শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
julhas

Call

ইমাম আবু হানীফা এর মতে,সালাত পড়ার সময় জোড়ে নয় আস্তে আমীন বলতে হয়। এতে নামাজে মনোযোগ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গত শুক্রবার হাকিমপুর চারমাথা জামে মসজিদে যুমার নামাজ আদায় করেছিলাম।তো সেখানে ইমাম খুদবা দিতে বললেন।রাসূল সাঃ তার জীবনের শুরু দিকে জোড়ে আমিন বলতেন আবার জীবনের শেষ দিকে তিনি এ অভ্যাস ত্যাগ করে ধীরে বা মনে মনে আমিন বলতে থাকেন।এ বিষয়ে তাফসির কারকেরা বলেন জোড়ে আমিন বলার চাইতে আস্তে আমিন বলাটাই উত্তম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

‘আ-মীন’ বলা সূরা ফাতিহা শেষ করে নবী মুবাশ্‌শির (সাঃ) (জেহরী নামাযে) সশব্দে টেনে ‘আ-মীন’ বলতেন। (বুখারী জুযউল ক্বিরাআহ্‌, আবূদাঊদ, সুনান ৯৩২, ৯৩৩নং) পরন্তু তিনি মুক্তাদীদেরকে ইমামের ‘আমীন’ বলা শুরু করার পর ‘আমীন’ বলতে আদেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ইমাম যখন ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম অলায যা-ল্লীন’ বলবে, তখন তোমরা ‘আমীন’ বল। কারণ, ফিরিশ্‌তাবর্গ ‘আমীন’ বলে থাকেন। আর ইমামও ‘আমীন’ বলে। (অন্য এক বর্ণনা মতে) ইমাম যখন ‘আমীন’ বলবে, তখন তোমরাও ‘আমীন’ বল। কারণ, যার ‘আমীন’ বলা ফিরিশ্‌তাবর্গের ‘আমীন’ বলার সাথে সাথে হয়- (অন্য এক বর্ণনায়) তোমাদের কেউ যখন নামাযে ‘আমীন’ বলে এবং ফিরিশ্‌তাবর্গ আকাশে ‘আমীন’ বলেন, আর পরস্পরের ‘আমীন’ বলা একই সাথে হয় -তখন তার পূর্বেকার পাপরাশি মাফ করে দেওয়া হয়।” (দেখুন, বুখারী ৭৮০-৭৮২, ৪৪৭৫, ৬৪০২, মুসলিম,  আবূদাঊদ, সুনান ৯৩২-৯৩৩, ৯৩৫-৯৩৬, নাসাঈ, সুনান, দারেমী, সুনান) মহানবী (সাঃ) আরো বলেন, “ইমাম ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম অলায যা-ল্লীন’ বললে তোমরা ‘আমীন’ বল। তাহলে (সূরা ফাতিহায় উল্লেখিত দুআ) আল্লাহ তোমাদের জন্য মঞ্জুর করে নেবেন।” (ত্বাবারানী, মু’জাম, সহিহ তারগিব ৫১৩নং) বলাই বাহুল্য যে, ‘আমীন’ এর অর্থ ‘কবুল বা মঞ্জুর কর।’ ইবনে জুরাইজ বলেন, আমি আত্বা-কে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘সূরা ফাতিহা পাঠের পর ইবনে যুবাইর ‘আমীন’ বলতেন কি?’ উত্তরে আত্বা বললেন, ‘হ্যাঁ, আর তাঁর পশ্চাতে মুক্তাদীরাও ‘আমীন’ বলত। এমনকি (‘আমীন’-এর গুঞ্জরণে) মসজিদ মুখরিত হয়ে উঠত।’ অতঃপর তিনি বললেন, ‘আমীন’ তো এক প্রকার দুআ। (আব্দুর রাযযাক, মুসান্নাফ ২৬৪০ নং, মুহাল্লা ৩/৩৬৪, বুখারী তা’লীক, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩০৬) আবূ হুরাইরা (রাঃ) মারওয়ান বিনহাকামের মুআযযিন ছিলেন। তিনি শর্ত লাগালেন যে, ‘আমি কাতারে শামিল হয়ে গেছি এ কথা না জানার পূর্বে (ইমাম মারওয়ান) যেন ‘অলায যা-ল্লীন’ না বলেন।’ সুতরাং মারওয়ান ‘অলায যা-ল্লীন’ বললে আবূ হুরাইরা টেনে ‘আমীন’ বলতেন। (বায়হাকী ২/৫৯, বুখারী তা’লীক, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩০৬) নাফে’ বলেন, ইবনে উমার ‘আমীন’ বলা ত্যাগ করতেন না। তিনি তাঁর মুক্তাদীগণকেও ‘আমীন’ বলতে উদ্বুদ্ধ করতেন। (বুখারী তা’লীক, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩০৬-৩০৭) পরের ঐশ্বর্য, উন্নতি বা মঙ্গল দেখে কাতর বা ঈর্ষান্বিত হয়ে সে সবের ধ্বংস কামনার নামই পরশ্রীকাতরতা বা হিংসা। ইয়াহুদ এমন এক জাতি, যে সর্বদা মুসলিমদের মন্দ কামনা করে এবং তাদের প্রত্যেক মঙ্গল ও উন্নতির উপর ধ্বংস-কামনা ও হিংসা করে। কোন উন্নতি ও মঙ্গলের উপর তাদের বড় হিংসা হয়। আবার কোনর উপর ছোট হিংসা। কিন্তু মুসলিমদের সমূহ মঙ্গলের মধ্যে জুমুআহ, কিবলাহ্‌, সালাম ও ইমামের পিছনে ‘আমীন’ বলার উপর ওদের হিংসা সবচেয়ে বড় হিংসা। মহানবী (সাঃ) বলেন, “ইয়াহুদ কোন কিছুর উপর তোমাদের অতটা হিংসা করে না, যতটা সালাম ও ‘আমীন’ বলার উপর করে।” (ইবনে মাজাহ্‌, সুনান, ইবনে খুযাইমাহ্‌, সহীহ, সহিহ তারগিব ৫১২নং) তিনি আরো বলেন, “ওরা জুমুআহ -যা আমরা সঠিকরুপে পেয়েছি, আর ওরা পায় নি, কিবলাহ্‌ -যা আল্লাহ আমাদেরকে সঠিকরুপে দান করেছেন, কিন্তু ওরা এ ব্যাপারেও ভ্রষ্ট ছিল, আর ইমামের পশ্চাতে আমাদের ‘আমীন’ বলার উপরে যতটা হিংসা করে, ততটা হিংসা আমাদের অন্যান্য বিষয়ের উপর করে না।” (আহমাদ, মুসনাদ, সহিহ তারগিব ৫১২নং) প্রকাশ যে, ‘আমীন’ ও ‘আ-মীন’ উভয় বলাই শুদ্ধ। (সহিহ তারগিব ২৭৮পৃ:)  ইমামের ‘আমীন’ বলতে ‘আ-’ শুরু করার পর ইমামের সাথেই মুক্তাদীর ‘আমীন’ বলা উচিৎ। ইমামের বলার পূর্বে বা পরে বলা ইমামের এক প্রকার বিরুদ্ধাচরণ, যা নিষিদ্ধ। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৯৭, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ৬/৮১)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমীন আস্তে বলা সম্পর্কে কিছু আছার পেশ করছি। ১. হযরত ওমর রা. বলেন, চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়া লাকাল হামদ। ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺍﻟﺘﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻭﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ (ইবনে জারীর, কানযুল উম্মাল ৮/২৭৪; বিনায়াহ ২/২১৯) ২. আবু ওয়াইল রাহ. বলেন, খলীফায়ে রাশেদ আলী রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিসমিল্লাহ উঁচু আওয়াজে পড়তেন না। তেমনি আউযুবিল্লাহ ও আমীনও। ﻛﺎﻥ ﻋﻠﻲ ﻭﻋﺒﺪ ﺍﻟﻠﻪ ﻻ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺒﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﻌﻮﺫ ، ﻭﻻ ﺑﺎﻟﺘﺄﻣﻴﻦ ، ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻬﻴﺜﻤﻲ : ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻄﺒﺮﺍﻧﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﺒﻴﺮ ﻭﻓﻴﻪ ﺃﺑﻮ ﺳﻌﺪ ﺍﻟﺒﻘﺎﻝ ، ﻭﻫﻮ ﺛﻘﺔ ﻣﺪﻟﺲ. (আলমুজামুল কাবীর, হাদীস : ৯৪০৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১০৮) ৩. আবু ওয়াইল থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রা. ও হযরত আলী রা. বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়তেন না। ﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﻋﻤﺮ ﻭﻋﻠﻲ ﻳﺠﻬﺮﺍﻥ ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﻻ ﺑﺂﻣﻴﻦ . (ইবনে জারীর তবারী ; আলজাওহারুন নকী ১/১৩০ ৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ইমাম তিনটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়বে : আউযুবিল্লাহ ..., বিসমিল্লাহ ... ও আমীন। ﻳﺨﻔﻲ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺛﻼﺛﺎ : ﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ . (আলমুহাল্লা ৩/১৮৪) ৫. ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : বিসমিল্লাহ, আউযুবিল্লাহ, আমীন ও সামিআল্লাহর পর রাববানা লাকাল হামদ। ﺃﺭﺑﻊ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ ﺍﻹﻣﺎﻡ : ﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺍﻻﺳﺘﻌﺎﺫﺓ ﻭﺁﻣﻴﻦ ، ﻭﺇﺫﺍ ﻗﺎﻝ ﺳﻤﻊ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﻦ ﺣﻤﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ . অন্য বর্ণনায় আছে, পাঁচটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পড়া হয় : সুবহানাকাল্লাহু ম্মা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা লাকাল হামদ। ﺧﻤﺲ ﻳﺨﻔﻴﻬﻦ : ﺳﺒﺤﺎﻧﻚ ﺍﻟﻠﻬﻢ ﻭﺑﺤﻤﺪﻙ ﻭﺗﻌﻮﺫ ﻭﺑﺴﻢ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺮﺣﻤﻦ ﺍﻟﺮﺣﻴﻢ ﻭﺁﻣﻴﻦ ﻭﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﻟﻚ ﺍﻟﺤﻤﺪ . (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক ২/৮৭; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৬/৮৬)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ