিবে,
দ্বিতীয় বার আর দৃষ্টি দিবেনা কারন প্রথম দৃষ্টি তোমার আর
দ্বিতীয় দৃষ্টি শয়তানের। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)
হইতে বর্নিত, নবী (সঃ) বলিয়াছেন,আদম সন্তানের উপর আংশিক
জেনা (ব্যভিচার) লিখিত হয়ে থাকে এবং নিশ্চয় তারা উহার
প্রতিফল ভোগ করিবে। যেমন-চক্ষুদ্বয়ের জেনা, পরস্ত্রীর
প্রতি কামভাবে দৃষ্টি করা। কর্নদ্বয়ের
জেনা,কামস্পৃহা হয়ে পরস্ত্রীর কন্ঠস্বর শ্রবন করা। রসনার
জেনা, পরস্ত্রীর প্রতি কামভাবে বাক্যালাপ করা। হস্তের
জেনা, কামভাবে পরস্ত্রীকে স্পর্শ করা। পায়ের জেনা,
পরস্ত্রীর দিকে কামভাবে অগ্রসর হওয়া। হৃদয়ের
জেনা,পরস্ত্রী সম্বন্ধেকুচিন্তা করা। আর লজ্জাস্থান এই সকলের
সত্য মিথ্যা প্রমাণ করে দেয়। (বোখারীও মুসলীম)।
হযরত আবু ইমামা হইতে বর্নিত,হুজুর (সঃ) বলেছেন, কোনও
ইমানদার ব্যক্তি পরস্ত্রীর সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি করে স্বীয়
চক্ষুদ্বয় নিম্নগামী করিলে। আল্লাহ তায়ালা তাকে একটি পুন্য
কার্য্যের প্রতিফল দান করেন,সে উহারমাধুর্য্য অন-রে অনুভব
করতে থাকিবে। (তেবরানী ও হাকেম)। নবী করিম(সঃ)
বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি পরস্ত্রীর সৌন্দর্য্যের
প্রতি কামদৃষ্টি নিক্ষেপ করিবে কেয়ামতের দিন তার
চক্ষে গরম শিশা ঢালিয়া দেওয়া হবে (হেদায়া।)
যা হউক,উপরে বর্নিত আয়াত এবং হাদীস দ্বারা ইহাই
প্রতিয়মান হয় যে, কোনপুরুষ কোন বেগানা মহিলার
প্রতি দৃষ্টি দেওয়া জায়েজ নাই। যদিও
অসাবধানতা বশতদৃষ্টি পরিয়া যায় তা হইলে অবশ্যই
সাথে সাথে দৃষ্টি ফিরাইয়া নিতেহবে। ইচ্ছাকৃতভাবে কোন
পুরুষেরই বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া জায়েজনাই।
ইরশাদ হচ্ছে,“ইমানদার নারীদেরকে বলুন,তারা যেন তাদের
দৃষ্টি নত রাখেএবং যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন
যা সাধারণত প্রকাশমান তা ছাড়া তাদেরসৌন্দর্য প্রকাশ
না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার
ওড়না বক্ষদেশে ফেলিয়ারাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী,
পি