ইসলাম ধর্মে কি বিয়ের গায়ে হলুদ পালন করা সমর্থন করে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

এগু‌লো হিন্দু‌দের রি‌তি তাই ইসলাম এগু‌লো সমর্থন ক‌রে না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

হলুদ বরণ" আজকে এমন একটি পাপের কথা নিয়ে আলোচনা করবো, যা আমাদের সমাজের এমন কোন যুবক-যুবতী নেই যারা এই কাজটি তাঁদের অবিভাবকদের ছত্রছায়ায় করেন নি ! আর তা হলো, ছেলে হয়ে মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার পাপ আর মেয়ে হয়ে ছেলেদের গায়ে হাত দেওয়া পাপ! আরেকটু খুলে বলি, আমাদের সমাজে বিয়ের মতো একটি পবিত্র আয়োজনকে অ-পবিত্র করতে যা যা লাগে তা সবই করা হয়ে থাকে"হলুদ বরন" বা"গায়ে হলুদের" নামক অনুষ্ঠানে ! আমরা বর্তমানে আমাদের সমাজে প্রচলিত গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কি দেখতে পাই ! একটি মেয়ে (পাত্রী) কে, মঞ্চের মধ্যে সাজিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে, আর মেয়ে পক্ষের এবং ছেলে (পাত্র) পক্ষের তথা উভয় পক্ষের দর্শনার্থীগণ পাইকারি হারে একজন গাইরে মাহরাম মেয়ের গায়ে হাত ছোঁয়াচ্ছে ! তাও হচ্ছে আবার নিজ নিজ অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ! ইন্নালিল্লাহ !!! এর চেয়ে আর বিপর্যয় মূলক কর্মকাণ্ড কি হতে পারে একটি মুসলিম সমাজে ! যেখানে নারী-পুরুষ যাতে একত্রিত না হতে পারে,তাই রাসুল (সাঃ) যে সকল মহিলা সাহাবীগনেরা মসজিদে সালাত আদায়করতে আসতেন, তাঁদের কে নামাজ শেষে মসজিদ থেকেপুরুষদের পরে বের হতে বলতেন ! যাতে বের হতে গিয়ে নারী- পুরুষ একাকার না হয়ে যায় ! অথচ, নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে একজন এইযুগের মুসলিমের ও অন্তরের অবস্থাকেমন থাকে আমরা সকলে জানি ! তারপরও রাসুল (সাঃ) একত্রিত হওয়ার কোন অবকাশ রাখেন নি ! আর, আজ আপনি চিন্তা করুন, আমাদের সমাজে আজকে গায়ে হলুদের নামে যা হচ্ছে, তা কি শরিয়া সম্মত ! তাও আবার দেখা যায় তাঁদের মাঝে হয়তো অনেক হাজি-গাজি নামাজী লোকেরাও আছে ! এবং অনেকেই তাঁদের ছেলে মেয়ের বিয়ের বিয়ের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন বা ইন্ধন যুগিয়ে থাকেন ! আরও যেটি আপত্তিকর বিষয় ঘটে সেইসব অনুষ্ঠানে জোরছে, হিন্দি-বাংলা গান বাজনা বাজিয়ে নিজের ঈমান আমলের ১২টা বাজিয়ে প্রতিবেশির ১৪ টা বাজানোর দিকে অগ্রসর হয়ে থাকে ! আর তাঁদের মাঝে আবার কারো কারো অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়ে থাকলে শুনা যায় সেই সব অনুষ্ঠানে "রঙ্গিন পানির'' ব্যবস্থা ও নাকি করা হয়ে থাকে ! এককথায় সমস্ত ধরনের পাপ কাজের-ই সরঞ্জামের আঞ্জাম দেওয়া হয়ে থাকে ! আর এইসকল কর্মকাণ্ড চোখের সামনে হতে দেখে সবচাইতে পীড়াদায়ক ঈমানী কষ্ট অনুভব করেন যারা, তাঁরা হলেন, ইসলাম কে জেনে বুঝে পরিপূর্ণ ভাবে পালনকারী দ্বীনি ভাই ও বোনেরা! অনেক সময় হয়তো তাঁদের নিজ ফ্যামিলিতেই ঘটেথাকে এহেন কর্মকাণ্ড ! কিন্তু বড়দের কারনে নিজের কিছু হয়তো করার থাকে না, শুধু মাত্র সেই অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্তর থেকে ঘৃনা করার মাধ্যমে ! আসলে আমাদের সমাজের মানুষেরা ইসলাম কে শুধু নামাজ-রোজা আর দান সাদকার মাধ্যমেই সীমিত করে ফেলেছে, অথবা অনেকে এইসব ইসলামিক সংস্কৃতি বিরোধী কর্মকাণ্ড জেনেও অনীহার সাথে তা করে যায় ! আমরা আমাদের সেই সব অভিবাভকদের ইসলামের প্রকৃত জ্ঞান দিয়ে এহেন শরিয়া বিরোধী যেকোন অনুষ্ঠান থেকে তাঁদের কে বিরত থাকার আহ্বান জানাই, তাঁদের কে বুঝাই সমাজের গড্ডালিকার প্রবাহে নিজেকে বিলীন করে দেওয়া যাবে নাহ, কারন আমাদের বিচারের দিন আমাদের কর্ম সমন্ধেআমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ! আর, আমাদের দ্বারা যাদের এহেন, পাপকার্য সম্পাদন হয়ে গেছে, আমরা আল্লার কাছে তওবা করি এবং এর কাফফারা হিসেবে, ওপর কে এহেন কাজ থেকেবিরত থাকার ব্যাপারে নসিহত করি, আল্লাহপাক আমাদের সকল ফিতনা থেকে দূরে রাখুক। আমীন। দুই. গায়ে হলুদঃ ইসলাম কি বলে? আজকাল বিয়ের আগে গায়ে হলুদের ব্যাপক প্রচলন দেখা যায়, এমনকি বিয়ের মূল আকর্ষণ থাকে গায়ে হলুদ। এই গায়ে হলুদ কি ইসলামে হারাম? এক কথায় এর উত্তর দেয়া সম্ভব নয়। আসুন একটু বিস্তারিত জেনে নিই। বিয়ের সময় বর ও কনেকে চাকচিক্যময় পোষাকে সাজানো ও তাদের গায়ে হলুদ মাখানো ইসলামী শরিয়তে সম্পূর্ণ জায়েজ। ইসলামে হলুদ একটি পছন্দনীয় রঙ। বিয়ের সময় গায়ে হলুদ মাখানো, হলুদ রঙের জামা পরা এবং সুগন্ধী দেয়াকে উৎসাহিত করা হয়েছে। একদা হযরত আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) রাসুল (সঃ) এর দরবারে এলেন। তখনো তার গায়ে হলুদের চিহ্ন ছিল। রাসুল (সঃ) তাকে কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানালেন তিনি এক আনসার মহিলাকে বিয়ে করেছেন। রাসুল (সঃ) এটা অপছন্দ করেন নি। আমরা ছোটবেলায় এরকম গায়ে হলুদ দেখেছি। বিয়ের আগের দিন বিকালে আত্মীয় এবং প্রতিবেশি মহিলারা হলুদ বাটতেন এবং বিভিন্ন রকমের গীত গাইতেন। সেইসব গীতে বরের নাম হত "মনু মিয়া" আর কনের নাম হত "মলকা বানু"। আমরা ছোটরা একজন আরেকজনের গায়ে হলুদ মেখে মজা করতাম। বিয়ের দিন দুপুরে গোসলের আগে বরকে মাহরাম মহিলারা (মা, দাদী, নানী, ফুফু, খালা প্রমুখ) গায়ে হলুদ লাগিয়ে দিতেন, এরপর পুরুষরা তাকে গোসল করাতেন। আর কনেকে হলুদ লাগানো এবং গোসল করানো সব মহিলারাই করতেন। তখন এটাই ছিল গায়ে হলুদ। বিয়ের সময় দফ (বাংলায় বলা হয় খঞ্ছনী/তম্বুরা, ইংরে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ হিন্দুয়ানী কালচার। বিধর্মীদের কালচার মুসলিমদের জন্য পালন করা কোনো ক্রমেই বৈধ নয়। দেখুন হিন্দুদের লেখা অভিধান গ্রন্থ সংসদ বাংলা অভিধানে গায় হলুদের কি অর্থ করা হয়েছে : গায়ে হলুদ- বিবাহের অব্যবহিত পূর্বে পাত্রপাত্রীকে হলুদ মাখাইয়া স্নান করানর হিন্দু সংস্কারবিশেষ। পৃ. ১৬৯। সুতরাং মুসলিমরা কি এ জাতীয় অনুষ্ঠান পালন  করতে পারে?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ