মেয়েদের পিরিয়ট হবার পূর্বে পেট ব্যাথা করে কেন?আর পেট ব্যাথা কমানোর জন্য কি করা উচিত?বিয়ের পরেও কি এমনটা হয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পিরিয়ড (ঋতুস্রাব বা ঋতুচক্র বা মাসিক) মেয়েদের জীবনের একটি স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিমাসে ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বানু নিষিক্ত হতে জরায়ুতে অবস্থান নেয়। কিন্তু তা নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে নিষিক্ত না হলে এই ডিম্বানু জরায়ুর ভেতরে একে ধারণ করার জন্য গড়ে ওঠা রক্তনালীকার ধ্বংসাবশেষের সাথে মিশ্রিত হয়ে পচা রক্ত হিসেবে সারভিক্স বা জরায়ু মুখের একটি ছোট ফোকর থেকে বের হয়ে যোনিপথে দেহের বাইরে বের হয়ে আসে। এটি যৌবনপ্রাপ্তির পর মেয়েদের জীবনে একটি নিয়মিত ঘটনা। পিরিয়ডের সময় কিছুটা ব্যথা, অস্বস্তি, ক্র্যাম্পিং (মাংস জমাট বেধে ব্যথা হওয়া) ইত্যাদি স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু প্রতিবার মাসিকের সময় অত্যাধিক ব্যথায় কোনো মেয়ের স্বাভাবিক জীবনধারা ব্যহত হয়ে যায়; যেমন স্কুল, কলেজ বা অফিসে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি ৷ মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা মেয়েদের একটা নিয়মিত ব্যাপার হলেও কিন্তু একটু সচেতন হলেই এই ব্যথা এড়িয়ে চলা যায়। আসুন জেনে নেই এসময় কি করণীয় . . . * মাসিকের আগের সপ্তাহে, কোনো বোতলে গরম জল ভরে বা কাপড় হালকা গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট তাপ লাগাতে পারেন। এটা একটানা ৩/৪ দিন করতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে। * পেটে ব্যথা কমাতে মেয়েরা সিজ বাথ করতে পারেন। সিজ বাথ করতে প্রথমে ৩ মিনিট গরম জলে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা জলে কোমর ডুবিয়ে রাখতে হবে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও মাসিকের আগে ৩/৪ দিন নিতে হবে। শুধু জল বা জলে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়। * ব্যথা কমানোর অপর একটা পদ্ধতি হল প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম করা। এটাও খুব উপকারী। এগুলো করলে যোনির মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধা প্রাপ্ত না হয়ে ঠিক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে। অনেক মেয়েই এ বিষয়ে অসচেতন কিংবা তাদের শারীরিক ফিটনেস ভালো নয় বলে এ সমস্যা বেশি হয়। তাই যদি একটু সচেতন হওয়া যায় তাহলে মুক্তি পাওয়া যাবে এই অসহ্য যন্ত্রনা থেকে। বিয়ের পরও এটি স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

অনেক গাইনি রোগের কারণে মাসিকের সময় ব্যথা হতে পারে, যেমন-তলপেটের ইনফেকশন, জরায়ুর টিউমার, পলিপ, জন্মগত ত্রুটি ইত্যাদি। বিবিধ কারণ থাকায় মাসিকের সময় ব্যথার ধরনও ভিন্ন হয়ে থাকে। সাধারণত মাসিক চক্রের শেষ সপ্তাহে তলপেটে ভার ভার অনুভূত হয়। মাসিক শুরুর তিন-চার দিন আগে থেকেই ব্যথা হয়। মাসিক শুরু হলে ব্যথা কমতে থাকে। সেকেন্ডারি ডিজমেনোরিয়ার জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসা নেই। প্রথমে অন্তর্নিহিত রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে হবে। এরপর সে রোগের চিকিৎসাতেই ভালো হবে প্রতি মাসের এ যন্ত্রণা।এছাড়া কিছুটা আরাম পাবেন যদি কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগাতে হবে।বিয়ের পরেও এটি হয় তবে বয়স বাড়ার সাথে কমে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ