আমি দেশের বাহিরে থাকি আমার পরিবার থেকে একটা মেয়েকে পছন্দ করছে আমার বিয়ের জন্য কিন্ত এখন আমার পক্ষে দেশে যাওয়া সম্ভব না আমাকে বলতেছে ফোনে বিয়ে করতে কিন্ত অনেকে বলে ফোনে বিয়ে করা হারাম তাই আমি জানতে চাই ভালো কিছু পন্তা আছে কি না যেন ওই মেয়েটাকে আমার হবুবধু করে রাখতে চাই কি করলে সবচেয়ে ভালো ভাবে ইসলামিক শরীয়াত মুতাবেক প্লিজ জানাবেন?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Yakub Ali

Call

মোবাইল ফোনে বিয়ে বলতে বোঝানো হয় আক্বদের অনুষ্ঠানে কোনো কারণে বর-কনের মধ্য থেকে কোনো একজনের উপস্থিতি সম্ভব না হলে উপস্থিত পক্ষের কোনো একজন সাক্ষীদের সামনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনুপস্থিত পক্ষকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া।অনুপস্থিত পক্ষ সাক্ষীদের কাছ থেকে দূরে বহু দূরে অবস্থান করে অপর প্রান্ত থেকে তা কবুল করে নেওয়া।

ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পাদিত এ ধরনের বিবাহের হুকুম:

শরয়ি দৃষ্টিকোণে বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। যেগুলোর কোনো একটি শর্তের অনুপস্থিতি শরিয়ত মোতাবেক নিকাহ অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মৌলিক শর্ত হচ্ছে-


১.বর-কনের ইজাব কবুল দুজন যোগ্য সাক্ষীর সামনে সম্পাদন হওয়া। ইজাব যেসব সাক্ষীর সামনে হবে কবুল, ঠিক সেই সাক্ষীদের উপস্থিতিতেই হতে হবে।


২.সাক্ষীদ্বয় বর-কনের ইজাব-কবুল সরাসরি শুনতে হবে।


৩.ইজাব ও কবুল একই মজলিসে(বৈঠকে) সম্পাদন হওয়া আবশ্যক।


৪.ইজাব-কবুল উভয় সাক্ষীর একসঙ্গে শুনতে হবে।


উপরের শর্ত গুলো যদি মোবাইল কিংবা স্কাকাইপ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।


শরিয়তে আরো কিছু গায়েবায়ানা বিয়ের ব্যাবস্থা রয়েছেঃ


১.বর বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে কনেকে বা কনের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি কনের বা কনের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে কনে বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা কনের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।


২.কনে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বরকে বা বরের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি বরের বা বরের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে বর বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা বরের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।


৩.প্রবাসীরা দেশে অবস্থিত কাউকে নিজের বিবাহের উকিল নিযুক্ত করে তাকে বলে দেবে যে ‘অমুক মেয়ের সঙ্গে তুমি আমার বিবাহ সম্পাদন করে দাও’ এরপর ওই উকিল দুজন শরিয়তসম্মত সাক্ষীর সামনে নিজ মুয়াক্কিলের পক্ষ থেকে সরাসরি কনের সঙ্গে বা কনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত উকিলের সঙ্গে ইজাব-কবুল করে নেবে।


৪.অথবা চিঠি বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বর, কনেকে বা কনে, বরকে নিজের বিয়ের উকিল নিযুক্ত করবে। তখন উকিল বর হোক বা কনে শরিয়ত মোতাবেক সাক্ষীদের সামনে বলবে- তোমরা সাক্ষী থাকো আমি আমার মুয়াক্কিল অমুকের বিবাহ আমার সঙ্গে সম্পাদন করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।


প্রবাসীদের জন্য ওপরে উল্লিখিত চারটি পদ্ধতির যেকোনো একটি অবলম্বন করার অনুমতি রয়েছে। তবে তৃতীয় পদ্ধতিটি আমাদের দেশের সমাজের জন্য মানানসই। সবশেষে বলব যে, মোবাইলে প্রকৃতপক্ষে বিবাহ সহিহ হয় না। হ্যাঁ, তবে উকিল বানিয়ে এভাবে করা সহিহ। যে তাদের পক্ষ থেকে উকিল হয়ে বিবাহের আকদ করাতে পারে।


সর্বোপরি বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন যার মাধ্যমে শুধু স্বামী স্ত্রীই নয় বরং উভয় ফ্যামিলির সেতু বন্ধনের পথ তৈরী হয়,বিয়ের অনুষ্ঠান উভয় পরিবারের মধ্যে একটি আনন্দ ঘন মুহূর্ত থাকে।উপস্থিত সকলে বর কনের সুখের জন্য দোয়া করে থাকেন, কিন্তু মোবাইল ফোনে বিয়া হলে সেই আনন্দ টা আর থাকেনা এমন কি বিয়ে অনুষ্ঠানে ইমাম সাহেবের খুতবা শোনার সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হয়।


তবে বর কনের উপস্তিতিতে মসজিদে বিবাহ সম্পন্ন করাটা উত্তম।

আপনি এখন বিবাহ করলে সহি না হলেও

  পরবর্তী এসে পুনরায় সহি ভাবে বিবাহ

বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। এই নিয়ম টাই

প্রচলিত আমার জানা মতে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সাধারণত মোবাইল ফোনে বিয়ে বলতে বোঝানো হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যে কোনো কারণে বর বা কনের মধ্যে যে কোনো একজনের উপস্থিতি সম্ভব না হলে উপস্থিত পক্ষের কোনো একজন সাক্ষীদের সামনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লাউডস্পিকারেরর মাধ্যমে কবুল জাতীয় কিছু বলে। কিন্তু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এসব বিয়েকে ইসলাম কতটুকু সমর্থন করে? এ বিষয়ে জ্ঞ্যান থাকতেই হবে। কেননা বিয়ে যদি ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ হয়,তাহলে সারা জীবন সেই অবৈধ স্বামী/ স্ত্রীর সাথে সংসার করে শুধু পাপের পাল্লাই ভারি হবে। তাই এখনই জেনে নিন, মোবাইল ফোনের বিয়ের বিষয়ে ইসলামের অবস্থান কি? মূলত শরিয়তের দৃষ্টিকোণে বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। যেগুলোর কোনো একটি শর্তের যদি অনুপস্থিত হয়, তাহলে শরিয়ত মোতাবেক নিকাহ অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মৌলিক শর্ত হচ্ছে- ৪টি শর্ত: (১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নামোল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। এর দলীল হচ্ছে নবী (সা.) বলেছেন, “স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্তা) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানব (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন, চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।” [সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)] (৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। (৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]। বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।” [মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)] উপরের শর্ত গুলো যদি মোবাইল কিংবা স্কাইপির মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ