হজমশক্তিকে বাড়াতে আজই খেতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি জুস। আসুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসে হজমশক্তি বাড়ানোর জুস বানানোর পদ্ধতি। লেবুর জুস আপনার হজম শক্তি বাড়াতে একগ্লাস লেবুর জুসের সঙ্গে একটু বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করুন। এই দুই উপাদানের মিলিত শক্তি আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলবে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে একগ্লাস জুস পান করতে পারেন। প্রতিদিন লেবুর জুস পানের অভ্যাস তৈরি হলে সারাদিনে আপনার হজমের সমস্যা দূর হবে। হজম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে কমলার জুসও খুব কাজের। চিনি বাদে কমলার জুস করে পান করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে। পেঁপের জুস পেঁপে হজম শক্তি বৃদ্ধিকারক একটি ফল। ব্লেন্ডারে দিয়ে পেঁপের জুস বানিয়ে নিয়মিত পান করতে পারেন। বেশি কাজ দেবে পেঁপে কাটার আগে ধুয়ে নিলে। কারণ হজম বাড়াতে বা শরীরের অবাঞ্চিত চর্বি দূর করতে পেঁপের আঠা বেশি কার্যকরী। কাটার পর ধুলে পেঁপের আঠা চলে যায়। এভঅবে দুয়েক দিন খেলে আপনার হজম শক্তি ম্যাজিকের মতো বাড়তে থাকবে। আদার জুস গাজর, কমলা বা আপেলের সঙ্গে সামান্য একটু আদা নিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে খেয়ে নিন। আদা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী কিন্তু সর্বোচ্চ ৩ গ্রামের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এভাবে কিছুদিন খেয়ে দেখুন আপনার হজমশক্তি বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। পেটের গ্যাসের সমস্যাও দূর হবে সহজেই। অ্যালোভেরা জুস হজম শক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরা জুসের তুলনা হয় না। অ্যালোভেরায় প্রাকৃতিক এনজাইম, ভিটামিন সি ও অ্যামিনো অ্যাসিড আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে সামান্য চিনির সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল দিয়ে তৈরি জুস খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূর হবে। খাদ্য সঠিকভাবে হজম করাতে পানীয় পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আধা লিটার পানি পানের অভ্যাস করলেও দারুণ উপকার পাবেন। তাছাড়া খাবার খাওয়ার পর পর্যাপ্ত পানি পান খাবার হজম ক্ষমতা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। হজম শক্তি কম হবার অনেকগুলো কারণ আছে, এর মাঝে অন্যতম হল পিত্তথলীতে সমস্যা, পাকস্থলী থেকে পাচক রস কম নিঃসরণ হওয়া, গ্যাস্ট্রিক আলসার নন আলসার ডিসপেপ্সিয়া, ইত্যাদি। অনেক সময় নির্দিষ্ট মানুষের নির্দিষ্ট খাবার হজম করার ক্ষমতা কম থাকে ( উদাহরণস্বরূপ, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার হজম হয় না।) আপনার কেন হজম হচ্ছে না সে বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও বেশ কিছু তথ্য প্রয়োজন। আপনার যদি আগে থেকে ডায়েট কন্ট্রোলের অভ্যাস থাকে তা হলেও এমনটা হতে পারে। আপনি টানা ২৮ দিন ওমিপ্রাজলের ( ২০ মি গ্রা) একটি কোর্স করে দেখতে পারেন ( খাওয়ার আধা ঘন্টা আগে, প্রতিদিন সকালে ও রাতে)। তবে ভাল হয় যদি একজন ডাক্তারের সাথে সরাসরি কথা বলেন। ধন্যবাদ পরামর্শ দিয়েছেন : ডাঃ নিবিড় ইন্টার্ন চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। সুত্র:প্রিয় উত্তর
আপনাকে হজম শক্তি বৃদ্ধির জন্য পেঁপেঁ খেতে হবে । যদি না খান তাহলে ঔষুধের দোকানে হজম শক্তি বাড়ানোর অনেক ঔষুধ পাওয়া যায় ওগুলো খেতে পারেন । আর হ্যাঁ, আপনাকে প্রচুর পানি পান করতে হবে । পানিই পারে আপনার অ্যসিডিটি খুব দ্রুত কমিয়ে দিতে । তৈলাক্ত এবং ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার খুব কম খাবেন । এগুলো মেনে চলুন । আশা করি, আপনি নিরাময় পাবেন ।
সুস্থ থাকতে গেলে হজমশক্তি বাড়াতে উপায় আমাদের জানতে হবে। দেখে নেয়া যাক কি কি অভ্যাস হজমশক্তি বাড়ানোর সহায়ক হতে পারে- * ডায়েটে ফাইবার যুক্ত খাবার রাখলে পাচনপ্রক্রিয়া অনেকটাই স্বাভাবিক থাকবে। এজন্য নানা ধরনের ফাইবারযুক্ত ফল, সবজি ও শস্য ডায়েটে রাখতে হবে। * শরীরে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে সেটি আগে থেকেই বোঝা হয়। যদি খাবার সময়ে বেশি খেতে ইচ্ছে না করে তাহলে জোর করে খাবেন না। যদি শরীর ক্ষুধার্ত থাকে, তাহলে এমনিতেই আপনার বেশি খিদে পাবে। * পেট ভরে খেলেই যে শরীর ভালো থাকবে সেটি ঠিক নয়। বরং পেট কিছুটা খালি রেখে খেলেই শরীরের ও পাচনতন্ত্রের জন্য ভালো। * ফ্যাটযুক্ত খাবার বেশি খেলে পাচন প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়। তবে আবার একেবারেই ফ্যাটি খাবার না খেলেও সমস্যা। পরিমিত ফ্যাট শরীরের জন্য উপকারী। * টক দই খাবার হজমশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। * খাবার সময় যারা সঠিক সময়ে খান ও নিয়মিত একই সময় অনুসরণ করেন তাদের পাচন প্রক্রিয়া অন্যদের চেয়ে ভালো থাকে। ফলে ব্যস্ত থাকলেও সঠিক সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। * হজমের ক্ষেত্রে পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হজমশক্তি ঠিক রাখতে অনেক বেশি পানি পান করুন। * অনেকেই কফি, সিগারেট এমনকি অ্যালকোহলকে সবসময়ের নেশা বানিয়ে ফেলেন। নেশা ছাতে পারলে শরীর ও পাচনতন্ত্র ঠিক থাকবে। * কর্মহীন জীবনযাপন কখনই শরীরকে সুস্থ রাখতে পারে না। কর্মঠ জীবনযাপন করুন ও সুস্থ থাকুন। * ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা খাবার হজমের ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করে। এজন্য যতটা সম্ভব ক্লান্তি ও দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
হজম শক্তি বাড়াবে যে খাবার এলাচ :হজমের জন্যও ব্যবহৃত হয় এলাচ। এলাচে ভোলাটাইল তেল থাকে। যা গ্যাস এবং বদ হজমের হাত থেকে রক্ষা করে। এছাড়া মুখে দুর্গন্ধ ছাড়লে এবং পেটের আলসার এড়িয়ে চলতে অবশ্যই খেতে পারেন এলাচ। খাবার খাওয়ার পর এলাচের কয়েকটা দানা নিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়া লিকার চায়ের সঙ্গে এলাচের দানা মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি যে কোনও পেটের সমস্যা নিরাময়ে সক্ষম। মৌরি মৌরি সাধারণত মুখ শুদ্ধি হিসেবে কাজ করে। এটি মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে। খালি পেটে মৌরি খেলে গ্যাসট্রিকের সমস্যা দূর করা যায়। এছাড়া হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে মৌরি। আদা পেটে ব্যথা হলে এবং গ্যাসের সমস্যার সম্মুখীন হলে অবশ্যই আদা খেতে পারেন। চিকিতসাবিজ্ঞানে আদাকে ভেষজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে আদা। সব থেকে বড় ব্যপার সর্দি কাশির ক্ষেত্রেও আদা খুবই উপকারি। পান বহু যুগ থেকে ভারতে খাবার খাওয়ার পরে পান খাওয়ার প্রচলন ছিল। কিন্তু তখন মানুষ বেশিরভাগটাই নেশার জন্যই খেয়ে থাকতেন। তবে তারা অজানতে খেলেও এই পান শরীরের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়াতেও সাহায্য করে। এছাড়া হার্ট ভালো রাখে, গ্যাসের সমস্যা দূর করে, শরীরে খারাপ টক্সিনের পরিমাণ কমিয়ে লিভার ভালো রাখতে সাহায্য করে। মিছরি মিছরি জলে মিশিয়ে খেলে অথবা শুধু খেলে পেট ঠাণ্ডা হয়। ঠাণ্ডা লাগলেও এই মিছরি খেলে খুব ভালো কাজ হয়। এছাড়া মুখ শুদ্ধি হিসেবেও কাজ করে এই মিছরি।