আধুনিক যুগের সর্বাধিক প্রয়োজনীয় চালিকা শক্তি – কারেন্ট এর দুটি ভিন্ন রূপ এসি কারেন্ট এবং ডিসি কারেন্ট। প্রচলিত ও সর্বজনবিদিত ধারণা হল, ডিসি কারেন্ট এর ক্ষেত্রে কারেন্ট সোজা চলে, কখনই দিক বদলায় না; আর এসি কারেন্ট বারবার দিক বদলায়। এসি কারেন্ট আমাদের দেশে সেকেন্ডে ৫০ বার দিক বদলায়, আর আমেরিকায় সেকেন্ডে ৬০ বার। সচরাচর আমরা এসি/ডিসি দুইটাই ব্যবহার করি। যেমন ধরুন, ল্যাপটপ চলছে। ল্যাপটপ কোন কারেন্টে চলে? মেইন লাইনে যখন প্লাগ ইন করলাম, তখন এসি কারেন্ট এসে ঢুকবে ল্যাপটপের পাওয়ার অ্যাডাপ্টারে, সেখানে কারেন্ট এসি থেকে ডিসি তে কনভার্ট হয়। তারপর ডিসি কারেন্ট দিয়েই ল্যাপটপ চলে। আমাদের ঘরের বেশির ভাগ যন্ত্রপাতিতেই রেক্টিফায়ার (কনভার্টার) থাকে, যা মেইন লাইনের এসি কারেন্টকে একমুখী করে (ডিসি করে)। আবার ব্যাটারি চালিত সকল কিছু যেমন টর্চ, গাড়ির লাইট, ট্রেনের ফ্যান,মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে ডিসি কারেন্ট সরাসরি ব্যবহৃত হয়। এসি তে চালিত এসি মোটর ডিসি তে চালিত ডিসি মোটর।।।
যে কোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিংয়ে প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। কিন্তু ডি সি জেনারেটরের বেলায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়। উচ্চ চাপ ও ক্ষমতার অল্টারনেটরে সাধারণত চৌম্বকক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে ভোল্টেজ উৎপন্ন করা হয়। তাই বলা হয় সব অল্টারনেটরই জেনারেটর কিন্ত সব জেনারেটর অল্টারনেটর নয়।
মোটর নিয়ে বিভিন্ন লেখা পড়ুনঃ http://blog.voltagelab.com/