1. দুশ্চিন্তাঃ আমাদের মাথা এবং গলার বিভিন্ন পেশীতে অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে অথবা আবেগিক নানা কারণে দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথা হয়ে থাকে। এই ধরণের মাথাব্যথাগুলোর সময় মাথায় এক ধরণের ঝিম ধরা অনুভূতি হয় এবং সেই সাথে মাথার দু’পাশেই তীব্র ব্যথা হতে থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীগণ মনে করে থাকেন যে এর সাথে হয়তো মাইগ্রেনের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। = আপনার দুশ্চিন্তা জনিত মাথাব্যাথা উৎস এবং কিভাবে আপনি তাদের এড়াতে আপনার পরিবেশ ও অভ্যাসের পরিবর্তন করতে পারেন তা সনাক্ত করতে সাহায্য করে। মাথা ব্যাথা আরম্ভ হলে, এটি শুরু তারিখ এবং সময় লিখুন. আপনি আগে রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন কিভাবে বা কতদিন থেকে , আপনি পূর্ববর্তী 24 ঘন্টার জন্য কি উল্লেখ্য , আপনার মাথা ব্যাথার আগে কী করছিলেন, আপনার জীবনে কোন অস্বাভাবিক চাপ, মাথা ব্যাথা চলেছিল, এবং আপনি কি এটিকে থামাতে চেস্টা করেছেন বা কিভাবে ইত্যাদি তার পর মোট ২১ দিনের হিসাব মিলয়ে দেখলে কারন বাহির হয়ে আসার কথা। নিম্নে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ সংযোক্ত করে দিলামঃ দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, টেনশন এসব মনের ওপরে চাপ ফেলে। সারাক্ষণ মানসিক অস্থিরতার মাঝে থাকলে মাথা ব্যথা হবেই, এটা স্বাভাবিক। দুশ্চিন্তা কমাতে হবে, পেশাগত মানসিক চাপ ঘরে বয়ে আনা যাবে না। মনকে বিশ্রাম দিন, ঘরে ফিরে মাথা থেকে কাজের কথা বাদ দিয়ে একান্ত কিছু সময় কাটান। বিশ্রাম নিন পর্যাপ্ত। গবেষকেরা দেখেছেন ঠিকমতো ঘুম না হলে অনেকেরই মাথায় ব্যথা হতে পারে। কমপক্ষে ছয় ঘণ্টা ঘুম দরকার পূর্ণবয়স্ক মানুষের। কম ঘুমানো, ঘুমের মাঝে বাধা, সাউন্ড স্লিপ না হওয়া থেকে বাঁচতে কিছু ব্যবস্থা নিন। ঘুমের আগে ভারি কাজ করবেন না, ঠাণ্ডা পানিতে শরীর ধুয়ে ফেলুন, স্নিগ্ধ মনে বিছানায় যান। অন্ধকার শব্দহীন ঘরে একটা আরামের ঘুম দিন, পরের দিন মাথা ধরা থাকবে না। কিছু খাবারের বদনাম রয়েছে মাথাব্যথার প্রভাবক হিসেবে। এসব খাবারের মাঝে চা, কফি, অ্যালকোহল উল্লেখযোগ্য। চা কফিতে অভ্যস্ত থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত পান করবেন না। দিনে এক বা দুই কাপই যথেষ্ট। মাথা মালিশে আরাম পান সকলেই। দেখা গিয়েছে মাথাব্যথায় কোমল হাতে কপালে, মাথায়, ঘাড়ে হাল্কা মালিশ দারুন কাজ করে। আপনার সঙ্গীকে বলুন মাথা টিপে দিতে। দেখবেন অনেকটা ভালো লাগবে।
যেকোন সমস্যা নিয়ে আপনি অতিরিক্ত চিন্তা করেন এবং বেশি প্রেশার নিয়ে নেন।কোন ব্যাপারে অতিরিক্ত প্রশার নিলে তা আমাদের মস্তিষ্কের নার্ভগুলোকে আক্রান্ত করে ফলে মাথাব্যথা হয়। সমস্যা নিয়ে টেনশন করে কোন লাভ হবে না,তাই টেনশন না করে সমাধানের পথ বের করুন তাহলে টেনশন থেকে মুক্ত থাকবেন।আর যখন টেনশন কাজ করবে তখন কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যান,অথবা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন।মোটকথা টেনশন কাজ করলে ব্যস্ত থাকুন তাহলে টেনশন দূর হয়ে যাবে।