নবী সাহেব তো সুর্য দেখেই ইফতার করেছেন।তার নিয়ম অনুযায়ী কেউ গাছের মাথায় থাকলে সেখানে সুর্য পরে অস্ত যাবে তাই তাকে পরে ইফতার নিতে হবে আর একই গাছের নিচের ব্যাক্তি আগে ইফতার নিবে।আমাদের গ্রামে কয়টায় সুর্য অস্ত যাবে তা কেউ মেপে যায়নি।তাহলে আমি অন্য কোনো পাস্ববর্তি শহরের সময়ে ইফতার নিব কেন।আমার এখানে সময় আলাদা হবে। আমি কি সুর্যাস্ত দেখে ইফতার নিতে পারব?image


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সূর্য ডুবার সাথে সাথেই ইফতারের সময় হয়, আর তা মাগরিব নামাযের পূর্বেই। কিন্তু সাবধান! তাই বলে সময় হওয়ার পূর্বে কোন ভাবেই ইফতার করা যাবে না। কারণ এ ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (স্বপ্নে) একদল লোককে দেখলেন যে, তারা তাদের পায়ের গোড়ালির উপর মোটা শিরায় (বাঁধা অবস্থায়) লটকানো আছে, তাদের কশগুলো কেটে ও ছিঁড়ে আছে এবং কশ বেয়ে রক্তও ঝরছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আমি বললামঃ ওরা কারা? তাঁরা বললেনঃ ওরা হল তারা; যারা সময় হওয়ার পূর্বেই ইফতার করে নিত। (সহীহ ইবনে খুযায়মা, সহীহ ইবনে হিব্বান, বায়হাকী:৪/২১৬ ও সহীহ তারগীব) তাড়াতাড়ির অর্থ সূর্য ডুবার আগে নয়। বরং এর অর্থ হল; আমরা যখন নিশ্চিত হব যে সূর্য ডুবে গেছে তখন আর ইচ্ছাকৃত ভাবে দেরী করব না। সূর্য ডুবার সাথে সাথে তাড়াতাড়ী ইফতার করা সুন্নাত। ইচ্ছাকৃত বিলম্ব করা জায়েয নাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত সময় হওয়া মাত্রই তাড়াতাড়ী ইফতার করবে ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণ ও শান্তিতে থাকবে।”(বুখারী ও মুসলিম) ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানদের অভ্যাস হল, তারা দেরী করে ইফতার করে, তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তাদের বিপরীত করতে আদেশ করেছেন, তিনি বলেনঃ দ্বীন ততকাল বিজয়ী থাকবে, যতকাল লোকেরা ইফতার করতে তাড়াতাড়ি করবে। কারণ ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা দেরী করে ইফতার করে।(আবু দাউদ, মুস্তাদরাক হাকেম,সহীহ ইবনে হিব্বান ও সহীহুল জামেইস স্বগীর:৭৬৮৯) স্বয়ং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাড়াতাড়ি ইফতার করতেন; আবু আত্বিয়াহ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি ও মাসরূক আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহার নিকট উপস্থিত হয়ে তাঁকে বললামঃ হে উম্মুল মুমেনীন! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীদের মাঝে একজন তাড়াতাড়ী ইফতার করে ও তাড়াতাড়ী নামায পড়ে এবং অন্য একজন দেরী করে ইফতার করে ও দেরী করে নামায পড়ে। তিনি বললেনঃ ওদের মাঝে কে তাড়াতাড়ী ইফতার করে ও তাড়াতাড়ী নামায পড়ে? আমরা বললামঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাসূল এরকমই করতেন। (মুসলিম:১০৯৯) সুতরাং আপনি যেখানেই থাকুন ওখানে সূর্য ডুবার সাথে সাথে ইফতার করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ