আমার চুল খুবি সুস্ক। তেল বা চুলের ক্রিম দিয়ার পরে কিছুখোন ভাল থাকে কিন্তু এক্টু পরেই চুল একদম ফেসফেসে, সুস্ক হয়ে যায় যা দেখতে খুবি খারাপ লাগে। কি করলে এরকম সমসস্যা দেখে মুক্তি পাওয়া যাবে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চুল বা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হল পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের শরীরকে যেমন সতেজ রাখে তেমনি আমাদের চুলকেও রাখে সতেজ। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দিনে ২-৩ লিটার পানি পান করা উচিত। ০২. চুলের রুক্ষতা দূরীকরণে তেলের সাথে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। অলিভ অয়েল অথবা রেড়ির তেল (ক্যাস্টর অয়েল) যেকোনো তেলই চুলকে মসৃণ করে তোলে। যেকোনো তেল রাতে ঘুমানোর আগে দিয়ে সকালে উঠে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে ফেলা সবচেয়ে উত্তম। ০৩. যাদের চুল রুক্ষ আর সাথে খুশকিও আছে তারা হালকা কুসুম গরম তেলের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন আর শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে ১/২ মগ পানিতে সাদা ভিনেগার মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে চুল ঝরঝরে হয় আর চুল খুশকি মুক্তও হয়। ০৪. চুলকে ময়েশ্চারাইজ করতে ও রুক্ষতা দূর করতে মেয়নেজও ব্যবহার করতে পারেন। ১/২ কাপ মেয়নেজ নিয়ে হালকা গরম করে মাথায় ৪০-৪৫ মিনিট রাখুন। এতে চুলের রুক্ষ ভাব চলে যায় আর চুল অনেক সিল্কি হয়ে উঠবে। ০৫. চুলের রুক্ষতার জন্য মেহেদি প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের মেহেদি পাওয়া যায়। সেগুলোর প্যাক বানিয়ে ১ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেললেও চুল অনেক কোমল ও ঝরঝরে হয়ে উঠে। ০৬. তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলকে কোমল, নমনীয় ও ঝলমলে করার একটি অন্যতম উপায় হল- ১টি পাকা কলা, ১টি ডিম, ২-৩ চা চামচ টক দই, ২-৩ চা চামচ মধু, ১টি লেবুর সম্পূর্ণ রস সবকিছু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে সেটি মাথায় ১ ঘণ্টার মতো রাখতে হবে। মিশ্রণটি দেওয়ার আগে চুলে ভালো করে তেল মাসাজ করে নিতে হবে। এতে করে প্যাকটি খুব সহজে চুলে বসবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
avir

Call

চুল এর শুষ্ক তা দূর করতে এবং স্লিক করতে নিয়মিত পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করুন, সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন শ্যাম্পু করবেন, চুলের শুষ্ক তা দূর করতে ভিটামিন ইক্যাপ তেল ব্যবহার করুন এতে শুষ্ক তা দূর হয়ে চুল স্লিক থাকবে এবং চুল পড়াও রোধ হবে। পেয়াজ এর রস চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে লাগিয়ে ১০ মিনিট রাখুন তারপর ধুয়ে ফেলুন এইভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের খুসকি দূর হবে এবং চুলের শুষ্ক তা ও দূর হবে। আর সবসময় চুলের যত্ন নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

শুষ্ক চুলে ময়েশ্চারাইজার ছাড়া ক্লিয়ার শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। ওমেগা থ্রি আছে এমন ময়েশ্চারাইজার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। * চুলে স্বাভাবিক মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করুন, যা চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখবে। স্ক্যাল্পে র্যাশ, চুলকানি হবে না- এ রকম শ্যাম্পু বেছে নিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
TarikAziz

Call

ঘন কন্ডিশনার ব্যবহার করা--- শুষ্ক চুল খুব সাধারণ একটি সমস্যা। চুল কোমল ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে ঘন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। চুল ময়েশ্চারাইজের জন্য ভারি ও ঘন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।” আয়ন ব্লো ড্রায়ার---- সাধারণ হেয়ার ড্রায়ার চুল শুকানোর পাশাপাশি শুষ্ক করে ফেলে। তাই আয়ন ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি চুলের উপরের অংশ শুকাতে সাহায্য করে। কারণ আয়ন চুলের বাড়তি ক্ষতিও ঠেকাতে সাহায্য করবে। ভেজা অবস্থায় চুল স্ট্রেইট করা----ভেজা অবস্থায় আয়রন করা হলে চুলের ক্ষতি কম হয়। ভেজা চুলে অর্গানিক কোন তেল দিয়ে উপর দিয়ে আয়রন বুলিয়ে নিন। এতে খুব দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত চুল ভালো হবে। সপ্তাহে একবার ডিপ কন্ডিশন করা--- চুল নরম রাখতে সপ্তাহে যে কোন একদিন চুল ডিপ কন্ডিশন করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমে চুল পরিষ্কার করে চুলে ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক লাগাতে হবে। তারপর গরম তোয়ালে দিয়ে মাথা পেচিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেললেই চুল দেখাবে মসৃণ ও নরম।শুষ্কতা কেটে যাবে। সালফেট নেই এমন পণ্য ব্যবহার করা-- চুলে রং যদি করেন তাহলে এই বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। কারণ সালফেট রং হালকা করার পাশাপাশি চুল রুক্ষ করে দেয়। তাই প্রতিবার মাথা পরিষ্কার করে চুল কন্ডিশন করার সময় সালফেট নেই এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ