‘নিয়ত’ অর্থ ‘সংকল্প’। ছালাতের শুরুতে নিয়ত করা অপরিহার্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ﺇﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝُ ﺑِﺎﻟﻨِّﻴَﺎﺕِ ﻭَ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻟِﻜُﻞٍّ ﺍﻣْﺮِﺀٍ ﻣَّﺎ ﻧَﻮَﻯ ... ‘সকল কাজ নিয়তের উপরে নির্ভরশীল এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তাই-ই পাবে, যার জন্য সে নিয়ত করবে’....। [সহীহুল বুখারী, ১ম খন্ড, হা/০১] অতএব ছালাতের জন্য ওযূ করে পবিত্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোষাক ও দেহ-মন নিয়ে কা‘বা গৃহ পানে মুখ ফিরিয়ে মনে মনে ছালাতের দৃঢ় সংকল্প করে স্বীয় প্রভুর সন্তুষ্টি কামনায় তাঁর সম্মুখে বিনম্রচিত্তে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। মুখে নিয়ত পাঠের প্রচলিত রেওয়াজটি দ্বীনের মধ্যে একটি নতুন সৃষ্টি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতে এর কোন স্থান নেই। অনেকে ছালাত শুরুর আগেই জায়নামাযের দো‘আ মনে করে ‘ইন্নী ওয়াজ্জাহ্তু... ’ পড়েন। এই রেওয়াজটি সুন্নাতের বরখেলাফ। মূলতঃ জায়নামাযের দো‘আ বলে কিছু নেই।
যদি আপনি আরবিতে ইমামের পেছনে নামাজের নিয়ত করতে চান তাহলে নিয়তের শেষে তা-আলা ও মুতাওয়াজ্জিহান এর মাঝে ইকতেদাইতু বিহাজাল ইমাম কথাটি ব্যাবহার করবেন। দুই রাক-আত ফজরের ফরজ নামাজের নিয়তের মাধ্যমে দেখাই দিলাম। নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা-আলা রাক-আতাই ছালাতিল ফাজরি ফারদুল্লাহিতা-আলা(ইকতেদাইতু বিহাজাল ইমাম) মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কা-বাতিশ্ শারীফাতি আল্লাহু আকবার। আশাকরি বুঝতে পারবেন।।
ফজরের দু'রাকাত সুন্নাতের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকয়াতাই ছালাতিল ফাজরি সুন্নাতু রাসূলিল্লা-হি তাআ'লা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত
আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের দু'রাকআত সুন্নাত নামায আদায় করার জন্য নিয়ত করছি; আল্লা-হু আকবার।
ফজরের দু'রাকাত ফরযের নিয়ত
নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তাআ'লা রাকয়াতাই ছালাতিল ফাজরি ফারদ্বীল্লা-হি তাআ'লা,মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল কা'বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলা নিয়ত
আমি কেবলা মুখী হয়ে আল্লাহর উদ্দেশ্যে ফজরের দু'রাকআত ফরয নামায আদায় করার জন্য নিয়ত করছি; আল্লা-হু আকবার।
বাংলা নিয়তের সময় ওকাক্তের নাম পরিবর্তন করে নিয়ত করবেন ।