গালের ত্বক ভালো আছে।কিন্তু কপালের ত্বক কিছুটা ঢিলা হয়ে গেছে। এর কারণ কি? কিভাবে ভালো করবো..?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বয়স বাড়ার সাথে ত্বকের ভেতরে ডার্মিস স্তর পাতলা হতে থাকে। কোলাজেন ও অন্যান্য ফাইবারের পরিমাণ কমে গিয়ে এতে ত্বক পাতলা হয়ে আসে, ফলে ভাঁজ পড়ে। কিন্তু কম বয়সেই যখন মুখের, কপালের ত্বকে ভাঁজ পড়লে খুব বিশ্রী দেখায়। এটা হয়, যখন কোন ছেলের ছোট থেকেই ঘন ঘন বা দীর্ঘ সময় আমাশয়ে ভূগলে সবাস্থ্যহানী ঘটে। যে কারনে কমবয়সে অনেক ছেলের ত্বকে ভাজ পড়ে। এরকম সমস্যায় লেজের থেরাপি করে সুফল পাওয়া যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অতিরিক্ত রোদে বা সূর্যালোকে কাজ করা, ধূমপান, পরিবেশদূষণ ও পারিবারিক ইতিহাস। ধূমপান ত্বকের কোলাজেনকে ধ্বংস করে।আর এতে ত্বকে ভাজ পড়ে। ত্বকের অকাল ভাঁজের চিকিৎসায় রেটিনয়েড ক্রিম থেকে শুরু করে বটুলিনাম টক্সিন, লেজার, কেমিক্যাল পিলিংসহ নানা পদ্ধতি ব্যবহূত হয়। কিন্তু এর কোনোটাই স্থায়ী সমাধান নয় এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুলও বটে। আর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোটাই গ্রহণ করা যাবে না। দিনের বেলা বেরোতে হলে অবশ্যই ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ধূমপান পরিহার করুন। খাদ্যের তালিকায় প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ই এবং বি-৩ যুক্ত খাবার রাখুন। ত্বকের শুষ্কতা এড়াতে প্রচুর পানি পান করুন। প্রতিদিন নিয়ম করে শাকসবজি, দুধ ও পুষ্টিকর খাবার খেতে থাকুন। কারণে-অকারণে কপাল কুঁচকানো বাদ দিতে হবে। আর সর্বদা প্রফুল্ল থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

বয়স তো আর থেমে নেই। কিন্তু তার মাঝেও মানুষ চেষ্টা করে কিভাবে ভাল থাকা যায় এবং নিজেকে সুস্থ্য রেখে বয়সকে বেঁধে রাখা যায়। এর জন্য অবশ্যই চাই স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-জাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের চর্চা। এ ছাড়াও সৌন্দর্য্য রক্ষার জন্য চাই ত্বকের সঠিক পরিচর্যা। অতিরিক্ত ঠান্ডা, গরম এবং সূর্যালোক থেকে যেমন ত্বককে রক্ষা করতে হবে, একই ভাবে আমিষ ও স্নেহ জাতীয় খাদ্য, ভিটামিন, খনিজ লবন, হরমোন সহ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাকারী সকল উপাদানের সমন্নয় সাধানের মাধ্যমে ত্বককে সজীব রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। তবে এতসব ব্যবস্থা নেবার পরও বার্ধক্যজনিত কপালের বলিরেখা, মুখের চামড়া ঝুলে যাওয়া বা মুখে দাগ পড়াকে এড়িয়া যাওয়া প্রায় অসম্ভব। অনেকে বার্ধক্য জনিত সৌন্দর্য্য হানিকর এই অবস্থাকে সহজ ভাবে মেনে নিতে না পারার কারণে এর/ ওর কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে মুখে পাতার রস, মাটি, পারদ মিশ্রিত ফর্সা হবার ক্রীম সহ নানা ধরণের দ্রব্য ব্যবহার করে থাকে। ত্বকের এই তথাকথিত অতি যত্নের কারণে কিডনি সমস্যা ও অ্যালার্জি সহ ত্বকের বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। আজকাল অ্যান্টি এজ ক্লিনিক ব্যবস্থা চালু হয়েছে যেখানে বিজ্ঞান ভিত্তিক উপায়ে ত্বকের সমস্যা সমুহের নিরাপদ উপায়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। লেজার, বটক্স, কেমিক্যাল পিলিং, ডার্মাব্রেশন, মাইক্রো-নিডলিং, ফিলার ইত্যাদি ব্যবহার সহ বেশ কিছু পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। লেজার পদ্ধতির মাধ্যমে বেশ কিছু ধরনের ত্বকের সমস্যার সমাধান করা যায়। লেজার এক ধরনের অত্যন্ত ঘন, শক্তিশালী, কেন্দ্রিভুত আলোক রশ্নি যা দ্বারা কুঁচকে যাওয়া, দাগ পড়া, বা কোন কারণে অমসৃণ হয়ে যাওয়া ত্বকের উপরের অংশকে অপসারিত করা হয়। লেজার চিকিৎসার পর কিছু দিনের মধ্যেই আপনা আপনি ভেতর থেকে নতুন চামড়া গজিয়ে শুন্যস্থান পূরণ হয়ে যায়। অনেক মেয়েই মুখে অবাঞ্ছিত লোম থাকার কারণে অস্বস্তিতে ভোগে। লেজার দ্বারা লোমকূপ গুলি ধ্বংশ করার মাধ্যমে মুখের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমাদের ত্বক কয়েক ধরণের কোষের অতি পাতলা স্তর দ্বারা গঠিত। কিছু রাসায়নিক পদার্থ আছে যা ব্যবহার করে ত্বকের উপরের স্তরটিকে তুলে ফেলা সম্ভব। কেমিক্যাল পিলিং নামের এই পদ্ধতি ব্যবহারের পর কিছু দিনের মধ্যেই আপনা আপনি তুলে ফেলা অংশের ভেতর থেকে নতুন চামড়া গজিয়ে শুণ্যস্থান পূরণ হয়ে যায়। আলফা ও বিটা হাইড্রক্সি বিউটারিক অ্যাসিড, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, রেটিনলিক অ্যাসিড, ক্রোটন অয়েল ইত্যাদি পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করে কেমিক্যাল পিলিং এর কাজটি করা হয়ে থাকে। ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষার আরেকটি পদ্ধতির নাম মাইক্রো-ডার্মাব্রেশন। এই পদ্ধতিতে ত্বকের অসুন্দর স্থানে স্ফটিক জাতীয় এক ধরণের পদার্থ ব্যবহার করে উপরের চামড়াকে তুলে ফেলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। জন্মগত ত্বকের সমস্যা, আচিল, জড়ুল, পুড়ে যাওয়া চামড়া সহ অন্যান্য সমস্যায় এই পদ্ধতি যথেষ্ট ভাল কাজ দেয়। তবে ত্বকের গভিরে কোন সমস্যার চেয়ে ত্বকের উপরিভাগের সমস্যাতেই এই পদ্ধতি ভাল কাজ করে। ঢিলা চামড়া, চামড়ায় ভাঁজ বা চামড়ায় পুরাতন দাগ দূর করার জন্য মাইক্রো-নিডলিং যথেষ্ট উপকারে আসে। বিদ্যুতায়িত কয়েকটি সুঁচ ফুটিয়ে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করার ফলে স্থানিয় ভাবে নতুন রক্ত নালী এবং ত্বকের কোষ সহ কোলাজেন ও ইলাস্টিক টিসু গুলি নতুন ভাবে জন্ম লাভ করে স্ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। আজকাল বটক্সের নাম খুব শোনা যায়। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার টক্সিন থেকে এটি তৈরী যা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করে কপাল বা মুখের ভাঁজ দুর করা যায়। এছাড়াও ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হায়ালুরনিক অ্যাসিড প্রবেশ করিয়েও বলিরেখা বা চামড়ার ভাজের গর্তটি পুরণ করে ভাল ফল পাওয়া যায়। এই চিকিৎসাগুলি ব্যাথা নাশক অথবা লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে বহির্বিভাগেই সম্পন্ন করা হয়। তবে কেবল মাত্র চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ অথবা অভিজ্ঞ সার্জনের পরামর্শ ও সরাসরি তত্বাবধানের মাধ্যমেই এগুলি পরিচালিত হতে হবে। প্রকৃতির নিয়মকে তো আর অস্বীকার করা যাবেনা, তবে অ্যান্টি এজ ক্লিনিকের সাহায্য নিয়ে ত্বককে যতটুকু সম্ভব সুন্দর রাখার চেষ্টা তো অবশ্যই করা যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ