একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। নদীগুলো ছিল প্রশস্ত গভীর ও পানিতে টইটুম্বর। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন নামক সংগঠনের দেওয়া তথ্যমতে দেশে (শীতকালে ও গ্রীষ্মকালে পানি থাকে) এমন নদীর সংখ্যা ২৩০টি এবং সরকারি হিসাবে (শুধু গ্রীষ্মকালে পানি থাকে) এমন নদীর সংখ্যা ৩২০টি। অথচ দুঃখের বিষয় এই নদীগুলোর মধ্যে বর্তমানে ১৭টি নদী তার চরিত্র সম্পূর্ণ হারিয়ে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে গিয়ে ঠেকেছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরো ২৫টি নদী দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ষাটের দশকে সাড়ে সাতশ’ নদী ছিল বাংলাদেশে। বর্তমানে এ সংখ্যা কমে মাত্র ২৩০টিতে দাঁড়িয়েছে। ৫০ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে ৫২০টি নদী।
সোর্সঃ বেশতো
দক্ষিণ এশিয়ায় অন্তর্গত বাংলাদেশ
একটি নদীমাতৃক দেশ।
শাখা-প্রশাখাসহ প্রায় ৮০০ নদ-নদী
বিপুল জলরাশি নিয়ে ২৪,১৪০
কিলোমিটার জায়গা দখল করে
দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকাই
শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা
পলি মাটি জমে তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান প্রধান
নদ-নদীসমূহের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলঃ
নদীমাতৃক বাংলাদেশে অসংখ্য
নদনদীর মধ্যে অনেকগুলো
আকার এবং গুরুত্বে বিশাল।
এসব নদীকে বড় নদী হিসেবে
উল্লেখ করা হয়।বৃহৎ নদী হিসেবে
কয়েকটিকে উল্লেখ করা যায় এমন
নদীসমূহ হচ্ছে: পদ্মা, মেঘনা, যমুনা,
ব্রহ্মপুত্র, কর্ণফুলি, শীতলক্ষ্যা, গোমতী ইত্যাদি।
পাউবো নির্ধারিত অন্যান্য নদী সম্পাদনা
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড
বা "পাউবো" বাংলাদেশের নদীগুলোকে
সংখ্যাবদ্ধ করেছে এবং প্রতিটি নদীর
একটি পরিচিতি নম্বর দিয়েছে।
এর ফলে তাদের হিসাব অনুযায়ি
বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫টি।
পাউবো কর্তৃক নির্ধারিত
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১০২টি) ,
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১১৫টি),
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী (৮৭টি),
উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী (৬১টি),
পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী (১৬টি)
এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী (২৪টি)
হিসেবে বিভাজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
Source : Wikipedia