নবী করিম (সঃ) একাদশ হিজরীর ১২ই রবিউল আউয়াল রোজ সোমবার সুর্য উত্তপ্ত হওয়ার সময় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। এদিকে নবীজির দাফন কাফনের আগেই নবীজির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ব্যাপারে সাকীফা বনু সায়েদার মধ্যে মুহাজেরিন ও আনসারদের মধ্যে বাদানুবাদ চলতে থাকল। এই অবস্থায় সোমবার রাত্রি অতিবাহিত হয়ে সমাগত হয় মঙ্গলবার সকাল। এই সময় পর্যন্ত রসুলুল্লাহ(সঃ) এর দেহ মোবারক একটি জরীদার ইয়ামেনী চাদর দ্বারা আবৃত অবস্থায় বিছানায় শয়িত ছিল। মঙ্গলবার দিন রসুলুল্লাহ(সঃ) কে কাপড় সহ গোসল দেয়া হয়। গোসল দেয়ার কাজে অংশগ্রহন করেন, হযরত আব্বাস, হযরত আলী, আব্বাসের দুই পুত্র ফযল ও কোশম, রসুলে করিম (সঃ) এর আজাদকৃত গোলাম শাকরান, ওসামা বিন যায়েদ ও আওস বিন খাওলী। গোসলের পরে ইয়ামেনী সাদা তিনটি কাপড় দ্বারা কাফন পরানো হয়। যে বিছানায় নবী করিম (সঃ) ইনতেকাল করেছিলেন, আবু তালহা সেই বিছানা উঠিয়ে নিলেন, অত;পর তার নীচেই বগলী কবর খনন করা হলো। এরপর সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) পালাক্রমে দশজন করে ঘরের মধ্যে প্রবেশ পূর্বক নামাজে জানাজা আদায় করলেন। নিদ্ধারিত কোনো ইমামের ব্যবস্থা ছিল না। সর্বপ্রথম নবী করিম (সঃ) এর পরিবার বনু হাশেমের লোকজন জানাজা নামাজ আদায় করেন, এরপর ক্রমান্বয়ে অনান্য গোত্রের পুরুষ, মহিলা ও শিশুগন জানাজা নামাজ আদায় করেন। নামাজে জানাজা আদায়ে মঙ্গলবার পুরোদিন অতিবাহিত হয়ে যায়। বুধবার দিনেও জানাজা চলতে থাকে। অবশেষে বুধবার রাত্রের মধ্যভাগে নবী করিম (সঃ) এর দেহ মোবারক সমাহিত করা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

আমাদের গতানুগতিক নিয়মে যেভাবে জানাযার নামায পড়ানো হয়, নবী মুহম্মদ (স:) এর বেলায় তেমনটি ঘটেনি। তার জানাযার নামাযে কেউ ইমামও হননি।

এব্যাপরে 'আল্লামা ছফিউর রহমান মোবারকপুরী' এর লেখা 'আর রাহীকুল মাখতূম - রসূলুল্লাহ (স.)-এর মহান জীবনী গ্রন্থ' -এর ৪৯২ পৃষ্ঠায় সুন্দরভাবে উল্লেখ আছে। আমি হুবহু তুলে ধরছি।

"দশজন দশজন করে সাহাবা হুজরায় প্রবেশ করে পর্যায়ক্রমে জানাযার নামায আদায় করেন। এ নামাযে কেউ ইমাম হননি। সর্বপ্রথম বনু হাশেম গোত্রের লোকেরা নামায আদায় করেন। এরপর মোহাজের এরপর আনসারা, এরপর অন্যান্য পুরুষ এরপর মহিলা, এবং সবশেষে শিশুরা জানাযার নামায আদায় করেন।"

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ