সাধারণভাবে কন্ঠস্বর ঠিক করার উপায়..... ১. লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করাটা সবচেয়ে সাধারণ এবং একই সঙ্গে কার্যকর পদ্ধতি। দিনে অন্তত চারবার লবণপানি দিয়ে গড়গড়া করতে হবে। গলা বসে যাওয়া উপশমে ভালো আরেকটি পদ্ধতি হলো গরম বাষ্প টানা। ফুটন্ত পানির বাষ্প যদি দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট মুখ ও গলা দিয়ে টানা হয়, তবে উপকার হবে। ২. স্বর বসে যাওয়া গলায় হালকা গরম লেবুপানি ও আদা বেশ কার্যকর। শুকনো আদায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান রয়েছে, যা গলার বসে যাওয়া স্বরকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। গলার যত্ন নিন কণ্ঠস্বরেরও যত্ন দরকার। প্রথমেই চিৎকার-চেঁচামেচি থেকে বিরত থাকতে হবে। ঠান্ডা লেগে যদি গলা বসে যায়, তবে কথা বলা বন্ধ করতে হবে বা কমিয়ে দিতে হবে। এমনকি ফিসফিস করেও কথা বলবেন না তখন। ধূমপান গলার যেকোনো সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয় বা জটিল করে তোলে। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী নাক, কান ও গলা বিভাগ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল|
কণ্ঠের সমস্যার কারণসমূহঃ কণ্ঠের সাধারণ সমস্যাকে আমরা সমস্যা মনে করি না। পরবর্তীতে তা অনেক সময় জটিল অসুখে পরিণত হয়। কণ্ঠনালীর সমস্যার জন্য উপসর্গগুলে হল-উচ্চসুরে কথা বলার সময় গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন, কাশি, কিছু গিলতে অসুবিধা, শ্বাসকষ্ঠ ইত্যাদি। যদি দীর্ঘ দিন বা দুই সপ্তাহে ভাল না হয়, তবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া একান্ত জরুরী। বিভিন্ন কারণে কণ্ঠস্বরের এই রকম প্রব্লেম হতে পারে।