শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RanaRana

Call

গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা আমাদের দেশে খুবই স্বাভাবিক ব্যপার। অনেককে বছরের প্রায় সময়ই ভূগতে হয় এ সমস্যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর প্রতিকার হিসাবে পাওয়া যায় অনেক নামি দামি ওষুধ। কিন্তু আমাদের হাতের কাছের বিভিন্ন প্রকৃতিক জিনিস দিয়ে যদি করা যায় এর নিরাময়, তাহলে বাড়তি টাকা খরচ করার কি দরকার। আসুন এরকম কিছু উপাদানের কথা জেনে নিই: ★লং: যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে থাকেন, তবে লং হতে পারে আপনার সঠিক পথ্য। দুইটি লং মুখে নিয়ে চিবাতে থাকুন, যেন রসটা আপনার ভেতরে যায়। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে। ★জিরা: এক চা চামচ জিরা নিয়ে ভেজে ফেলুন। এবার এটিকে এমন ভাবে গুড়া করুন যেন পাউডার না হয়ে যায়, একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এই গুড়াটি একগ্লাস পানিতে মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন কেমন ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ★গুঁড় গুঁড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুঁড় মুখে নিয়ে রাখুন যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায়। তবে ডায়বেটিস রোগিদের ক্ষেত্রে এটি নিষিদ্ধ। ★মাঠা দুধ এবং মাখন দিয়ে তৈরী মাঠা একসময় আমাদের দেশে খুবই জনপ্রিয় ছিল। এসিডিটি দূর করতে টনিকের মতো কাজ করে যদি এর সাথে সামান্য গোলমরিচ গুঁড়া যোগ করেন। ★পুদিনা পাতা পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে বহুদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও বদহজম থেকে দূরে থাকতে পারবেন। আর ভাজাপুরা এবং তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন।।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

চলুন তবে দেখে নিই গ্যাস্ট্রিক বা সমস্যা তাৎক্ষণিক সমাধানে ৯ টি খাবার।এসিডিটির পুদিনা পাতাঃ পুদিনা পাতার রস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে সেই প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রতিদিন পুদিনা পাতার রস বা পাতা চিবিয়ে খেলে এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিকের থেকে মুক্তি পাবেন। এছাড়া পুদিনা পাতা আপনাকে বদহজম থেকেও দূরে রাখবে। লবঙ্গঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান করবে লবঙ্গ। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে দুটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবোতে থাকুন। এবং চুষে রসটা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন এসিডিটি দূর হয়ে গেছে কিছুখনের মধ্যেই। জিরাঃ এক চা চামচ জিরা একটি প্যানে নিয়ে শুকনো করে ভেজে ফেলুন। এরপর ভাজা জিরা এমন ভাবে গুঁড়ো করুন যেন একেবারে পাউডার না হয়ে যেয়ে একটু ভাঙা ভাঙা থাকে। এরপর একগ্লাস পানিতে জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিবার খাবারের সময় পান করুন। দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকবে না। আদাঃ আদা বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটির সমস্যা সমাধানে বেশ কার্যকর। প্রতিবার খাবার খাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ছোট এক টুকরো আদা কাঁচা চিবিয়ে খান দেখবেন গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা একেকবারেই থাকবে না। গুড়ঃ গুড় আপনার বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডিটি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে রেহাই দিতে পারে। যখন বুক জ্বালাপোড়া করবে সাথে সাথে একটুকরো গুড় মুখে নিয়ে রাখুন। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ গলে যায় ততোক্ষণ মুখে রেখে দিন। তবে এই সমাধান অবশ্যই ডায়বেটিস রোগিদের জন্য নয়। তুলসি পাতাঃ ঔষধি গুণে ভরা তুলসী পাতার কথা কে না জানেন। এসিডিটি দূর করতেও এটি বেশ কার্যকর। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হলে ৫/৬ টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে। এছাড়া প্রতিদিন তুলসি পাতা পানির সাথে ব্লেন্ড করে খেলে একেবারে দূর হবে গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটির সমস্যা। দুধঃ দুধের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা পাকস্থলীর বাড়তি এসিড কমাতে সাহায্য করে। রাতে একগ্লাস দুধ ফ্রিজে রেখে দিয়ে পরদিন সকালে খালি পেটে ঠান্ডা দুধটুকু পান করে নিন। দেখবেন সারাদিন এসিডিটির সমস্যা হবে না। তবে যাদের দুধে অ্যালার্জি রয়েছে তারা এর থেকে দূরে থাকবেন। ভ্যানিলা আইসক্রিমঃ আইসক্রিম খেতে কে না ভালোবাসে বলুন। কিন্তু আইসক্রিমটাকে বেশি স্বাস্থ্যকর মানা হয় না। অথচ ভ্যানিলা আইসক্রিমের রয়েছে এসিডিটি দূর করার ক্ষমতা। এসিডিটি হলে একটু ভ্যানিলা আইসক্রিম খেয়ে নিন। তবে বেশি খাবেন না। বোরহানীঃ বিয়ে বাড়িতে পোলাও রেজালার সাথে বোরহানি কেন রাখা হয় জানেন? কারণ এটি গ্যাস্ট্রিক ও এসিডিটি এবং বদহজম থেকে রক্ষা করে। বোরহানি টক দই, বীট লবণ ইত্যাদি এসিডিটি বিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরী । প্রতিদিন খাবারের পর একগ্লাস বোরহানি খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Manik Raj

Call

গ্যাষ্ট্রিক থেকে বাচার উপায় গুলো অবশ্যই অনুসরন করুন। ১। কম পানি পান না করে পানি বেশি পান করুন। ২। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং রাত্রে খাবার পর ইসুবগুল বুসি এক চা চামচ এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে পান করুন। ৩। দুপুড়ে ও রাত্রে খাবার পেট ভরে খাবেন। পেট খালি থাকে এমন ভাবে খাবার খাবেন না। ৪। ভাজা ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার এবং ফাষ্টফুট জাতীয় খাবার এরিয়ে চলুন। ৫। দুপুড়ে খাবারের সঙ্গে একটি এবং রাত্রে খাবার এর সঙ্গে একটি কাচা মরিচ খাবার অভ্যাস অবশ্যই গড়ে তুলুন। এটা যদি ধরে রাখতে পারেন তাহলে আপনাকে কোনদিন এই রোগের জন্য মেডিসিন খেতে হবে না। ৬। তরকারীতে তেল কম ব্যাবহার করুন । তরকারিতে তেল বেশি দিলে সেটা গ্যষ্ট্রিক রোগীদের জন্য বেশি ক্ষতির কারন হয় অন্যান্যদের তো হয়ই। ৭। টক জাতীয় খাবার পরত্যাগ করুন। যেমন, তেতুল, কামরাঙ্গা, চালতা, আমড়া, আচার ইত্যাদি। খেলেও কম খাবেন তবে তেতুল ব্যতিত। ৮। সকালে রুটি না খেয়ে ভাত খেলে ভালো উপকার পাবেন। ৯। প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। মুগ ডাল, মাশের ডাল, সলাবুট, সয়া প্রোটিনে প্রোটিন বেশি পাবেন। ১০।ধারাবাহিক গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করুন। ১১। শাক সবজি খাবার অভ্যাস করুন প্রতিদিন। আরো কিছু গ্যাষ্ট্রিক থেকে বাচার উপায়ঃ আদা পেটে গ্যাসের সমস্যায় সবচেয়ে সহজ ঘরোয়া সমাধান হলো আদা। প্রতিবেলা খাবার খাওয়ার পর এক টুকরা আদা মুখে নিয়ে চিবিয়ে রস খান। তাহলে পেটে গ্যাস জমবে না এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার থেকে মুক্তি মিলবে। যারা আদা সরাসরি খেতে পারেন না তারা রান্নায় বেশি করে আদা ব্যবহার করুন। আলুর রস আলু বেটে কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস বের করে নিন। এই রস প্রতিবার খাওয়ার আগে ১ চা চামচ খেয়ে নিন। এভাবে তিন বেলা খাওয়ার আগে আলুর রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। হলুদ পেটে গ্যাস হলে তরকারিতে সামান্য বেশি পরিমাণে হলুদ দিন। হলুদ পেটের গ্যাস কমাতে খুবই কার্যকর। লেবুর ব্যবহার একটি মাঝারী লেবুর রস, আধা টেবিল চামচ বেকিং সোডা এক কাপ পানিতে মিশিয়ে নিন। ভালো করে মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়ুন। এবার মিশ্রণটি খেয়ে নিন। নিয়মিত খেলে গ্যাসের সমস্যায় আরাম পাওয়া যায়। গ্যাসের ব্যাথায় দ্রুত আরাম পেতে চাইলে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান। কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাথা কমে যাবে। তেঁতুল পাতা তেঁতুল পাতা খুব ভালো করে বেটে নিন। তেঁতুল পাতা বাটা এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন। গ্যাসের সমস্যা দূর হয়ে যাবে একেবারেই এই গ্যাষ্ট্রিক থেকে বাচার উপায় গুলো মেনে দেখুন আপনার গ্যাষ্ট্রিক থাকবে না এবং কোনদিন গ্যাষ্ট্রিকের জন্য মেডিসিন খেতে হবে না ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ