শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
TarikAziz

Call

জাদুমণি, হয়তো তুমি খুব বেশি ভালো নেই,ভালো থাকার জন্য অনেক চেষ্টা করো কিন্তু পারোনা,যেমনটি পারিনা আমিও। তুমি খুব সুন্দর তোমার ছেড়ে 'থাকতে পারছিনা,মন জ্বলছে,খুব কষ্ট লাগছে,খুব দেখতে ইচ্ছে করছে' ওই গল্পগুলো আমাকে শত নিষেধের পরও শোনাও।আর আমি খুশি মনে কিছু বলতে গেলেই আমার মুখ চেপে ধরো খুব শক্ত করে।কখনো জোর করে একটা প্রিয় লাইন (আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি,অনেক) বলতে গেলেই তার অর্ধেকটা তুমি কেড়ে নাও পাকিস্তানি হানাদারদের মতো।সেদিন সকালে আমাকে নিজ হাতে টিফিন খাইয়ে তুমি স্কুলে চলে গেলে,আর আমি মুখ লুকিয়ে কেঁদেছি খুশিতে,এত বড় সৌভাগ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তা আমাকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন! চোঁখ মুছতে মুছতে তোমার পথের পানে চেয়ে থেকেছি আড়াল হওয়ার আগে পর্যন্ত। শুধু তোমার দুটি চোঁখ,দুটি হাত,দুটি পা, আর পথ চলা দেখার জন্যই পাগলের মতো ছুটে আসি।কোনদিন ঝড়,বৃষ্টি, রোদ,তুফান আমার পথ আটকাতে পারেনি,পারবেও না।সবার চোঁখ ফাকি দিয়ে দূর থেকে তোমাকে দেখি। কি যে এক অনাবিল আনন্দে মনটা ভরে ওঠে তা আমার মতো হাদারামের পক্ষে বলে বুঝানো সম্ভব না! হাতে মোবাইল থাকার পরও হাতঘড়ি ছাড়া আমার একটা মুহূর্তও চলতো না। সেদিন বলেছিলে 'বার বার এতো ঘড়ি দেখা লাগে কেন?' তখন আরো বেশি বেশি ঘড়ি দেখতাম তোমাকে ক্ষেপানোর জন্য! আমার ছবি চেয়েছিলে,দিয়েছিও:কিন্তু আমার না,ভিলেন ডিপজলের ছবি দিয়েছি তোমাকে ক্ষেপানোর জন্য। অনেক অভিমান করেছিলে সেদিন। এই কানে ধরলাম,আর কখনো ডিপজলের ছবি দেবনা! তোমার চোঁখ না দেখে ফিরে আসার কষ্ট কোনদিন বুঝাতে পারবোনা। আচ্ছা,পারবে তুমি কোনদিন আমাকে ভূলে একটি মুহূর্তও থাকতে???? আমি জানি,মানি,স্বীকার করি তুমি কোনদিন ও তা পারবেনা। এক পশলা বৃষ্টি এসে যখন গাছপালা,পথঘাট ভেজানো শুরু করবে...তখন আমাকে তোমার ভীষণ মনে পড়বে।ইচ্ছে হবে ছাতা বন্ধ করে বৃষ্টিতে ভিজতে! মাঝ রাতে টিনের চালে ঝুপঝাপ বৃষ্টির শব্দ যখন ঘুম ভেঙে দেবে,তখন চোঁখ মেলে আমাকে তোমার দেখতে ইচ্ছে হবে!ভাপসা গরমের কোন রাতে বিদ্যুত্ চলে গেলে মাথার উপর যখন পাখাটা আর ঘুরবেনা,কাঁচা ঘুম ভেঙে আমায় তোমার দেখতে ইচ্ছে হবে! ১০২ ডিগ্রী জ্বর আর প্রচন্ড কাশিতে যখন দম নিতে,নিশ্বাস ফেলতে খুব কষ্ট হবে,তখনো তুমি এক পলক আমাকে দেখতে চাইবে! জানিনা এই চিঠি তুমি পড়বে কিনা। যদি পড়ে থাকো তবে বলছি,"আমি আমার জাদুমণিকে অনেক অনেক ভালোবাসি,অনেক ! ইতি, তোমার লক্ষী ছেলেটি.

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রিয়ভাষিণী , শোনো এদিকে, তোমার সাথে একটু কথা ছিল। কিন্তু তোমাকে কি নামে ডাকবো? বনলতা সেন , নাকি সুরঞ্জনা! আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না। আসলে আমার মন চাইছে কিছু বলতে। আজ আমি এই মধ্য জুনে তোমাকে চিঠি লিখবো বলেই ঠিক করেছি। মনকে বোঝাচ্ছি যে যা করতে যাচ্ছি একটু পর তা হয়তো শতভাগ সঠিক। অবশ্য আমি এখনই ফলাফল বলতে নারাজ। এমনও হতে পারে এক সর্বনাশা ঢেউ এসে সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে গেল। না! না! এ হতে পারে না। আমার কাছে এ শুধুই হয়তো দুঃস্বপ্ন । কোন এক অদৃশ্য হাওয়া যখন আমার গায়ে এসে লাগে তখন কেমন জানি শিহরণ খেলে যায়! মনে হয় তখন আমি আর আমার মাঝে নেই। অবশ্য আমি তুমি আমরা এই ব্যপারটি বুঝে উঠতে কিছুটা সময় নেই। কিংবা সহজ ভাষায় বললে বলা যায় কেউই হয়তো বুঝি না এসব। মাঝে মাঝে কেন জানি মনে হয় জীবনে সবকিছু অপূর্নই থেকে যাবে। এ অশান্ত পৃথিবীতে একটু খানি তোমার কথা ভেবে শান্তি পেতে চাই। যদিও লোকমুখে শোনা যায় তোমার হৃদয়টা নাকি নীল-দর্পণ এর মত । সহজেই তুমি নাকি মানুষকে কষ্ট দিতে পারো!! সেদিন তোমাকে দেখলাম তুমি তোমার ছোট পুংটা ভাইটাকে নিয়ে বাজারে যাচ্ছো। কেন জানি তখন মনে হচ্ছিল কোন এক কালোপরী আমার সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। আমি কবি নই , আর তাই তো তখনই ২ লাইনের কবিতা তোমার জন্য লেখা হয়ে ওঠেনি। আমি অতি সাধারণ এক ছেলে। হয়তো, আমাকে তোমার পছন্দ হবে না কোনদিনও। কিন্তু তুমি তো জানই ইদানিং কালের ছেলেগুলো হয় দ্যা বান্দর টাইপের। আমার জায়গায় তারা হলে হয়তো এতদিনে তোমাকে ...... হয়তো আমার প্রেমের এই চিঠিটাকে তোমার পুরাতন স্টাইল বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এ ছাড়া আমার তো আর কোন পথও নেই। ভালবাসা প্রকাশ করার মত কোন নতুন পদ্ধতি আমি শিখি নি। আমি হইলাম বগুড়ার পোলা! সবকথার শেষ কথা হল আমি তোমাকে ভালবাসি। আর তুমি যদি অপারগ হও তবে আমি আপেল বেচুম সব ছেড়ে ছুড়ে দিয়ে। শ্যাঁওঁড়াঁ গাঁছেঁরঁ বাঁসিঁন্দাঁ হতেও আমার আপত্তি নেই। হয়তো কোন এক সকালে দেখবে এক অগ্নিঝরা আগন্তুক হয়ে তোমার কাছে চলে এসেছি ভালবাসা পাবার আশায়। তোমার কথা ভেবে ভেবে আমি আজ শুঁটকি মাছ এর মত হয়ে গিয়েছি। তুমি আমাকে আজ ভাবতে পারো কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক ! আমার কোন আপত্তি নেই তাতে। আজ আমি কোথাও যাবো না তোমাকে ছেড়ে। আর তাই তোমাকে আমার বড়ই প্রয়োজন!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রিয়ত্মেসু পত্রের শুরুতে রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা। আজ অনেকদিন পর তোমাকে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে তাই এই চিঠিখানা লিখতে বসা। জানিনা! এই চিঠিখানা কোনদিন তোমার হাতে পৌঁছাবে কিনা? কোনদিন তুমি জানতে পারবে কিনা? তবুও সান্ত্বনা এই যে তোমাকে ভেবেই চিঠিখানা লিখা আর মনের ভাবখানা এই যে তোমাকেই যেন বলছি। এইটুকু সান্ত্বনা নিয়েই মনের গভীরে জমে থাকা কষ্টগুলো একটু হালকা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। কি করবো বলো ? আমার তো মনের কষ্টের কথা শোনার মত একটি মানুষও নেই। তাই নিজের সাথে নিজেই কথা বলে নিজেকেই নিজে সান্ত্বনা দিয়ে পথ চলছি, চলবো বাকীটা জীবন। তোমার নামের অর্থ ছিল 'দিন' কিন্তু সেই তুমি একটি মানুষের জীবন কে উপহার দিলে 'রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকার'। যে রাতের আধার আজো সেই মানুষটার জীবন থেকে কেটে যায়নি। তাইতো যে রাতে সারা পৃথিবী থাকে ঘুমিয়ে শুধু সেই মানুষটা থাকে জেগে! যে কিনা 'তুমি' চলে যাওয়ার পর থেকে একটি রাতও ঘুমাতে পারেনি, ঘুমাতে যায়নি! এটাই নিয়ম, ভালবাসার রাতের ঘুম কে সেই দুঃখ পাওয়া মানুষটা তোমাকে উৎসর্গ করে দিয়েছে তাঁর নিজের সব ঘুম তোমার চোখে দিয়ে। তাইতো সে আছে এবং থাকবে সারা জীবন রাতজেগে যেন একটিবারের জন্যও তোমার শান্তির ঘুম নষ্ট না হয়! কারন একটি নির্ঘুম রাতের যন্ত্রণা যদি কোনভাবে তুমি বুঝতে পারো তাহলে তোমার এতো সুখ আর সুখ থাকবেনা। প্রতিটা মুহূর্ত ঐ দুঃখ পাওয়া মানুষটার মলিন মুখ তোমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে যা তোমার সুখের জীবনকে মুহূর্তে লণ্ডভণ্ড করে দিবে! যা দুঃখ পাওয়া মানুষটা চায় না। যা আমি চাইনা কোনদিন। তাইতো নিজেকে সুখী না করে আমার পাওনা সুখগুলো তোমাকে লিখে দিলাম যেন কোন না পাওয়ার কষ্ট তোমাকে কোনদিন স্পর্শ না করে। তুমি মাঝেমাঝে ফোন দিয়ে আমার খবর নেয়ার চেষ্টা করো ,কিন্তু আমি তোমার সেই ফোন ধরি না। যার জন্য হয়তো ভাবছো তোমাকে ভুলে গেছি, নিজেকে সাজিয়ে নিচ্ছি ! কিন্তু না! তার কিছুই আমি করিনি এবং করবো না কোনদিন। কারন আমারতো জীবনে কিছু পাওয়ার নেই।কিছু চাওয়ারও নেই। যেটুকু করছি সেইটুকু শুধু বেঁচে থাকার সময়গুলো পার করার জন্য করছি। তোমার ফোন না ধরার কারন ২ টি। ১- নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে নিয়ে কঠিন ও নির্দয় এক মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছি। যাকে কোন দুঃখকষ্ট কাঁদাতে পারেনা। যাকে বলে ' অল্প শোকে কাতর আর অধিক শোকে পাথর'' । সেই পাথরটাই হয়েছি। তোমার কণ্ঠ শুনে নিজেকে সামলে রাখতে পারবো না,হয়তো চোখ বেয়ে নীরবে অশ্রু ঝরবে যা তুমি দেখবে না। আর সেই অশ্রু হয়তো আমার পাথরের মত শক্ত মনটাকে একটু হলেও নরম করে দিতে পারে, যা আমি চাইনা। তাই তোমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানো। ২) আমি 'থিয়েটার নাটক 'এর চরিত্রে একজন প্রতিভাবান সম্ভাবনাময় অভিনেতা হলেও তোমার সাথে কোনদিন অভিনয় করতে পারিনি আর আজো পারবো না। তুমি জিজ্ঞেস করবে 'কেমন আছো' ? এই প্রশ্নের উত্তরে আমি তোমাকে যদি বলি খুব ভালো আছি তাহলে সেইটা হবে আমার নিজের সাথেই নিজের প্রতারণা। পৃথিবীর কেউ না জানুক, আমিতো জানি যে ভিতরে ভিতরে আমি কেমন আছি! তোমার সাথে মিথ্যে কথা ও ভালো থাকার মিথ্যে অভিনয় না করার জন্যই এই পালিয়ে থাকা। এর জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও প্লিজ! তুমি জানো না! আজ আমি কোথাও নিজেকে স্থির করে রাখতে পারিনা। তাইতো আজ এখানে তো কাল ওখানে এই করে ঘনঘন চাকরি ছাড়ি! কি করবো বলো? আমিতো সারাটা জীবন স্থির থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার ভাগ্য যে সেই স্থিরতা নেই তা কি আমি জানতাম? তাইতো শুধুই অস্থির ভাবে ছুটে চলা। কিন্তু একটা জায়গায় আমি ঠিকই স্থির , তা হলো 'তুমি' মানে 'তোমাতে' ! যে তোমাকে একদিন ভালবেসেছিলাম সেই তোমাকেই আজো ভালবেসে যাচ্ছি। যে ভালবাসায় তুমি চলে যাবার পরেও কোনদিন কাউরে জড়াইনি, জড়াবো না কোনদিন। বলতে পারো 'জাতে মাতাল তালে ঠিক' এর মতো। যত কিছুই হোক সেই তোমারই রয়ে গেছি ও রয়ে যাবো। তার জন্যই তো এতো অস্থিরতায় নিজেকে রাখি সারাক্ষণ যেন কেউ ভুলেও আমার সাথে জড়ানোর সাহস না করে। এটাও যদি আমার অপরাধ হয় তাহলে ক্ষমা করে দিও প্লিজ! জানিনা! জীবনের কোন প্রান্তে আবার তোমার সাথে আমার দেখা হবে! সেদিন হয়তো ২জনের মাঝে অনেক ব্যবধান থাকবে আর থাকবে খুব চেনা ,খুব আপন দুটি মানুষ কত অচেনা ,কত পর হতে পারে সেই প্রশ্নের জটিল এক সমীকরণ! যেখানে দুজন চেনাজানা মানুষ সম্পূর্ণ অচেনা রূপে। যে সমীকরণ এর উত্তর কোনদিন পাওয়া যাবে না। শুধু দুজনের ভেতর থাকবে একই হাহাকার আর একই প্রশ্ন '' ভাগ্যর পরিহাস কেন এতো নির্মম হয়"? এতোটা পথ কেউ পার হয়েছে একা আর কেউ পার হয়েছে কোন সাথী নিয়ে! কে সফল? ঐ একা মানুষটি ? নাকি সাথী নিয়ে চলা ঐ মানুষটি? বহুদিন পর হঠাৎ দেখা হবার আনন্দটা এক নিমিষেই উড়ে মলিন হয়ে যাবে যদি '' প্রশ্ন করো কেন একা রয়ে গেলে"? কারন প্রশ্নের জবাব টা তোমার জানা যা তোমাকে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে! চিঠি দীর্ঘ করে তোমার মূল্যবান সময় নষ্ট করবো না। সবশেষে তোমাকে আবারো শুভকামনা ও ভালোবাসা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি আর বিশ্বাস রেখো এই পৃথিবীতে একজন পাগল তোমাকেই ভালবেসে বেঁচে আছে। ইতি তোমারই এক 'হতভাগা পাগল'

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

প্রিয় তমা, বহু দিন পর তোমায় লিখতে বসলাম। মোবাইল আসার পর থেকে তোমাকে তো লেখাই হয় না। আজো মনে পরে সেই কলেজের দিনগুলি, তখন প্রতিদিন তোমাকে না লিখলে ভালই লাগত না। কত কথাই না হত, আমার ভালবাসার কথা, আমার কষ্টের কথা, বন্ধুদের সাথের দুস্টামি, সব সব। আবার লিখতে শুরু করলাম। তবে এবার আর কাগজে কলমে নয়, আমিও ডিজিটাল হচ্ছি। অপেক্ষায় থেক। তোমার পরাণের জান মিস্টার রবিন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ